1 |
1 যৌন আনন্দ শিরোনামকে এখানে পুনর্নির্দেশ করা হয়েছে। অমানব প্রানিতে যৌন আনন্দের জন্য প্রাণির যৌন আচরণ § আনন্দের জন্য যৌনতা দেখুন। যৌন উদ্দীপনা বা যৌন উত্তেজনা হল কোন উদ্দীপনা (শারীরিক সংস্পর্শ সমেত) য |
2 |
া যৌনানু্ভূতির উত্থান সৃষ্টি করে, বৃদ্ধি করে ও বজায় রাখে এবং যৌন রাগমোচন ঘটানোর ক্ষমতা রাখে। যদিও যৌনানু্ভূতির উত্থান শারীরিক উত্তেজনা বা উদ্দীপনা ব্যতিরেকেই সৃষ্টি হতে পারে, তবে রাগমোচনের জন্য সাধা |
3 |
র ণত শারীরিক যৌন উদ্দীপনার প্রয়োজন হয়। যৌন উদ্দীপনা পরিভাষাটি প্রায়শই যৌনাঙ্গের উদ্দীপনার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়, কিন্তু পাশাপাশি শরীরের অন্যান্য স্থানের উদ্দীপনা, চেতনার উদ্দীপনা (যেমন দর্শন বা শ |
4 |
্র বণ) ও মানসিক উদ্দীপনা(যেমন বই পড়া বা কল্পনা করা)ও এর অন্তর্ভুক্ত। পুরুষের শিশ্ন ও নারীর ভগাঙ্কুরে পর্যাপ্ত উদ্দীপনার ফলে সাধারণত রাগমোচন ঘটে থাকে।[১][২][৩][৪] উদ্দীপনা নিজের দ্বারা (যেমন, স্বমেহন) |
5 |
কিং বা যৌন সঙ্গীর দ্বারা (যৌনসঙ্গম বা অন্যান্য যৌনাচার), বস্তু বা যন্ত্র দ্বারা অথবা এ সকল পদ্ধতিগুলোর মধ্য হতে কোন প্রকার সম্মেলনের দ্বারা হতে পারে। [৫] কিছু মানুষ আবার রাগমোচন নিয়ন্ত্রণের চর্চা করে |
6 |
থাকে , যার দ্বারা কোন ব্যক্তি বা যৌনসঙ্গী যৌন উদ্দীপনার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে রাগমোচনে দেরি করে, ও রাগমোচনের পূর্বের যৌন অভিজ্ঞতাকে দীর্ঘায়িত করে।. 2 কলকাতা বা কোলকাতা ([kolkata] (এই শব্দ সম্পর্কেশুনু |
7 |
ন)) হল পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর এবং ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী। কলকাতা শহরটি হুগলি নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত। এই শহর পূর্ব ভারতের শিক্ষা, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির প্রধান কেন্দ্র। দক্ষিণ এশিয়ায় কল |
8 |
কাতা ৩য় বৃহৎ অর্থনীতির শহর। কলকাতা বন্দর ভারতের প্রাচীনতম সচল বন্দর তথা দেশের প্রধান নদী বন্দর। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, কলকাতার জনসংখ্যা ৪,৪৯৬,৬৯৪। জনসংখ্যার হিসেবে এটি ভারতের ৭ম সর্বাধিক জনবহুল পৌ |
9 |
র-এল াকা। অন্যদিকে বৃহত্তর কলকাতার জনসংখ্যা ১৪,১১২,৫৩৬। জনসংখ্যার হিসেবে বৃহত্তর কলকাতা ভারতের ৩য় সর্বাধিক জনবহুল মহানগরীয় অঞ্চল। বৃহত্তর কলকাতার সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সূচক (আনুমানিক)$২৬৪ বিলিয়ন মার্ |
10 |
কিন ড লারের মধ্যবর্তী (ক্রয়ক্ষমতা সমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জিডিপি অনুযায়ী)। এই সূচক অনুযায়ী ভারতে কলকাতার স্থান মুম্বই ও নতুন দিল্লির ঠিক পর ৩য় বৃহৎ অর্থনীতির শহর। এছাড়াও কলকাতা শহর,, মুম্বাই এব |
11 |
ং নতুন দিল্লীর পর দক্ষিণ এশিয়ার ৩য় ধনী শহর|[১১][১২][১৩]. 3 সুতানুটি, ডিহি কলকাতা ও গোবিন্দপুর নামে তিনটি গ্রাম নিয়ে মূল কলকাতা শহরটি গড়ে ওঠে। ১৭শ শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত এই গ্রামগুলির শাসনকর্তা ছিল |
12 |
েন মু ঘল সম্রাটের অধীনস্থ বাংলার নবাবেরা। ১৬৯০ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নবাবের কাছ থেকে বাংলায় বাণিজ্য সনদ লাভ করে।[১৫] এরপর কোম্পানি কলকাতায় একটি দুর্গবেষ্টিত বাণিজ্যকুঠি গড়ে তোলে। ১৭৫৬ |
13 |
সালে ন বাব সিরাজদ্দৌলা কলকাতা জয় করেছিলেন। কিন্তু পরের বছরই কোম্পানি আবার শহরটি দখল করে নেয়। এর কয়েক দশকের মধ্যেই কোম্পানি বাংলায় যথেষ্ট প্রতিপত্তি অর্জন করে এবং ১৭৯৩ সালে ‘নিজামৎ’ বা স্থানীয় শাসন |
14 |
ের অবলু প্তি ঘটিয়ে এই অঞ্চলে পূর্ণ সার্বভৌমত্ব কায়েম করে। কোম্পানির শাসনকালে এবং ব্রিটিশ রাজশক্তির প্রত্যক্ষ শাসনকালের প্রথমার্ধ্বে কলকাতা ছিল ভারতের ব্রিটিশ-অধিকৃত অঞ্চলগুলির রাজধানী। ১৯শ শতাব্দীর শ |
15 |
েষ ভাগ থ েকেই কলকাতা ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্র। ১৯১১ সালে ভারতের মতো একটি বৃহৎ রাষ্ট্র শাসনে ভৌগোলিক অসুবিধার কথা চিন্তা করে এবং বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিতে ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদী কার্যকলাপের |
16 |
পরিপ্রেক্ ষিতে ভারতের রাজধানী স্থানান্তরিত হয় নতুন দিল্লিতে। স্বাধীনতার পর কলকাতা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায়। ব্রিটিশ আমলে কলকাতা ছিল আধুনিক ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থা, বিজ্ঞান |
17 |
চর্চা এবং সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্র। কিন্তু স্বাধীনতার পরবর্তী দশকগুলিতে কলকাতা এক অর্থনৈতিক স্থবিরতার সম্মুখীন হয়। 4 ১৯শ শতাব্দী ও ২০শ শতাব্দীর প্রথম ভাগে বাংলার নবজাগরণের কেন্দ্ |
18 |
রস্থল ছিল কলকাতা। এই শহর বাংলা তথা ভারতের ধর্মীয় ও জাতিগত বৈচিত্র্যপূর্ণ এক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রও বটে। সাহিত্য, থিয়েটার, শিল্পকলা ও চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে এই শহর এক স্বতন্ত্র ঐতিহ্য বহন করে আসছে। কলকাতার |
19 |
অনেক বিশ িষ্ট ব্যক্তি সাহিত্য, সঙ্গীত, নাটক, চলচ্চিত্র, শিল্পকলা, বিজ্ঞান ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বিশেষ কৃতিত্বের অধিকারী হয়েছেন। এঁদের মধ্যে কয়েকজন নোবেল পুরস্কার ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক পুরস্কারে সম্মা |
20 |
নিতও হয়েছ েন। পশ্চিমবঙ্গের বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পের কেন্দ্রও কলকাতা শহর। এখানে জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন বেশ কয়েকটি খ্যাতনামা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলির মধ্যে অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস, ভিক্টোরিয |
21 |
়া মেমোরিয় াল হল, এশিয়াটিক সোসাইটি, ভারতীয় সংগ্রহালয় ও জাতীয় গ্রন্থাগারের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এগ্রি-হর্টিকালচারাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া, জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া, ভারতীয় উদ্ভিদ সর্বেক্ |
22 |
ষণ, কলকাতা গ াণিতিক সমিতি, ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস সংস্থা, জুওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া, ইনস্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্স, অ্যানথ্রোপোলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়ান পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের ম |
23 |
তো কয়েকটি পে শাদার বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান কলকাতাতেই অবস্থিত। এই শহরে একাধিক ক্রিকেট মাঠ ও ফ্র্যাঞ্জাইজি আছে। কিন্তু ভারতের অন্যান্য শহরে ক্রিকেট বেশি গুরুত্ব পেলেও, কলকাতার অধিবাসীরা ফুটবল ও অন্যান |
24 |
্য খেলার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।বলা হয়ে থাকে, ভারতবর্ষের ফুটবলের শহর ও কলকাতা। 5 নাম-ব্যুৎপত্তি মূল নিবন্ধ: কলকাতার নাম-ব্যুৎপত্তি 6 কালীঘাট মন্দির, ১৮৮৭ খ্রি.; একটি মতে, "কালীক্ষেত্র" শব্দটি |
25 |
থেকে "কলিকা তা" নামটির উৎপত্তি ১৭শ শতাব্দীর শেষভাগে সুতানুটি, ডিহি কলিকাতা ও গোবিন্দপুর নামে তিনটি গ্রাম নিয়ে কলকাতা শহরটি গড়ে ওঠে। এর মধ্যে ডিহি কলিকাতা নামটি থেকে কলকাতা নামটির উৎপত্তি।[১৬] 7 "কলি |
26 |
কাতা" বা "কল কাতা" নামটির উৎপত্তি সম্পর্কে গবেষকদের মধ্যে মতান্তর রয়েছে: 8 একটি মতে, "কালীক্ষেত্র" (হিন্দু দেবী কালীর ক্ষেত্র) নামটি থেকে "কলিকাতা" বা "কলকাতা" নামটির উৎপত্তি। মতান্তরে, বাংলা "কিলকিলা |
27 |
" (অর্থাৎ,"চ ্যাপ্টা এলাকা") কথাটি থেকে "কলিকাতা" নামটির উৎপত্তি হয়।[১৭] অন্য এক মতে বাংলা খাল ও কাটা শব্দ দু’টির বিকৃতির ফলে কলকাতা নামটির উৎপত্তি ঘটে।[১৮] অপর মতে, এই অঞ্চলটি কলিচুন ও কাতা (নারকেল ছ |
28 |
োবড়ার আঁশ) উ ৎপাদনের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ছিল। সেই থেকেই কলিকাতা নামটির উৎপত্তি ঘটে।[১৭] বাংলায় কলিকাতা বা কলকাতা নামটি প্রচলিত হলেও ইংরেজি ভাষায় এই শহর আগে ক্যালকাটা (ইংরেজি: Calcutta) নামে পরিচিত |
29 |
ছিল। ২০০১ সাল ে নামের বাংলা উচ্চারণের সঙ্গে সমতা রেখে ইংরেজিতেও শহরের নাম কলকাতা (ইংরেজি: Kolkata) রাখা হয়।[১৯] 9 ইতিহাস মূল নিবন্ধ: কলকাতার ইতিহাস প্রাক-ব্রিটিশ যুগ 10 ফোর্ট উইলিয়াম, কলকাতা, উইলিয় |
30 |
াম উড অঙ্কিত, ১৮২৮ খ্রি. কলকাতার নিকটবর্তী চন্দ্রকেতুগড়ে[২০] প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্য চালিয়ে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যে এই অঞ্চলটি বিগত দুই হাজার বছরেরও বেশি সময়কাল ধরে জনবসতিপূর্ণ।[২১] মধ্যযুগীয় বাং |
31 |
লা সাহিত্যের একাধিক গ্রন্থে হুগলি নদীর তীরবর্তী কলিকাতা গ্রামের উল্লেখ পাওয়া যায়। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বিপ্রদাস পিপলাইয়ের মনসাবিজয় কাব্য (১৪৯৫ খ্রি.), মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর কবিকঙ্কণ চণ্ডী (১ |
32 |
৫৯৪-১৬০৬ খ্রি .), সৈয়দ আলাওলের পদ্মাবতী (১৬৪৫–৫২ খ্রি.), কৃষ্ণরাম দাসের কালিকামঙ্গল (১৬৭৬–৭৭ খ্রি.), সনাতন ঘোষালের ভাষা-ভাগবত (১৬৭৯–৮০ খ্রি.) ও কৃষ্ণদাসের নারদপুরাণ (১৬৯২ খ্রি.)।[২২][২৩] ১৫৮২ সালে রাজ |
33 |
া টোডরমলের নির ্দেশে সমগ্র বাংলা সুবা (প্রদেশ) জরিপ করে ওয়ালিশ-ই-জমা তুমার নামে একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়। আবুল ফজলের আইন-ই-আকবরি (১৫৯০ খ্রি.) গ্রন্থে উদ্ধৃত এই তালিকাটিতে "কলিকাতা" গ্রামটির উল্লেখ |
34 |
রয়েছে।[২২][২৩ ] এছাড়াও গোলাম হোসেন সেলিম রচিত রিয়াজ-উস-সালাতিন (১৭৮৬ খ্রি.) নামক একটি ফার্সি গ্রন্থেও "কলিকাতা" গ্রামের উল্লেখ রয়েছে।[২২] ১৬৯০ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় বাণিজ্য ব |
35 |
িস্তারের উদ্দেশ্ যে এই অঞ্চলে পদার্পণ করে। এই সময় থেকেই শহর কলকাতার লিখিত ইতিহাসের সূচনা। জব চার্নক নামে কোম্পানির এক প্রশাসককে সাম্রাজ্যবাদী ঐতিহাসিকগণ কলকাতার প্রতিষ্ঠাতা মনে করতেন।[২৪] যদিও আধুনিক |
36 |
গবেষকগণ এই মত খণ্ ডন করেছেন। ২০০৩ সালে একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেন যে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে কলকাতার প্রতিষ্ঠাতা অভিধায় অভিহিত করা যাবে না।[২৫] 11 সপ্তদশ ও অষ্টাদ |
37 |
শ শতাব্দী 12 ফোর ্ট উইলিয়াম, কলকাতা, ১৭৩৫ 13 সেকালের কলকাতা বন্দরে জাহাজ থেকে হাতি নামানোর দৃশ্য, হারপারস উইকলি থেকে, ১৮৫৮ খ্রি. 14 চিৎপুর রোডের (অধুনা রবীন্দ্র সরণি) দৃশ্য; উইলিয়াম সিম্পসনের ইন্ডিয় |
38 |
া এনসিয়েন্ট অ্ যান্ড মর্ডার্ন বইতে প্রকাশিত হয়, ১৮৬৭। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষভাগে বর্তমান কলকাতা অঞ্চলটি সুতানুটি, গোবিন্দপুর ও ডিহি কলিকাতা নামে তিনটি গ্রামে বিভক্ত ছিল। গ্রাম তিনটি ছিল বাংলার নবাবের প্ |
39 |
রত্যক্ষ শাসনাধীন ে। এই সময় প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ওলন্দাজ, পর্তুগিজ ও ফরাসি শক্তিগুলিকে প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে ইংরেজ কর্তৃপক্ষ গোবিন্দপুরে একটি দুর্গনির্মাণের পরিকল্পনা করেন। ১৭০২ সালে ফোর্ট উইলিয়াম দু |
40 |
র্গের নির্মাণকার্ য সমাপ্ত হয়।[২৬] এই দুর্গটি ছিল একাধারে একটি সেনানিবাস ও আঞ্চলিক সেনা কার্যালয়। কলকাতা "প্রেসিডেন্সি সিটি" ঘোষিত হয় এবং পরে বাংলা প্রেসিডেন্সির সদরে পরিণত হয়।[২৭] এই সময় ফরাসি বা |
41 |
হিনীর সঙ্গে কোম্পা নির ছোটোখাটো সংঘর্ষ লেগেই থাকত। ফরাসিদের ঠেকাতে ১৭৫৬ সালে কোম্পানি ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গের সংস্কার শুরু করে। বাংলার তদনীন্তন নবাব সিরাজদ্দৌলা এই সামরিক আয়োজনের প্রতিবাদ জানালেও ইংরেজ |
42 |
কর্তৃপক্ষ তাতে কর্ ণপাত করেননি। ক্ষুব্ধ সিরাজ এরপর কলকাতা আক্রমণ করে দুর্গ দখল করে নেন এবং ইংরেজদের কলকাতা থেকে বিতাড়িত করেন। এরপরই ইংরেজরা কুখ্যাত অন্ধকূপ হত্যার গল্প রটনা করে।[২৮] অবশ্য এক বছর পরে |
43 |
রবার্ট ক্লাইভের নেতৃ ত্বে কোম্পানির বাহিনী কলকাতা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিল।[২৮] ১৭৭২ সালে কলকাতা ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী ঘোষিত হয়। পরবর্তীকালে ১৮৬৪ সাল থেকে ভারতের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী অধুনা উত্তর |
44 |
াখণ্ড রাজ্যের শৈলশহর সিমলায় সাময়িকভাবে স্থানান্তরিত করার রেওয়াজ শুরু হয়।[২৯] ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে কলকাতার চারপাশের জলাভূমিগুলি বুজিয়ে ফেলা হয়। হুগলি নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে গড়ে ওঠে গভর্নমেন্ট |
45 |
প্লেস বা অফিসপাড়া। লর্ড ওয়েলেসলির (গভর্নর-জেনারেল ১৭৯৭-১৮০৫) শাসনকালে শহরের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটেছিল। তার আমলেই কলকাতার অধিকাংশ সরকারি ভবনের নির্মাণকার্য শুরু হয়। এই ভবনগুলির বিশালতা ও স্থাপত্যসৌক |
46 |
র্যই কলকাতাকে "প্রাসা দ নগরী" বা "সিটি অফ প্যালেসেস" সম্মান প্রদান করেছিল।[৩০] অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আফিম ব্যবসার অন্যতম কেন্দ্রও ছিল কলকাতা। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত আ |
47 |
ফিম কলকাতায় নিলামে উঠ ত এবং তারপর জাহাজবন্দি করে তা চীনে পাঠানো হত।[৩১] 15 বাংলার নবজাগরণ মূল নিবন্ধ: বাংলার নবজাগরণ 16 দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বিমান থেকে তোলা কলকাতা বন্দরের দৃশ্য, ১৯৪৫ খ্রি. ঊনবি |
48 |
ংশ শতাব্দীর প্রথম দিক ে কলকাতা শহর দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। শহরের দক্ষিণে যে অংশে ব্রিটিশরা বাস করতেন সেটিকে বলা হত হোয়াইট টাউন এবং উত্তরে যে অংশে ভারতীয়েরা বাস করত সেটিকে বলা হত ব্ল্যাক টাউন।[৩২] |
49 |
১৮৫০-এর দশক থেকে কলকা তা শহর বস্ত্রবয়ন ও পাটশিল্পে বিশেষ সমৃদ্ধি অর্জন করতে শুরু করে। এর ফলে ব্রিটিশ সরকার এখানে রেলপথ ও টেলিগ্রাফ প্রকল্পের মতো পরিকাঠামো উন্নয়নমূলক প্রকল্পে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ কর |
50 |
েন। ব্রিটিশ ও ভারতীয় স ংস্কৃতির মিশ্রণে শহুরে বাঙালিদের মধ্যে এক নব্য বাবু শ্রেণির উদ্ভব ঘটেছিল। এই বাবুরা ছিলেন সাধারণত উচ্চবর্ণীয় হিন্দু, ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত ও সংবাদপত্রের পাঠক। পেশাগতভাবে এঁরা |
51 |
ছিলেন জমিদার, সরকারি কর ্মচারী বা শিক্ষক।[৩৩] ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলার নবজাগরণ নামে পরিচিত যে যুগান্তকারী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্কার আন্দোলন বাঙালি সমাজের চিন্তাধারা ও রুচির আমূল পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম |
52 |
হয়েছিল তার পটভূমিও ছিল এই কলকাতা শহর। বাংলার নবজাগরণ শুধু বাংলা নয়, সমগ্র ভারতের পথপ্রদর্শক হয়েছিল। এই আন্দোলনের পুরোধাপুরুষেরা ছিলেন রাজা রামমোহন রায় (১৭৭২–১৮৩৩), হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও (১৮০৯ |
53 |
–১৮৩১), রামতনু লাহিড়ী (১ ৮১৩–১৮৯৮), মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮১৭–১৯০৫), ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০–১৮৯১), বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮–১৮৯৪), রামকৃষ্ণ পরমহংস (১৮৩৬–১৮৮৬), কেশবচন্দ্র সেন (১৮৩৮ |
54 |
–১৮৮৪), স্বামী বিবেকানন্দ (১৮৬৩–১৯০২) প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। 17 শহিদ মিনার থেকে কলকাতার বিস্তৃত দৃশ্য, ১৮৩২, জ্যাকব জনসন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন 18 কলকাতার রাস্তায় প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসের দাঙ্গায় নিহত |
55 |
দের মৃতদেহ, ১৯৪৬ খ্রি. ১ ৮৮৩ সালে রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করেন। এটিই ছিল ঊনবিংশ শতাব্দীর ভারতের প্রথম রাজনৈতিক সম্মেলন।[২৪] এরপর ধীরে ধীরে কলকাতা ভারতের স্বাধীন |
56 |
তা আন্দোলনের এক গুরুত্বপূ র্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়। বিশেষত বিপ্লবী সংগঠনগুলির অন্যতম প্রধান কেন্দ্রে পরিণত হয় কলকাতা শহর। ১৯০৫ সালে সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে কলকাতায় ব্যাপক গণবিক্ষোভ |
57 |
ও ব্রিটিশ দ্রব্য বয়কট (স্ বদেশী আন্দোলন) শুরু হয়।[৩৪] এই সব গণআন্দোলনের তীব্রতা এবং দেশের পূর্বভাগে অবস্থিত কলকাতা থেকে দেশ শাসনের প্রশাসনিক অসুবিধার কারণে ১৯১১ সালে ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী দিল্লিতে স |
58 |
্থানান্তরিত করা হয়।[৩৫] ১৯ ২৩ সালে ক্যালকাটা মিউনিসিপ্যাল অ্যাক্টের অধীনে কলকাতার স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন কর্তৃপক্ষ কলকাতা পৌরসংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২৪ সালে এই পৌরসংস্থার প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন দেশ |
59 |
বন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। পরবর্ত ীকালে সুভাষচন্দ্র বসু, বিধানচন্দ্র রায়, আবুল কাশেম ফজলুল হক প্রমুখ বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামীরা এই পদ অলংকৃত করেছিলেন।[৩৬] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন জাপানি সেনাবাহিনী এ |
60 |
কাধিকবার কলকাতা শহর ও বন্দরে বোমা নিক্ষেপ করেছিল।[৩৭] কলকাতায় জাপানি বোমাবর্ষণের প্রথম ও শেষ ঘটনাটি ঘটে যথাক্রমে ১৯৪২ সালের ২০ ডিসেম্বর[৩৮] এবং ১৯৪৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর।[৩৯] যুদ্ধের সময় কলকাতায় পঞ্চাশ |
61 |
ের মন্বন্তরে লক্ষাধিক মানুষ অ নাহারে মারা যান। এই মন্বন্তরের কারণ ছিল সামরিক তাণ্ডব, প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ।[৪০] ১৯৪৬ সালে পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তানের দাবিতে এক ভয়ংকর সাম্প্রদায়িক |
62 |
দাঙ্গায় কলকাতায় চার হাজারের ও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।[৪১][৪২][৪৩] ভারত বিভাগের সময়ও বহু মানুষ সাম্প্রদায়িকতার শিকার হন। দেশভাগের পর বহুসংখ্যক মুসলমান পূর্ব পাকিস্তানে পাড়ি জমান এবং সেই দেশের লক্ষ |
63 |
লক্ষ হিন্দু কলকাতায় চলে আসেন। এর ফলে শহরের জনপরিসংখ্যানে একটি বিরাট পরিবর্তন সূচিত হয়।[৪৪] 19 স্বাধীনতাত্তোর যুগ ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা অর্জন করলে ব্রিটিশ বাংলা প্রেসিডেন্সির হিন্দুপ্রধান পশ্চিমাঞ |
64 |
্চল পশ্চিমবঙ্গ নামে ভারতের একট ি অঙ্গরাজ্যে পরিণত হয়। কলকাতা এই রাজ্যের রাজধানীর মর্যাদা পায়। এই সময় দেশভাগ-জনিত তীব্র অর্থনৈতিক সংকট ও পূর্ব পাকিস্তান থেকে হিন্দু শরণার্থীদের ব্যাপক হারে পশ্চিমবঙ্গ |
65 |
ে অনুপ্রবেশ রাজ্যের তথা শহরের অ র্থনীতির উপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে। এই সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় একাধিক কার্যকরী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেন। কলক |
66 |
াতার জনসংখ্যার চাপ কমাতে শহরের উ পকণ্ঠে চব্বিশ পরগনায় (অধুনা উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা) লবণহ্রদ (অধুনা বিধাননগর) ও নদিয়া জেলায় কল্যাণী নামে দুটি পরিকল্পিত উপনগরী গড়ে তোলা হয়। কলকাতা বন্দরের সাহায্যা |
67 |
র্থে সহযোগী হলদিয়া বন্দর নির্মিত হয়। হুগলি নদীর নাব্যতা রক্ষার জন্য ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনাও গৃহীত হয়।[৪৫] তা সত্ত্বেও বিধানচন্দ্রের মৃত্যুর পর ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট, |
68 |
ধর্মঘট ও জঙ্গি নকশাল আন্দোলনের ফল ে শহরের পরিকাঠামো ব্যবস্থা গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে শহরের অর্থনৈতিক অবক্ষয়ের সূত্রপাত ঘটে।[৪৬] ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তানের বহুস |
69 |
ংখ্যক মানুষ শরণার্থী হিসাবে কলকাতা য় আশ্রয় নিলে শহরের অর্থনীতির উপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয়।[৪৭] 20 বামফ্রন্টের একটি জনসভা স্বাধীনতার পর ১৯৫১ ও ১৯৫৬ সালে কর্পোরেশন আইন সংশোধন করা হয়। ১৯৮০ সালে পশ্চিম |
70 |
বঙ্গ সরকার শেষবার এই আইন সংশোধন কর েন। সংশোধিত নতুন আইন কার্যকর হয় ১৯৮৪ সালে। ১৯৯২ সালে ভারতীয় সংবিধানের ৭৪তম সংশোধনী বিল পাস হলে কলকাতা পৌরসংস্থা সামাজিক ন্যায় ও আর্থিক উন্নয়নের স্বার্থে পরিকল্পনা |
71 |
গ্রহণের ক্ষমতা পায়। ২০০১ সালে কলক াতার ইংরেজি নাম ‘ক্যালকাটা’ বদলে ‘কলকাতা’ করা হলে ‘কলিকাতা পৌরসংস্থা’ নামের পরিবর্তে ‘কলকাতা পৌরসংস্থা’ নামটি চালু হয়।[৪৮] 21 ১৯৮০-এর দশকের মধ্যভাগে কলকাতাকে ছাপিয় |
72 |
ে মুম্বই (তৎকালীন নাম বোম্বাই) ভারত ের সর্বাধিক জনবহুল শহরের শিরোপা অর্জন করে। ১৯৯০-এর দশকে ভারত সরকারের অর্থনৈতিক উদারীকরণের নীতি শহরের অর্থনৈতিক হৃতগৌরব পুনরুদ্ধারে অনেকাংশে সহায়ক হয়। ২০০০ সাল থেকে |
73 |
তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প কলকাতার অর্থনীত িতে নতুন গতির সঞ্চার করেছে। শহরের উৎপাদন ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে।[৪৯] বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে কলকাতা শহর ছিল ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম প্রাণ |
74 |
কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গের ৩৪ বছরের সিপিআই (এম)-নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট শাসন বিশ্বের দীর্ঘতম মেয়াদের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত কমিউনিস্ট সরকারের একটি উদাহরণ।[৫০][৫১] 22 ভূগোল 23 পূর্ব কলকাতা জলাভূমি 24 |
75 |
রবীন্দ্র সরোবর হ্রদ। 25 স্পট স্যাট েলাইট থেকে তোলা ছবিতে কলকাতা কলকাতা শহর ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের পূর্বদিকে ২২°৩৪′ উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৮°২১′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ অঞ্চলে অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থ |
76 |
েকে শহরের গড় উচ্চতা ১.৫ মিটার (৫ ফ ুট) থেকে ৯ মিটারের (৩০ ফুট) মধ্যে।[৫২] উত্তর-দক্ষিণে শহরের বিস্তার হুগলি নদীর পাড় বরাবর। শহরের বেশিরভাগ এলাকাই আদতে ছিল জলাজমি। শহরের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এ |
77 |
ই সব জলাজমি ভরাট করে বসতযোগ্য করে তো লা হয়।[৫৩] অবশিষ্ট জলাভূমি এখন 'পূর্ব কলকাতা জলাভূমি' নামে পরিচিত। এই জলাভূমিটি রামসার কনভেনশন অনুযায়ী একটি "আন্তর্জাতিক গুরুত্বসম্পন্ন জলাভূমি"।[৫৪] 26 সিন্ধু-গা |
78 |
ঙ্গেয় সমভূমির বেশিরভাগ এলাকার মতো, কলকাতার মাটি ও জল মূলত পলিজ (alluvial) প্রকৃতির। শহরের মাটির তলায় কাদা, পলি, বিভিন্ন ক্রমের বালি ও নুড়ি নিয়ে গঠিত কোয়্যাটারনারি যুগের পললস্তর দেখা যায়। পললস্তরগ |
79 |
ুলি দুটির কাদার স্তরের মধ্যে বদ্ধ রয ়েছে। নিচের কাদার স্তরটির গভীরতা ২৫০ মিটার (৮২০ ফুট) থেকে ৬৫০ মিটার (২,১৩৩ ফুট) এবং উপরের কাদার স্তরটির গভীরতা ১০ মিটার (৩৩ ফুট) থেকে ৪০ মিটার (১৩১ ফুট)।[৫৫] ব্যুরো |
80 |
অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডসের হিসেব অনুযায়ী, কলকাতা শহর তৃতীয় ভূ-কম্পী ক্ষেত্রের অন্তর্গত, যার মাত্রা ১ (I) থেকে ৫ (V) (ভূমিকম্পের বৃদ্ধিপ্রবণতা অনুসারে)।[৫৬] আবার রাষ্ট্রসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির রিপোর |
81 |
্ট অনুযায়ী বায়ুপ্রবাহ ও ঘূর্ণিঝড় ক ্ষেত্র হিসেবে কলকাতা “অতি উচ্চ ক্ষয়ক্ষতি-প্রবণ” এলাকা। 27 নগরাঞ্চলের গঠন 28 গঙ্গার পশ্চিম কূল থেকে দৃশ্যমান রবীন্দ্র সেতু (হাওড়া ব্রিজ) বৃহত্তর কলকাতার আয়তন ১,৮ |
82 |
৮৬.৬৭ কিমি২ (৭২৮.৪৫ মা২)।[৫৭]:৭ ২০০৬ সালের হিসেব অনুযায়ী, মোট ৭২টি বড়ো শহর এবং ৫২৭টি ছোটো শহর ও গ্রাম এই এলাকার অন্তর্ভুক্ত ছিল।[৫৮] ২০১১ সালের হিসেব অনুযায়ী, কলকাতা পৌরসংস্থা সহ চারটি পৌরসংস্থা, ৩৯ |
83 |
টি পুরসভা ও ২৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত বৃহ ত্তর কলকাতার অন্তর্ভুক্ত।[৫৭]:৭ বৃহত্তর কলকাতার শহরতলি এলাকাগুলি উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও নদিয়া জেলার অন্তর্গত।[৫৯]:১৫ কলকাতা পৌরসং |
84 |
স্থার এক্তিয়ারভুক্ত এলাকার আয়তন ২০৮ .৬ কিমি২ (৮১ মা২)।[৫৮] পৌর এলাকার প্রস্থ পূর্ব-পশ্চিমে তুলনামূলকভাবে সংকীর্ণ। পশ্চিম সীমায় হুগলি নদী থেকে পূর্ব সীমায় ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাস পর্যন্ত শহরের |
85 |
প্রস্থ মোটামুটি ৯–১০ কিমি (৫.৬–৬.২ মা) ।[৬০] অন্যদিকে শহরের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তের মধ্যবর্তী দূরত্বটি অনেকটাই বেশি। এই দূরত্বের নিরিখেই মূলত সমগ্র শহরটিকে উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ কলকাতা নামে তিনটি অংশে |
86 |
ভাগ করা হয়ে থাকে। এছাড়া পরবর্তীকালে শ হরে গড়ে ওঠা পূর্ব দিকের অংশটিকে পূর্ব কলকাতা নামে চিহ্নিত করা হয়। 29 চৌরঙ্গি থেকে দৃশ্যমান কলকাতার দিগন্তরেখা 30 রাতে আলোকোজ্জ্বল কলকাতার নদীতীর। 31 সন্ধ্যার প |
87 |
্রাক্কালে হুগলি নদীর উপর বিদ্যাসাগর স েতু উত্তর কলকাতা উত্তর কলকাতা হল কলকাতার প্রাচীনতম অংশ। ১৯শ শতাব্দীর স্থাপত্যশৈলী, জীর্ণ প্রাসাদোপম বাড়িঘর, ঘিঞ্জি বস্তি, জনাকীর্ণ বাজার ও অজস্র সরু সরু গলিপথ শহর |
88 |
ের এই অংশের বৈশিষ্ট্য শ্যামবাজার, হাতি বাগান, মানিকতলা, কাঁকুড়গাছি, রাজাবাজার, শোভাবাজার, শ্যামপুকুর, সোনাগাছি, কুমারটুলি, বাগবাজার, জোড়াসাঁকো, চিৎপুর, পাথুরিয়াঘাটা, কাশীপুর, কেষ্টপুর, সিঁথি, বেলগাছ |
89 |
িয়া, জোড়াবাগান ও দমদম এলাকাগুলি উত্তর কলকাতার অন্তর্ভুক্ত।[৬১]:৬৫–৬৬ বৃহত্তর কলকাতার অন্তর্গত বরানগর, নোয়াপাড়া, ডানলপ, দক্ষিণেশ্বর, নাগেরবাজার, বেলঘড়িয়া, আগরপাড়া, সোদপুর, মধ্যমগ্রাম, বারাসাত, বি |
90 |
রাটি, খড়দহ থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত এলা কা কলকাতার উত্তর শহরতলি এলাকা হিসেবে পরিচিত। 32 মধ্য কলকাতা মধ্য কলকাতা হল শহরের প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র। বিনয়-বাদল-দীনেশ বাগ (বিবাদীবাগ; পূর্বতন নাম ডালহৌসি স্ক |
91 |
োয়ার), এসপ্ল্যানেড, স্ট্র্যান্ড রোড, চ ৌরঙ্গি, বড়বাজার, কলেজ স্ট্রিট (বইয়ের বাজারের জন্য ‘বইপাড়া’ নামেও পরিচিত), শিয়ালদহ, তালতলা, জানবাজার, বউবাজার, এন্টালি, চাঁদনি চক, ধর্মতলা, টেরিটি বাজার, বো ব |
92 |
্যারাকস, মল্লিকবাজার, পার্ক সার্কাস, বাব ুঘাট প্রভৃতি এলাকা মধ্য কলকাতার অন্তর্ভুক্ত।[৬২] পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সচীবালয়, জেনারেল পোস্ট অফিস, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক, উচ্চ আদালত, লালবাজার পুলিশ সদর দফতর সহ এ |
93 |
কাধিক সরকারি ও বেসরকারি কার্যালয় এখানেই অবস্থিত। এই এলাকার কিছুদূরে মাদার টেরিজা সরণির (পূর্বতন নাম পার্ক স্ট্রিট) দক্ষিণে আরেকটি বাণিজ্য কেন্দ্র রয়েছে। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর সরণি (পূর্বতন নাম ক্যামাক ম |
94 |
ার্গ), ড. মার্টিন লুথার কিং সরণি (পূর্বতন নাম উড মার্গ ), ড. উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী সরণি (পূর্বতন নাম লডন মার্গ ), শেকসপিয়র সরণি (পূর্বতন নাম থিয়েটার রোড), আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু মার্গ সন্নিহিত এলাকা |
95 |
গুলি এই বাণিজ্য কেন্দ্রের অন্তর্গত।[৬৩] ম ধ্য কলকাতায় শহরের ঠিক কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ময়দান হল একটি বিশাল মাঠ। এই মাঠটি "কলকাতার ফুসফুস" নামে পরিচিত।[৬৪] এখানে বিভিন্ন ক্রীড়ানুষ্ঠান ও জনসভার আয়োজন ক |
96 |
রা হয়।[৬৫] ময়দানের দক্ষিণ প্রান্তে ভিক্ট োরিয়া স্মৃতি সৌধ ও কলকাতা দৌড় পরিধি অবস্থিত। হুগলি নদীর তীরে স্ট্র্যান্ড রোডের ধারে অবস্থিত মিলেনিয়াম পার্ক কলকাতার একটি বিখ্যাত উদ্যান। ময়দানের পশ্চিম প্ |
97 |
রান্তে অবস্থিত ফোর্ট উইলিয়াম ভারতীয় সেনাব াহিনীর পূর্ব সচীবের সদর দফতর।[৬৬] এই দুর্গটি এবং সন্নিহিত এলাকা সেনাবাহিনীর অধিকাররভুক্ত। 33 দক্ষিণ কলকাতা ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর দক্ষিণ কলকাতার বৃ |
98 |
হত্তর অংশের বিস্তার ঘটে। বালিগঞ্জ, আলিপুর, নিউ আলিপুর, শরৎ বসু রোড, ভবানীপুর, কালীঘাট, ঢাকুরিয়া, গড়িয়াহাট, টালিগঞ্জ, নাকতলা, যোধপুর পার্ক, লেক গার্ডেনস, গল্ফ গ্রীন, যাদবপুর, গড়ফা, কালিকাপুর, হালতু |
99 |
, নন্দীবাগান, সন্তোষপুর, বাঘাযতীন, গাঙ্গুলি বাগান, গড়িয়া, কামালগাজী, রানিকুঠি, বিক্রমগড়, বিজয়গড়, বাঁশদ্রোণী ও কুঁদঘাট নিয়েই দক্ষিণ কলকাতা।[১৬] অন্যদিকে গার্ডেনরিচ, খিদিরপুর, মেটিয়াবুরুজ, তারাতলা |
100 |
, মাঝেরহাট, বজবজ, বেহালা, সরসুনা, বড়িশা, পর ্ণশ্রী, ঠাকুরপুকুর, মহেশতলা, জোকা, নরেন্দ্রপুর ও সোনারপুর দক্ষিণ কলকাতার সীমান্তবর্তী এলাকা। দক্ষিণ শহরতলির মধ্যে বৃহত্তর কলকাতার অন্তর্গত অঞ্চলগুলি হল রাজপ |
101 |
ুর, হরিনাভি, চৌহাটি, মালঞ্চ, সুভাষগ্রাম, মল্ল িকপুর ও বারুইপুর। 34 পূর্ব কলকাতা বেলঘরিয়া, বিধাননগর, রাজারহাট, ট্যাংরা, তোপসিয়া, কসবা, আনন্দপুর, মুকুন্দপুর, পিকনিক গার্ডেন, বেলেঘাটা, উল্টোডাঙ্গা, ফুলব |
102 |
াগান, কৈখালি, লেকটাউন প্রভৃতি এলাকা পূর্ব কলক াতার অন্তর্গত। এই এলাকাগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি এলাকা সাম্প্রতিক নগরায়নের উদাহরণ। বৃহত্তর কলকাতার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদ্যান বনবিতান (পূর্বতন নাম: সল্ |
103 |
টলেক সেন্ট্রাল পার্ক) বিধাননগরে অবস্থিত। 35 ব ৃহত্তর কলকাতা অঞ্চলের দু’টি পরিকল্পিত টাউনশিপ হল শহরের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত বিধাননগর বা সল্টলেক এবং বিধাননগরের পূর্বে অবস্থিত রাজারহাট নিউটাউন।[১৬][৬৭] ২০০ |
104 |
০-এর দশকে বিধাননগরের সেক্টর ফাইভ তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিগুলির কেন্দ্র হিসেবে বিকাশ লাভ করে।[৬৮][৬৯] বিধাননগর ও রাজারহাট নিউটাউন দু’টি এলাকাই কলকাতা পৌরএলাকার বাইরে নিজস্ব পৌরসংস্থার এক্ |
105 |
তিয়ারভুক্ত।[৬৭] 36 জলবায়ু 37 কলকাতার আকাশে শরতের মেঘ। কলকাতার জলবায়ু "ক্রান্তীয় সাভানা" প্রকৃতির ("কোপেন জলবায়ু শ্রেণিবিভাগ" অনুসারে Aw)। বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২৬.৮° সেন্টিগ্রেড এবং মাসিক গড় তাপম |
106 |
াত্রা ১৯°-৩০° সেন্টিগ্রেডের মধ্যে থাকে।[৭০] এখানে গ্রীষ্মকাল উষ্ণ ও আর্দ্র। এই সময় গড় তাপমাত্রা ৩১° সেন্টিগ্রেডের কাছাকাছি থাকলেও মে-জুন মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কখনো কখনো ৪০° সেন্টিগ্রেড ছাড়িয়ে যায |
107 |
়।[৭০] শীতকাল সাধারণত মাত্র আড়াই মাস স্থায় ী হয়। ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা ১৪° সেন্টিগ্রেডের কাছাকাছি থাকে। শহরের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড যথাক্রমে ৪৩.৯° সেন্টিগ্ |
108 |
রেড ও ৫.০° সেন্টিগ্রেড।[৭০] সাধারণভাবে মে মাস কলকাতার উষ্ণতম মাস। এই সময় শহরের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা থাকে যথাক্রমে ৩৫.৪° সেন্টিগ্রেড ও ২৬° সেন্টিগ্রেড। অন্যদিকে জানুয়ারি শীতলতম মাস। জানু |
109 |
য়ারির সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা যথা ক্রমে ২৬.৪° সেন্টিগ্রেড ও ১৩.৮° সেন্টিগ্রেড। গ্রীষ্মের শুরুতে প্রায়শই শিলাবৃষ্টি, ঝড় ও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। এই ধরনের ঝড়বৃষ্টি প্রকৃতিগতভা |
110 |
বে পরিচলন। এর স্থানীয় নাম কালবৈশাখী।[৭১] 38 দক্ষিণ-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর বঙ্গোপসাগরীয় শাখাটি শহরে বৃষ্টিপাত ঘটায়।[৭২] বর্ষাকাল সাধারণত স্থায়ী হয় জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত। শহরের বার্ষিক ১৮০০ ম |
111 |
িলিমিটার বৃষ্টিপাতের অধিকাংশই এই সময়ে ঘটে থা কে। জুলাই মাসে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সর্বোচ্চ থাকে। এই সময় গড়ে ৪১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। কলকাতা বার্ষিক ২১০৮ ঘণ্টা সূর্যালোক পেয়ে থাকে। অধিকাংশ সূর্যালো |
112 |
ক প্রাপ্তির সময় মার্চ মাস।[৭৩] দূষণ কলকাতার অ ন্যতম প্রধান সমস্যা। ভারতের অন্যান্য প্রধান শহরের তুলনায় কলকাতার সাসপেন্ডেড পার্টিকুলেট ম্যাটার বা এসপিএম-এর হার এতটাই বেশি যে প্রায়শই ধোঁয়াশা সৃষ্টি হ |
113 |
য়।[৭৪][৭৫] মারাত্মক বায়ুদূষণের ফলে শহরে ফুসফু সের ক্যান্সার সহ দূষণসৃষ্ট অসুখবিসুখ বৃদ্ধি পেয়েছে।[৭৬] 39 অর্থনীতি মূল নিবন্ধ: কলকাতার অর্থনীতি 40 কগনিজেন্ট টেকনোলজি সলিউশনস ভবন, বিধাননগর, সেক্টর ফাই |
114 |
ভ ইলেকট্রনিকস কমপ্লেক্স 41 ডিএলএফ আইটি পার্ক, রাজারহাট নিউটাউন 42 চাঁদনি চকের হকার। কলকাতা পূর্ব ভারত ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ব্যবসাবাণিজ্য ও অর্থনীতির প্রধান কেন্দ্র। কলকাতায় অবস্থিত কলকাতা শেয়ার বাজার |
115 |
ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শেয়ার বাজার[৭৭] (ব র্তমানে ভারতের আঞ্চলিক শেয়ার বাজারগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয় এটি তার মধ্যে একটি)। এটি একটি প্রধান বাণিজ্যিক ও সামরিক বন্দরও বটে। পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র আন্তর্জ |
116 |
াতিক বিমানবন্দরটি কলকাতাতেই অবস্থিত। একদা ভার তের রাজধানী ও অগ্রণী শিল্পনগরী কলকাতা স্বাধীনোত্তর কালে অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও জঙ্গি ট্রেড-ইউনিয়ন আন্দোলনের শিকার হয়ে দ্রুত আর্থিক অবনতির পথে এগিয়ে |
117 |
যায়।[৭৮] ১৯৬০-এর দশক থেকে ১৯৯০-এর দশক পর্যন্ ত একদিকে যেমন মূলধন বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসে, তেমনি অন্যদিকে বন্ধ হয়ে যেতে থাকে বৃহৎ কলকারখানাগুলি। অধিকাংশ কলকারখানাগুলির উৎপাদন কমে আসে। অনেকে |
118 |
ই ব্যবসা অন্যত্র সরিয়ে নেন।[৭৮] মূলধন ও সম্পদে র এই হ্রাসের সঙ্গে যুক্ত হয় বিশ্ববাজারে এই অঞ্চলে উৎপাদিত ঐতিহ্যবাহী দ্রব্যগুলির (যেমন পাট ইত্যাদি) চাহিদা হ্রাস। ফলে শহরের আর্থিক অবস্থায় গুরুতর সংকট |
119 |
দেখা দেয়।[৭৯] এটি তার মধ্যে একটি 43 ১৯৯০-এর দশ কে ভারতীয় অর্থনীতির উদারীকরণ কলকাতার ভাগ্যোন্নয়নে বিশেষ সহায়ক হয়। আজও নমনীয় উৎপাদন কলকাতার অর্থব্যবস্থার একটি বৈশিষ্ট্য। ঘরোয়া সেক্টরগুলি তাই এখানে |
120 |
মোট শ্রমশক্তির ৪০% অধিকার করে আছে।[৮০] উদাহরণস্ বরূপ, ২০০৫ সালের হিসাব অনুযায়ী ফুটপাথের হকারদের মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৮,৭৭২ কোটি ভারতীয় টাকা (প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)।[৮১] শহরের অন্যতম বৃহৎ |
121 |
কর্মশক্তি হল রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীগ ণ। এছাড়াও বিভিন্ন কায়িক ও বৌদ্ধিক শ্রমিকসহ শহরে একটি বৃহৎ সংখ্যক অদক্ষ ও অর্ধদক্ষ শ্রমিক জনসংখ্যাও পরিলক্ষিত হয়। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প কলকাতার অর্থনৈত |
122 |
িক পুনরুজ্জীবনে একটি বিশিষ্ট ভূমিকা গ্রহণ করেছে। এ ই শহরে আইটি সেক্টরের বৃদ্ধির হার বছরে ৭০%, যা জাতীয় গড়ের দ্বিগুণ।[৪৯] বিগত কয়েক বছরে আবাসন পরিকাঠামো সেক্টরে উল্লেখযোগ্য হারে বিনিয়োগ হয়েছে। সঙ্গ |
123 |
ে সঙ্গে গৃহীত হয়েছে বেশ কয়েকটি নতুন প্রকল্পও।[৮২] 44 কলকাতার বিধাননগর অঞ্চলের শিল্পাঞ্চলের বিস্তৃত দৃশ্য বড় বড় ভারতীয় কর্পোরেশনগুলি দ্বারা পরিচালিত অনেকগুলি শিল্প ইউনিট কলকাতায় অবস্থিত। আইটিসি লি |
124 |
মিটেড, ভারত সরকার টাঁকশাল, এক্সাইড ইন্ডাস্ট্রিজ, হ িন্দুস্তান মোটরস, ব্রিটানিয়া ইন্ডাস্ট্রিজ, বাটা ইন্ডিয়া, বিড়লা কর্পোরেশন, কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড, দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন, ইউনাইটেড ব্যাংক অব ইণ্ডিয় |
125 |
া, ইউকো ব্যাংক ও এলাহাবাদ ব্যাংক ইত্যাদি বেশ কয়েকট ি স্বনামধন্য সংস্থার প্রধান কার্যালয় কলকাতায় অবস্থিত। সাম্প্রতিককালে, কেন্দ্রীয় সরকারের "পুবে তাকাও" ("লুক ইস্ট") নীতির মতো বিভিন্ন কর্মসূচি সিক্ক |
126 |
িমের নাথুলা গিরিপথ খুলে দেওয়ায় চীনের সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্যের নতুন সম্ভাবনার দিক খুলে দিয়েছে। তাছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলি ভারতীয় বাজারে প্রবেশে ইচ্ছুক হওয়ায় কলকাতার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি |
127 |
এখন অনেকটাই সুবিধাজনক।[৮৩][৮৪] 45 প্রশাসন কলকাতার বর্তমান নগর-প্রশাসক মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম[৪] নগরপাল অনুজ শর্মা [৮৫] 46 কলকাতা পৌরসংস্থার ওয়ার্ড মানচিত্র কলকাতা পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী। পশ্চিমবঙ্গ বিধ |
128 |
ানসভা, রাজ্য সচিবালয় মহাকরণ ও মুখ্যমন্ত্রীর কার্য ালয়, কলকাতা হাইকোর্ট সহ একাধিক রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার প্রধান কার্যালয় বা আঞ্চলিক কার্যালয় কলকাতায় অবস্থিত। 47 কলকাতার নগর প্রশাসন, আইনশ |
129 |
ৃঙ্খলা ও নাগরিক পরিষেবাগুলির দায়িত্ব একাধিক সরকার ি সংস্থার হাতে ন্যস্ত। এই সকল সংস্থার এক্তিয়ারভুক্ত এলাকা অনেক ক্ষেত্রেই পরস্পরের সঙ্গে প্রাবৃত। কলকাতা এই জাতীয় অন্তত চারটি এক্তিয়ার এলাকার অন্তর্ |
130 |
গত। এগুলি হল: 48 ১. কলকাতা জেলা, ২. কলকাতা পুলিশের এক্তিয়ারভুক্ত এলাকা, ৩. কলকাতা পৌরসংস্থার এক্তিয়ারভুক্ত এলাকা, ৪. বৃহত্তর কলকাতা বা কেএমডিএ এলাকা। পৌরসংস্থা মূল নিবন্ধ: কলকাতা পৌরসংস্থা 49 কলকাতার |
131 |
প্রাক্তন মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায়। কলকাতার স ্থানীয় স্বায়ত্তশাসন কর্তৃপক্ষ হল কলকাতা পৌরসংস্থা। ১৯২৩ সালে আধুনিক স্বায়ত্বশাসনমূলক সংস্থা হিসেবে এই পৌরসংস্থা গঠিত হয়।[৮৬] ১৯৮০ সালে কলকাতা পৌরসং |
132 |
স্থা আইন সংশোধনের মাধ্যমে এই পৌরসংস্থা তার বর্তমান চেহারাটি লাভ করে।[৮৭] বর্তমানে কলকাতার সমগ্র এলাকাটি ১৬টি বরো[৮৮] ও মোট ১৪৪টি ওয়ার্ডে[৮৯] বিভক্ত। ১৯৮০ সালের পৌর আইনের ভিত্তিতে কলকাতা পৌরসংস্থায় প্ |
133 |
রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৫ সালে। এই নির্বাচনে বামফ্রন্ট জয়লাভ করেছিল। এরপর ১৯৯০ ও ১৯৯৫ সালের নির্বাচনেওবামফ্রন্টই ক্ষমতা দখল করে। ২০০০ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০০৫ সালে পুনরায় |
134 |
বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসে। ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত সাম্প্র তিকতম নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস পুনরায় জয়লাভ করেছে।[৯০] কলকাতা পৌরসংস্থায় বর্তমানে তিনটি কর্তৃপক্ষ রয়েছে: পৌরনিগম, মহানাগরিক (মেয়র) ও সপরিষদ-মহানা |
135 |
গরিক। পৌরসংস্থার ১৪৪ জন পৌরপিতা/পৌরমাতা (কাউন্সিলর) শহরের এক একটি ওয়ার্ড থেকে নাগরিকদের ভোটে প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচিত হন।[৮৭] নির্বাচিত পৌরপিতা/পৌরমাতাগণ নিজেদের মধ্য থেকে একজনকে মহানাগরিক নির্বাচিত কর |
136 |
েন। মহানাগরিক, উপমহানাগরিক ও ১০ জন পৌরপিতা/পৌরমাতাক ে নিয়ে গঠিত হয় সপরিষদ-মহানাগরিক।[৮৭] পৌরসংস্থার প্রধান কাজ হল জল সরবরাহ, শহরের রাস্তাঘাট ও প্রকাশ্য স্থানসমূহের রক্ষণাবেক্ষণ, রাস্তার আলোকদান, বাড় |
137 |
িনির্মাণ নিবন্ধীকরণ ও নিয়ন্ত্রণ, পয়ঃপ্রণালী রক্ষণা বেক্ষণ ও কঠিন বর্জ্য পদার্থের অপসারণ ইত্যাদি।[৯১] 50 জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা কলকাতার অন্যান্য শাসনবিভাগীয় ও আরক্ষা-সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষগুলি হল: ক |
138 |
লকাতা জেলার সমাহর্তা (কালেকটর), কলকাতা পুলিশ, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সমাহর্তা তথা জেলাশাসক এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পুলিশ সুপার (এসপি)।[৯২] কলকাতায় শেরিফ নামে একটি নামসর্বস্ব সাম্মানিক পদও রয়েছে। 51 বি |
139 |
ভিন্ন ধরনের মামলা নিষ্পত্তির জন্য কলকাতায় একাধিক ন িম্ন আদালত, দেওয়ানি মামলার জন্য ছোটো আদালত ও ফৌজদারি মামলার জন্য দায়রা আদালত অবস্থিত। নগরপালের (পুলিশ কমিশনার) নেতৃত্বাধীন কলকাতা পুলিশ সরাসরি পশ্চ |
140 |
িমবঙ্গ সরকারের স্বরাষ্ট্র বিভাগের অন্তর্গত। 52 সংসদ ীয় ক্ষেত্র কলকাতা শহরের অধিকাংশ অঞ্চল ভারতীয় সংসদের কলকাতা উত্তর ও কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রদুটির অন্তর্গত। দক্ষিণ-পূর্ব কলকাতার কয়েকটি অঞ্চল য |
141 |
াদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। কলকাতা উত্তর লোকসভ া কেন্দ্রের বর্তমান সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ মালা রায়[৯৩] এবং যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ মিমি চক্রবর্ত |
142 |
ী সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে রয়েছে। কলকাতা মো ট ১৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে বিভক্ত। এই বিধানসভা কেন্দ্রগুলি কলকাতা পৌর এলাকার ১ থেকে ১৪৪ টি ওয়ার্ডের সমন্বয়ে বিভক্ত। এগুলি হল: 53 কলকাতা উত্তর লোকসভ |
143 |
া কেন্দ্র চৌরঙ্গী বিধানসভা কেন্দ্র এন্টালি বিধানসভা ক েন্দ্র বেলেঘাটা বিধানসভা কেন্দ্র জোড়াসাঁকো বিধানসভা কেন্দ্র শ্যামপুকুর বিধানসভা কেন্দ্র মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র কাশীপুর-বেলগাছিয়া বিধানসভা কেন্ |
144 |
দ্র[৯৪] কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্র কসবা বিধানসভা কেন ্দ্র বেহালা পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র বেহালা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র কলকাতা বন্দর বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র রাসবিহারী বিধানসভা কেন্দ |
145 |
্র বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র[৯৫] যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্র টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র[৯৪] ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র মেটিয়াবুরুজ বিধানসভা কেন্দ্র (আংশিক) জনপরিসংখ্যান 54 কলকাত |
146 |
ার এক পুতুল বিক্রেতা। কলকাতার জনসংখ্যা ২০১১ সালের হিসে ব অনুযায়ী, কলকাতার পৌর এলাকার জনসংখ্যা ৪৪৮৬৬৭৯ এবং কলকাতা মহানগরীয় অঞ্চলের মোট জনসংখ্যা ১,৪১,১২,৫৩৬। লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ জন পুরুষে ৯১৯ জন নার |
147 |
ী।[৯৬] এই হার জাতীয় লিঙ্গানুপাত হারের তুলনায় কম; তার কারণ, অনেক উপার্জনশীল পুরুষ তাদের পরিবারের মহিলা সদস্যদের গ্রামে রেখে শহরে কাজ করতে আসেন। কলকাতার সাক্ষরতার হার ৮৮.৩৩ শতাংশ[৭]; যা জাতীয় সাক্ষরতা |
148 |
র হার ৭৪.০৪ শতাংশের তুলনায় বেশি।[৯৭] নথিভুক্ত হিসেব অন ুযায়ী কলকাতা পৌরসংস্থা অধিভুক্ত এলাকার বৃদ্ধির হার ৪.১ শতাংশ; যা ভারতের দশ লক্ষাধিক জনসংখ্যাবিশিষ্ট মহানগরগুলির মধ্যে সর্বনিম্ন।[৯৮] 55 ভাষা বাঙ |
149 |
ালিরা কলকাতার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী; মারোয়াড়ি ও বিহার ি সম্প্রদায় শহরের উল্লেখযোগ্য জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় (২০ শতাংশ)।[৯৯] এছাড়াও কলকাতা প্রবাসী চীনা, তামিল, নেপালি, ওড়িয়া, তেলুগু, অসমীয়া, |
150 |
গুজরাটি, অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান, আর্মেনিয়ান, তিব্বতি, মহারাষ ্ট্রীয়, পাঞ্জাবি, পারসি প্রভৃতি জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসভূমি। কলকাতার প্রধান ভাষা হল বাংলা ও ইংরেজি; এছাড়াও হিন্দি, উর্দু, ওড়িয়া ও |
151 |
ভোজপুরি ভাষাও শহরের একাংশের বাসিন্দাদের দ্বারা কথিত হয়ে থাকে। 56 কলকাতার ভাষাগোষ্ঠী (২০১১) 57 বাংলা (৬১.৪৫%) হিন্দী (২২.৮৪%) উর্দু (১৩.০৪%) অন্যান্য (২.৬৭%) ধর্ম কলকাতার ধর্মবিশ্বাস[১০০] ধর্ম শতাংশ হি |
152 |
ন্দুধর্ম ৭৭.৬৮% ইসলাম ২০.২৭% খ্রিষ্টধর্ম ০.৮৮% জৈ নধর্ম ০.৪৬% অন্যান্য ০.৭১% জনগণনা অনুসারে, কলকাতার জনসংখ্যার ৭৭.৬৮ শতাংশ হিন্দু, ২০.২৭ শতাংশ মুসলিম, ০.৮৮ শতাংশ খ্রিষ্টান এবং ০.৪৬ শতাংশ জৈন; |
153 |
অবশিষ্ট শিখ, বৌদ্ধ, ইহুদি ও জরথুস্ট্রীয় সম্প্রদায়ের জ নসংখ্যা অত্যন্ত অল্প।[১০১] শহরের প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ ২,০১১টি নথিভুক্ত এবং ৩,৫০০টি অনথিভুক্ত (মূলত দখলদার) বস্তিতে বাস করেন।[১০২] 58 অপরাধ ও আ |
154 |
ইনশৃঙ্খলা ২০০৪ সালে দেশের ৩৫টি মহানগরের মধ্যে কলকাতায় স ংঘটিত বিশেষ ও স্থানীয় আইনের আওতাভুক্ত অপরাধের হার ৬৭.৬ শতাংশ।[১০৩] ২০০৪ সালে কলকাতা পুলিশ ১০,৭৫৭টি ভারতীয় দণ্ডবিধির আওয়াভুক্ত মামলা নথিভুক্ত |
155 |
করে; যা সারা দেশে দশম স্থানের অধিকারী।[১০৪] ২০০৬ সালে জাত ীয় স্তরে যখন অপরাধ হার ছিল প্রতি এক লক্ষে ১৬৭.৭, তখন কলকাতায় এই হার ছিল ৭১; যা ভারতীয় মহানগরগুলির মধ্যে ছিল সর্বনিম্ন হার।[১০৫] কলকাতার সোনা |
156 |
গাছি অঞ্চল এশিয়ার বৃহত্তম নিষিদ্ধ পল্লিগুলির অন্যতম; এখান ে প্রায় ১০,০০০ যৌনকর্মী কাজ করেন।[১০৬] 59 সংস্কৃতি মূল নিবন্ধ: কলকাতার সংস্কৃতি আরও দেখুন: বিশিষ্ট কলকাতাবাসীদের তালিকা ও পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আক |
157 |
াদেমি 60 কলকাতা বইমেলা কলকাতা মহানগরী তার সাহিত্যিক, শৈল্ পিক ও বৈপ্লবিক ঐতিহ্যগুলির জন্য বিশ্ববিদিত। এই শহর কেবলমাত্র ভারতের পূর্বতন রাজধানীই ছিল না, বরং আধুনিক ভারতের শিল্প ও সাহিত্য চেতনার জন্মস্থান |
158 |
ও ছিল। শিল্প ও সাহিত্যের প্রতি কলকাতাবাসীদের বিশেষ আগ্রহ প রিলক্ষিত হয়ে থাকে; নতুন প্রতিভাকে গ্রহণ করার ঐতিহ্য কলকাতাকে তাই পরিণত করেছে "প্রচণ্ড সৃজনীশক্তিধর এক শহরে"।[১০৭] এই সকল কারণে কলকাতাকে অনেক |
159 |
সময় "ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী" বলে উল্লেখ করা হয়। 61 কল কাতার অন্যতম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হল শহরের ছোটো ছোটো অঞ্চলকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা পাড়া সংস্কৃতি। সাধারণত প্রত্যেক পাড়ায় একটি করে ক্লাবঘর সহ |
160 |
নিজস্ব সংঘ বা ক্লাব থাকে। অনেক সময় ক্লাবগুলির নিজস্ব খেলার মাঠও থাকে। পাড়ার বাসিন্দারা অভ্যাসগতভাবে এখানে এই সব ক্লাবঘরে আড্ডা দিতে আসেন; মাঝেমধ্যে এই সব আড্ডা হয়ে ওঠে মুক্তছন্দের বৌদ্ধিক আলাপআলোচনা |
161 |
।[১০৮] এই শহরে রাজনৈতিক দেওয়াললিখনেরও এক ঐতিহ্য লক্ষিত হয় ; এই সব দেওয়াললিখনে কুরুচিপূর্ণ কেচ্ছাকেলেংকারির বর্ণনা থেকে শ্লেষাত্মক রঙ্গব্যঙ্গ, লিমেরিক, কার্টুন, ইস্তাহার – সবই বিধৃত হয়। 62 সাহিত্য আ |
162 |
রও দেখুন: বাংলা সাহিত্য 63 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর - এশিয়ার প্র থম[১০৯] সাহিত্যে নোবেল বিজেতা[১১০] এবং ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা। বাংলা তথা ভারতীয় সাহিত্যের এই দিকপালের জন্ম ও মৃত্যু কলকাতায়। ঊনবিংশ |
163 |
ও বিংশ শতাব্দীতে কলকাতাকেন্দ্রিক সাহিত্যিকদের হাত ধরে বাংলা সাহিত্যের আধুনিকীকরণ সম্পন্ন হয়। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮–১৮৯৪), মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪–১৮৭৩), রবীন |
164 |
্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১–১৯৪১), কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৮–১৯৭৬) ও শ রৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬–১৯৩৮) প্রমুখ। এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহন করে চলেন শহরের পরবর্তী প্রজন্মের খ্যাতিমান সাহিত্যিকেরা। এঁদের মধ্যে উল্ল |
165 |
েখনীয় হলেন জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯–১৯৫৪), বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ ্যায় (১৮৯৪–১৯৫০), তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৮–১৯৭১), মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯০৮–১৯৫৬), বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-১৯৭৪), আশাপূর্ণা দেবী (১৯০৯– |
166 |
১৯৯৫) প্রমুখ। বর্তমান প্রজন্মের সাহিত্যিকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্ য হলেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় (জন্ম ১৯৩৫), বুদ্ধদেব গুহ (জন্ম ১৯৩৬), মহাশ্বেতা দেবী (জন্ম ১৯২৬), সমরেশ মজুমদার (জন্ম ১৯৪৪), সঞ্জীব চট্টোপা |
167 |
ধ্যায় (জন্ম ১৯৩৬), সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় (জন্ম ১৯৩৪) এবং জয় গো স্বামী (জন্ম ১৯৫৪) প্রমুখ। 64 সঙ্গীত আরও দেখুন: বাংলা সঙ্গীত 65 কলকাতার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত একটি নৃত্যানুষ্ঠান। কলকাতা শহরে |
168 |
র সঙ্গীত-গীতি-কাব্যের ঐতিহ্য সুপ্রাচীন। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষা র্ধ থেকেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি বহির্বঙ্গ থেকেও বহু বিশিষ্ট সঙ্গীতস্রষ্টা ও গায়ক কলকাতায় এসে বসতি স্থাপন করেন। এর ফলে অষ্টাদশ-ঊনবি |
169 |
ংশ শতাব্দীতে বাংলা গানে একটি বিশেষ কলকাতা-কেন্দ্রিক ধারার সৃষ্ টি হয়, যা অধুনা "পুরাতনী" নামে পরিচিত।[১১১] এই সময়কার সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় এবং উল্লেখযোগ্য সঙ্গীতস্রষ্টা-গায়ক হলেন বাংলা টপ্পা সঙ্গীতের |
170 |
জনক রামনিধি গুপ্ত (নিধুবাবু); তার রচিত টপ্পাগান আজও জনপ্রিয়। নিধুবাবুই বাংলায় প্রথম দেশাত্মবোধক গান "নানান দেশে নানান ভাষা, বিনে স্বদেশীয় ভাষা মিটে কি আশা"-র রচয়িতা।[১১২] সেযুগের অন্যান্য বিশিষ্ট |
171 |
সঙ্গীতস্রষ্টা-গায়কেরা হলেন রাম বসু, হরু ঠাকুর, গোপাল উড়ে, গোঁ জলা গুই, রূপচাঁদ পক্ষী, শ্রীধর কথক প্রমুখ।[১১১] ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে বাংলা গানে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি ও ব্রহ্মসঙ্গীতের অবদানও অনস্বীকা |
172 |
র্য।[১১১] কলকাতার জনসমাজে কবিগান, তরজা, আখড়াই-হাফ আখড়াই, টপ্পা প্রভৃতি গানের বিশেষ জনপ্রিয়তা ছিল।[১১১] 66 জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, বাংলা সাহিত্যে ও গানে এই বাড়ির সদস্যদের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। |
173 |
বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে কলকাতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ ্রলাল রায়, অতুলপ্রসাদ সেন, রজনীকান্ত সেন ও কাজী নজরুল ইসলাম রচিত গানের চর্চা শুরু হয়। রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চা ও শিক্ষার ক্ষেত্রে কলকাতা এক |
174 |
বিশিষ্ট স্থানের অধিকারী। এই শহরের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং "গীতবিতান", "রবিতীর্থ", "দক্ষিণী" প্রভৃতি রবীন্দ্রসঙ্গীত শিক্ষায়তন বিশেষ খ্যাতিসম্পন্ন। কলকাতা-কেন্দ্রিক উল্লেখযোগ্য রবীন্দ্রসঙ্গীত |
175 |
শিল্পীরা হলেন পঙ্কজকুমার মল্লিক, কুন্দনলাল সায়গল, দেবব্রত বিশ্ব াস, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুচিত্রা মিত্র, সাগর সেন, চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়, সুমিত্রা সেন প্রমুখ; এবং একালের বিশিষ্ট শিল্পীদের মধ্যে প্রম |
176 |
িতা মল্লিক, স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত, শ্রাবণী সেন, ইন্দ্রাণী সেন, শ্রীকান্ত আচার্যের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। নজরুলগীতির ক্ষেত্রে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, অঞ্জলি মুখোপা |
177 |
ধ্যায়,ধীরেন বসু,অনুপ ঘোষাল প্রমুখ শিল্পীরা। দ্বিজেন্দ্রগীতি-অতুল প্রসাদী-রজনীকান্তের গানে উল্লেখযোগ্য শিল্পীরা হলেন কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায়, মঞ্জু গুপ্ত, শর্বাণী সেন,নিশিথ সাধু প্রমুখ। বিংশ শতাব্দীর শেষ |
178 |
পর্বে কলকাতা-কেন্দ্রিক গীতিকার-সুরকার ও গায়ক-গায়িকারা বাংলা আধুন িক গানে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন।[১১৩] এই সময়কার বিশিষ্ট গীতিকার-সুরকারেরা হলেন সলিল চৌধুরী, হিমাংশু দত্ত, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার, নচিকেতা |
179 |
ঘোষ, সুধীন দাশগুপ্ত, মোহিনী চৌধুরী, প্রনব রায়,শ্যামল গুপ্ত, পুলক ব ন্দ্যোপাধ্যায়, কমল দাশগুপ্ত প্রমুখ।[১১৩] জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কৃষ্ণচন্দ্র দে,, শচীন দেববর্মণ, হেমন্ত মুখোপাধ্যায |
180 |
়, জগন্ময় মিত্র, ধঞ্জয় ভট্টাচার্য,মান্না দে, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র,মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়,সতিনাথ মুখোপাধ্যায়, কিশোরকুমার, প্রমুখ।[১১৩] 67 বাংলা ব্যান্ড চন্দ্রবিন্দুর অনুষ্ঠান। ১৯৯০-এর |
181 |
দশকের প্রথম ভাগ থেকে বাংলা সঙ্গীতের জগৎে এক নতুন ধারার সূচনা ঘটে। এ ই ধারার বৈশিষ্ট্য লক্ষিত হয় বিভিন্ন বাংলা ব্যান্ডের গানে। কোনো কোনো ব্যান্ড আবার বাংলা লোকসঙ্গীতের সঙ্গে জ্যাজ ও অন্যান্য পাশ্চাত্য |
182 |
সঙ্গীতের ফিউশনও ঘটায়। তবে এই ধারায় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য কবীর সুমন , নচিকেতা, অঞ্জন দত্ত এবং বাংলা ব্যান্ড চন্দ্রবিন্দু ও ক্যাকটাসের "জীবনমুখী গান"। এছাড়া কলকাতায় হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও ব |
183 |
াউল-ভাটিয়ালি ইত্যাদি বাংলা লোকসঙ্গীতও বিশেষ জনপ্রিয়। কলকাতার দুটি প ্রধান সঙ্গীত-উৎসব হল বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত "বাংলা সঙ্গীত মেলা"(২০১১ পর থেকে এটি এখন ডিসেম্বর জানুয়ারিতে হয়) ও ডোভার লেন সঙ |
184 |
্গীত সম্মেলন। 68 নাটক 69 স্টার থিয়েটার, কলকাতা কলকাতার যাত্রাপালা, নাটক ও গ্রুপ থিয়েটারের ঐতিহ্য সুবিদিত। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে ও বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪–১৮৭৩), দীনবন্ধু |
185 |
মিত্র (১৮৩০–১৮৭৩), গিরিশচন্দ্র ঘোষ (১৮৪৪–১৯১২), দ্বিজেন্দ্রলাল রায় (১৮৬৩–১৯১৩), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১–১৯৪১), ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ (১৮৬৩–১৯২৭) প্রমুখ কলকাতাকেন্দ্রিক নট ও নাট্যকারগণের হাত ধরে বা |
186 |
ংলা নাট্যসাহিত্যে আধুনিকতার সূত্রপাত হয়েছিল। বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পশ্চিমবঙ্গের বাংলা নাটকে যা বাস্তবমুখী গণনাট্য ও নবনাট্য ধারার সূচনা হয় তার পুরোধা ব্যক্তিত্বরা ছিলেন |
187 |
তুলসী লাহিড়ী (১৮৯৭–১৯৫৯), বিজন ভট্টাচার্য (১৯১৫–১৯৭৮), উৎপল দত্ত (১ ৯২৯–১৯৯৩), শম্ভু মিত্র (১৯১৫–১৯৯৭), তৃপ্তি মিত্র (১৯২৪–১৯৮৯) প্রমুখ নাট্যব্যক্তিত্বেরা। বাংলা নাটকের এই ঐতিহ্য বর্তমানে বহন করছেন সৌ |
188 |
মিত্র চট্টোপাধ্যায় (জন্ম ১৯৩৫), মনোজ মিত্র (জন্ম ১৯৩৮), শাঁওলি মিত্র , ব্রাত্য বসু প্রমুখেরা। নাট্য গবেষণার উন্নতিকল্পে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমি স্থাপন করেছে। কলকাতার উল্লেখয |
189 |
োগ্য নাট্যমঞ্চগুলি হল স্টার থিয়েটার, মিনার্ভা থিয়েটার, মহাজাতি সদন, রবীন্দ্রসদন, শিশির মঞ্চ, মধুসূদন মঞ্চ ও গিরিশ মঞ্চ। 70 ১৯৮৪ সালে নান্দীকার জাতীয় নাট্যোৎসব শুরু হয়। এটি একটি বার্ষিক নাট্যোৎসব। ন |
190 |
ান্দীকার নাট্যদল অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের মঞ্চে এই উৎসব আয়োজন করে। 71 চলচ্চিত্র 72 সত্যজিৎ রায় বাংলা চলচ্চিত্র ও মূলধারার হিন্দি চলচ্চিত্র কলকাতায় সমান জনপ্রিয়। শহরের ফিল্ম স্টুডিও টালিগঞ্জে অবস্ |
191 |
থিত; এই কারণে বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পকে "টলিউড" নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। সত্যজিৎ রায় (১৯২১–১৯৯২) কলকাতার একজন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক। ১৯৯১ সালে তিনি তার সারা জীবনের কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ অস্কার পু |
192 |
রস্কার পেয়েছিলেন। tতার জন্ম ও কর্মস্থল ছিল কলকাতা। সেই জন্য তার বহ ু ছবিতে কলকাতার জীবনযাত্রার ছবি ধরা পড়েছে। ১৯৭০-এর দশকে সত্যজিৎ রায় সমকালীন কলকাতাকে আর্থ-সামাজিক সমস্যাগুলিকে কেন্দ্র করে নির্মিত |
193 |
তিনটি ছবি পরিচালনা করেছিলেন। এগুলি হল প্রতিদ্বন্দ্বী (১৯৭০), সীমাবদ্ ধ (১৯৭১) ও জন অরণ্য (১৯৭৫)। এই তিনটি ছবি "কলকাতা ট্রিলজি" নামে পরিচিত। সত্যজিৎ রায় ছাড়াও একাধিক কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালকের কর্ম |
194 |
জীবন গড়ে উঠেছে এই শহরকে কেন্দ্র করেই। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মৃণাল সেন (জন্ম ১৯২৩), তপন সিংহ (১৯২৪-২০০৯), ঋত্বিক ঘটক (১৯২৫–১৯৭৬) এবং আধুনিক চিত্র পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত (জন্ম ১৯৪৪), অপর্ণা সেন (জন |
195 |
্ম ১৯৪৫), গৌতম ঘোষ (জন্ম ১৯৫০) ও ঋতুপর্ণ ঘোষ (৩১ শে আগস্ট, ১৯৬৩-৩০ শে মে, ২০১৩)। কলকাতার বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উত্তম কুমার (১৯২৬–১৯৮০), সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (জন্ম ১৯ |
196 |
৩৫), সুচিত্রা সেন (১৯২৯-২০১৪), ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯২০–১৯৮৩), অপর্ ণা সেন (জন্ম ১৯৪৫), প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (জন্ম ১৯৬২) প্রমুখ। 73 কলকাতা ফিল্ম সোসাইটি ভারতের দ্বিতীয় ফিল্ম সোসাইটি। ১৯৪৭ সালে সত |
197 |
্যজিৎ রায় ও চলচ্চিত্র জগৎের অন্যান্য ব্যক্তিত্বেরা এই সোসাইটি স্থাপন করেন।[১১৪] ১৯৮৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার নন্দনে "পশ্চিমবঙ্গ চলচ্চিত্র কেন্দ্র" স্থাপন করে। এরপর ১৯৯৫ সালে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র |
198 |
উৎসব শুরু হয়। 74 স্থাপত্য 75 সায়েন্স সিটি, আধুনিক স্থাপত্যের একট ি নিদর্শন। কলকাতার অনেক ভবন ও স্থাপনা গথিক, ব্যারোক, রোমান, প্রাচ্য, ও মুঘল স্থাপত্য সহ অন্যান্য ইন্দো-ইসলামীয় শৈলীর মোটিফ দ্বারা সজ |
199 |
্জিত। ঔপনিবেশিক যুগের অনেক উল্লেখযোগ্য ভবনই সুসংরক্ষিত এবং "ঐতিহ্যবা হী ভবন" হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। আবার অনেক ভবনই আজ কালের গহ্বরে বিলীয়মান। 76 গোর্খা যুদ্ধের (১৮১৪-১৬) স্মৃতিতে নির্মিত অক্টারলোনি মনুমে |
200 |
ন্ট (১৮৪৮) মিশরীয়, সিরীয় ও তুর্কি স্থাপত্যরীতির সংমিশ্রণ দেখা যায় ।[১১৫] ১৯৬৯ সালে এই স্মৃতিস্তম্ভটি স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত হয়। তাই এখন এটি "শহীদ মিনার" নামে পরিচিত।[১১৬] পশ |
201 |
্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয় মহাকরণ গ্রিকো-রোমান স্থাপত্যের একটি নিদর্শন ।[২১] কলকাতায় অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের রাজভবন ইংল্যান্ডের ডার্বিশায়ারের কেডলস্টন হলের আদলে নির্মিত।[১১৭] কলকাতা হাইকোর্টের মূল ভবনটি |
202 |
বেলজিয়ামের ইপ্রেসের ক্লথ হলের আদলে নির্মিত।[১১৮] 77 কলকাতার আলিপুরে অবস্থিত জাতীয় গ্রন্থাগার[১১৯] হল ভারতের বৃহত্তম গ্রন্থাগার তথা দেশের সর্বজনীন নথিপত্রের অভিলেখাগার।[১২০][১২১] এই গ্রন্থাগারে বাইশ ল |
203 |
ক্ষেরও বেশি বই সংগৃহীত রয়েছে।[১২২] অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস ও অন্যা ন্য শিল্প প্রদর্শশালায় নিয়মিত শিল্প প্রদর্শনী আয়োজিত হয়ে থাকে। 78 জাদুঘর 79 এশিয়ার সবচেয়ে পুরনো জাদুঘর ভারতীয় সংগ্রহালয় কলকা |
204 |
তার ভারতীয় সংগ্রহালয় হল এশিয়ার সবচেয়ে পুরনো জাদুঘর। ১৮১৪ সালে এ ই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে ভারতের প্রাকৃতিক ইতিহাস ও ভারতীয় শিল্পকলার এক বিরাট সংগ্রহ সংরক্ষিত আছে।[১২৩] কলকাতার আর একটি উল্লেখয |
205 |
োগ্য দ্রষ্টব্য স্থল হল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল। এটি ১৯২১ সালে যুক্ তরাজ্যের সম্রাজ্ঞী ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিসৌধ হিসেবে স্থাপিত হয়েছিল। সৌধটি বেলফাস্ট সিটি হলের আদলে নির্মিত। এর মধ্যে ইতালীয় রেনেসাঁ, ই |
206 |
ন্দো-সারাসেনীয় ও মুঘল স্থাপত্যশৈলীর সংমিশ্রণ দেখা যায়। বর্তমানে এটি একটি জাদুঘর ও প্রদর্শশালা।[১২৪] কলকাতার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জাদুঘরগুলি হল রাজ্য পুরাতত্ত্ব সংগ্রহালয় বেহালা, কলকাতা বিশ্ববিদ্যাল |
207 |
য় আশুতোষ সংগ্রহশালা, স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসভবন, জোড়াসাঁকো ঠা কুরবাড়ি, নেতাজি ভবন ইত্যাদি। 80 শিল্পকলা 81 কালীঘাটের পট কলকাতার নিজস্ব এক চিত্রশৈলী। কলকাতার কালীঘাটের পট চিত্রকলা ভারতীয় শিল্পে |
208 |
র একটি স্বতন্ত্র ঘরানা। কালীঘাট মন্দিরের কাছে উনিশ শতকে এই চিত্রশিল্ প বিকাশ লাভ করেছিল। সেই সময় তীর্থযাত্রীরা স্মারক হিসেবে এই ছবিগুলি কিনে নিয়ে যেত। হিন্দু দেবদেবী, পৌরাণিক ঘটনাবলি ও সমসাময়িক নানা |
209 |
ঘটনাকে এক বিশেষ ধরনের ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলাই ছিল এই ঘরানার বৈশিষ ্ট্য। 82 বিশ শতকের গোড়ার দিকে কলকাতা শহরকে কেন্দ্র করে "বেঙ্গল স্কুল অফ আর্ট" চিত্রশিল্পের বিশেষ এক ঘরানার জন্ম হয়। এই শিল্পকলার |
210 |
পুরোধাপুরুষ ছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি ক্যালকাটা স্কুল অফ আর্টের প্রভাবে মুঘল চিত্রকলা ও পাশ্চাত্য শিল্পীরীতির মিশ্রণ ঘটিয়ে বাংলা চিত্রকলার এই নিজস্ব ঘরানাটির জন্ম দেন।[১২৫][১২৬] পরবর্তীকালে গণেশ |
211 |
পাইন, বিকাশ ভট্টাচার্য প্রমুখ শিল্পীরা এই ঘরানার দ্বারা বিশেষভাবে প্র ভাবিত হন। 83 উৎসব মূল নিবন্ধ: কলকাতার উৎসব আরও দেখুন: দুর্গাপূজা, আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তকমেলা ও পঁচিশে বৈশাখ 84 কলকাতার প্রধান ধর |
212 |
্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। কলকাতার উৎসবগুলি প্রকৃতিগতভাবে দুই প্রকার। যথ া: ধর্মীয় উৎসব ও ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব। কলকাতার জনসংখ্যার শতকরা ৮০ ভাগ হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় হিন্দু উৎসবগুলি এই শহরে সর্বাধিক উৎসা |
213 |
হ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়ে থাকে। দুর্গাপূজা কলকাতার বৃহত্তম ধর ্মীয় উৎসব।[১২৭] প্রতিবছর বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে আশ্বিন-কার্তিক মাসে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। কলকাতার দুর্গাপূজা শহরের অন্যতম পর্যটন আক |
214 |
র্ষণও বটে। হিন্দুদের অন্যান্য উৎসবগুলির মধ্যে লক্ষ্মীপূজা, কালীপূজা, জ গদ্ধাত্রী পূজা, পৌষ সংক্রান্তি, সরস্বতী পূজা, শিবরাত্রি, দোলযাত্রা, পয়লা বৈশাখ, রথযাত্রা, জন্মাষ্টমী ও বিশ্বকর্মা পূজা;এবং অবাঙাল |
215 |
ি হিন্দুদের উৎসবগুলির মধ্যে দীপাবলি, ধনতেরস ও ছটপূজা সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামি উৎসবগুলির মধ্যে ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, মহরম, শবেবরাত ইত্যাদি; খ্রিষ্টান উৎসবগুলির মধ্যে বড়দিন ও গুড ফ্রাইডে; বৌদ্ধ উৎ |
216 |
সব বুদ্ধ পূর্ণিমা; জৈন উৎসব মহাবীর জয়ন্তী এবং শিখ উৎসব গুরু নানক জয়ন্ তীও মহাসমারোহে পালিত হয়। 85 কলকাতায় রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠান। কলকাতার ধর্মনিরপেক্ষ উৎসবগুলির মধ্যে সর্বপ্রধান হল আন্তর্জাতিক কল |
217 |
কাতা পুস্তকমেলা ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী পঁচিশে বৈশাখ। এছাড়া কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব, নান্দীকারের জাতীয় নাট্যমেলা, বিভিন্ন আঞ্চলিক ও ছোটো বইমেলা ইত্যাদিও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়। |
218 |
কলকাতার চায়নাটাউনে প্রবাসী চীনাদের চৈনিক নববর্ষ উৎসবও কলকাতার অন্যতম দ ্রষ্টব্য উৎসব। প্রতি বছর জুন মাসে কলকাতায় সমকামীদের গৌরব পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়; কলকাতার এই পদযাত্রা ভারতের প্রথম গৌরব পদযাত্রা।[ |
219 |
১২৮] 86 খাদ্যাভ্যাস কলকাতার বাঙালিদের প্রধান খাদ্য ভাত ও মাছ।[১২৯] এর স ঙ্গে রসগোল্লা ও সন্দেশ নামে দুই ধরনের মিষ্টি ও মিষ্টি দই বাঙালিরা বিশেষ পছন্দ করে। চিংড়ি ও সামুদ্রিক মাছ ইলিশ দিয়ে রান্না করা ব |
220 |
িভিন্ন রকম পদও বাঙালিদের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয়। পথখাদ্যের মধ্যে বেগুনি, র োল (চিকেন, মাটন, এগ বা সবজি), ফুচকা বিশেষ জনপ্রিয়। চায়নাটাউনের চীনা খাবারও বেশ জনপ্রিয়।[১৩০][১৩১][১৩২][১৩৩] কলকাতার অধিবাসীদে |
221 |
র মধ্যে মিষ্টি খাবার চল বেশি। বিশেষত সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসব-অনুষ্ঠানে মিষ ্টির বিশেষ চাহিদা দেখা যায়।[১৩৪] 87 পোশাক-পরিচ্ছদ কলকাতার পুরুষদের মধ্যে পাশ্চাত্য পোশাক পরার চল থাকলেও মহিলাদের মধ্যে সাধারণত |
222 |
ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। পুরুষেরা শার্ট, টি-শার্ট, ট্রাউজার্স, জিনস প্রভৃতি পরতে অভ্যস্ত। তবে উৎসবে অনুষ্ঠানে ধুতি-পাঞ্জাবি অথবা পায়জামা-পাঞ্জাবি পরার চলই বেশি। অন্যদিকে মহিলারা |
223 |
শাড়ি অথবা সালোয়ার-কামিজ পরেন। ধর্মপ্রাণ মুসলিম মহিলাদের বোরকা পরতেও দে খা যায়। অবশ্য তরুণীদের মধ্যে পাশ্চাত্য পোশাকও সমান জনপ্রিয়। 88 শিক্ষাব্যবস্থা মূল নিবন্ধ: কলকাতার শিক্ষাব্যবস্থা 89 কলকাতার এ |
224 |
কটি বিদ্যালয়ের ছাত্রদল 90 কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা তথা দক্ষিণ এশি য়ার প্রথম আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়। (ছবিতে দেখা যাচ্ছে কলেজ স্ট্রিটের আশুতোষ শিক্ষাপ্রাঙ্গনের আশুতোষ সংগ্রহশালা ভবন ও শতবার্ষিকী ভব |
225 |
ন)। 91 প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা 92 অরবিন্দ ভবন, যাদবপুর বিশ ্ববিদ্যালয় 93 ভারতের জাতীয় গ্রন্থাগার কলকাতার বিদ্যালয়গুলি রাজ্য সরকার অথবা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত। এই সংস্থাগ |
226 |
ুলির মধ্যে বেশ অনেকগুলিই ধর্মীয় সংগঠন। কলকাতায় শিক্ষাদানের প্রাথমিক ভাষা হল বাংলা ও ইংরেজি। তবে মধ্য কলকাতার কয়েকটি বিদ্যালয়ে হিন্দি ও উর্দুতেও শিক্ষাদান করা হয়।[১৩৫][১৩৬] কলকাতার বিদ্যালয়গুলি "১ |
227 |
০+২" পরিকল্পনা অনুসরণ করে। মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ করার পর ছাত্রছাত্র ীরা প্রধানত পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বা ইন্ডিয়ান সার্টিফিকেট অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (আইসিএসই) অথবা কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক |
228 |
শিক্ষা বোর্ড (সিবিএসই) কর্তৃক অনুমোদিত এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার উপযুক্ ত পরিকাঠামোযুক্ত বিদ্যালয়গুলিতে ভর্তি হয়।[১৩৫] উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে তারা মূলত মানবীয় বিদ্যা, বাণিজ্য বা বিজ্ঞান বিভাগের মধ্যে য |
229 |
ে কোনো একটি বেছে নেন। বৃত্তিমূলক কর্মসূচিগুলিও এখানে সুলভ।[১৩৫] কলকাতার কয়েকটি বিদ্যালয় সারা দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির অন্যতম। এগুলির মধ্যে লা মার্টিনিয়ার ক্যালকাটা, ক্যালকাটা বয়েজ’ স্কুল |
230 |
, সেন্ট জেমস’ স্কুল, সেন্ট জেভিয়ার'স কলেজিয়েট স্কুল ও লোরেটো হাউজ বিশে ষভাবে উল্লেখযোগ্য।[১৩৭] 94 ২০১০ সালের হিসেব অনুযায়ী, কলকাতা মহানগর অঞ্চলে রাজ্য সরকার পরিচালিত মোট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল |
231 |
১৪টি।[১৩৮] কলকাতার প্রত্যেকটি কলেজ কলকাতায় অথবা ভারতের অন্যত্র অবস্থিত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক অনুমোদিত। ১৭৮০ সালে মোহামেডান কলেজ অফ ক্যালকাটা নামে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্র |
232 |
তিষ্ঠানটি ছিল শহরের সবচেয়ে পুরনো উত্তর-মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বর্তম ানে এটি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত।[১৩৯] ১৮৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম আধুনিক বিশ্বব |
233 |
িদ্যালয়।[১৪০] ১৮১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হিন্দু কলেজ ভারতের সবচেয়ে পুরনো সুবি খ্যাত কলেজগুলির অন্যতম। ১৮৫৫ সালে এই কলেজটির নাম বদলে প্রেসিডেন্সি কলেজ রাখা হয়। ২০১০ সাল পর্যন্ত কলেজটি ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্য |
234 |
ালয় কর্তৃক অনুমোদিত। ওই বছরই কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে উন্নীত হয় এবং প ্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় নামে চিহ্নিত হয়। হাওড়ার ভারতীয় প্রকৌশল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান ভারতের দ্বিতীয় প্ |
235 |
রাচীনতম ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।[১৪১] এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ভারতের প্র থম ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বা আইআইইএসটি স্তরে উন্নীত হয় এবং জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন শি |
236 |
ক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘোষিত হয়।[১৪২] ১৯৬১ সালে দক্ষিণ-পশ্চিম শহরতলির জোকায় প্রতিষ ্ঠিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট ক্যালকাটা দেশের ম্যানেজমেন্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সর্বাগ্রে স্থাপিত। ২০০৬ স |
237 |
ালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় বৈদেশিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান দেশের অন্যতম গুরুত ্বপূর্ণ একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।[১৪৩] কলকাতায় স্থাপিত পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় আইনবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় হল ভারতের অন্যতম স্বশাসিত |
238 |
আইন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান[১৪৪][১৪৫] এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট হল এ কটি সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান তথা বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় |
239 |
(পূর্বতন নাম পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়]] হল ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদ ের সংখ্যা এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির সংখ্যার নিরিখে ভারতের বৃহত্তম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যা |
240 |
লয়। এছাড়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ এডুকেশ নাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (ইউইএম) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। 95 যে |
241 |
সকল স্বনামধন্য বিদ্বজ্জন কলকাতায় জন্মগ্রহণ, পড়াশোনা বা কাজ করেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পদার্থবিদ সত্যেন্দ্রনাথ বসু, মেঘনাদ সাহা,[১৪৬] ও জগদীশচন্দ্র বসু;[১৪৭] রসায়নবিদ প্রফুল্লচন্দ্র রায়;[১৪৬] পর |
242 |
িসংখ্যানবিদ প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ ও অনিল কুমার গাঁই;[১৪৬] চিকিৎসক উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী;[১৪৬] শিক্ষাবিদ আশুতোষ মুখোপাধ্যায়;[১৪৮] এবং নোবেল পুরস্কারজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,[১৪৯] চন্দ্রশেখর বেঙ্কট রমন |
243 |
,[১৪৭] ও অমর্ত্য সেন.[১৫০] 96 ভারতের বিভিন্ন অগ্রণী গবেষণা প্রতিষ্ঠান কলকাতায় অবস্থিত। এগুলির মধ্যে রয়েছে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অব সায়েন্স (আইএসিএস)[১৫১][১৫২][১৫৩], ভারতীয় রাসায় |
244 |
নিক জীববিজ্ঞান সংস্থা (আইআইসিবি)[১৫৪][১৫৫][১৫৬], ভারতীয় বিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণ া সংস্থান (আইআইএসইআর)[১৫৭], বসু বিজ্ঞান মন্দির, সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স (এসআইএনপি), অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট |
245 |
অফ হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ (এআইআইএইচপিএইচ), সেন্ট্রাল গ্লাস অ্যান্ড সেরামিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিজিসিআরআই), সত্যেন্দ্রনাথ বসু জাতীয় মৌলিক বিজ্ঞান কেন্দ্র (এসএনবিএনসিবিএস), ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ |
246 |
সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট (আইআইএসডব্লিউবিএম), ন্যাশানাল ই নস্টিটিউট অফ ফার্মাকিউটিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এনআইপিইআর), ভেরিয়েবল এনার্জি সাইক্লোট্রন সেন্টার (ভিইসিসি) ও ইন্ |
247 |
ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স (আইসিএসপি)। নোবেল পুরস্কারজয়ী পদার্থবিদ চন্দ্রশে খর বেঙ্কট রমন রমন এফেক্টের উপর তার প্রসিদ্ধ কাজটি করেছিলেন আইএসিএস-এ। 97 পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় আইনবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় পশ |
248 |
্চিমবঙ্গ জাতীয় আইনবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় 98 ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ ট ক্যালকাটা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট ক্যালকাটা 99 ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ফরেন ট্রেড ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ |
249 |
ফরেন ট্রেড 100 ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট, কলকাতা ইন্ডিয়ান স্ট্যা টিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট, কলকাতা 101 গণমাধ্যম A five storied building in cream colour with multiple columns in front আকাশবা |
250 |
ণী ভবন, অল ইন্ডিয়া রেডিও, কলকাতার প্রধান কার্যালয়। সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র ভা রতের প্রথম সংবাদপত্র হিকির গেজেট ১৭৮০ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়েছিল।[১৫৮] কলকাতার জনপ্রিয় বাংলা সংবাদপত্রগুলি হল আনন |
251 |
্দবাজার পত্রিকা, বর্তমান, সংবাদ প্রতিদিন, আজকাল, দৈনিক স্টেটসম্যান ও গণশক্তি।[১৫ ৯] দ্য স্টেটসম্যান ও দ্য টেলিগ্রাফ হল দুটি ইংরেজি সংবাদপত্র যা কলকাতা থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয়। এছাড়া দ্য টাইমস অফ ই |
252 |
ন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস, দ্য হিন্দু, দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও এশিয়ান এজ কলকাত ার অপর কয়েকটি জনপ্রিয় ইংরেজি সংবাদপত্র।[১৫৯] পূর্ব ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যকেন্দ্র কলকাতা থেকে বেশ কয়েকটি ব্যবসা-বিষয় |
253 |
ক দৈনিকও প্রকাশিত হয়। এগুলির মধ্যে দি ইকোনমিক টাইমস, দ্য ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বিজনেস লাইন ও বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।[১৫৯][১৬০] হিন্দি, উর্দু, গুজরাতি, ওড়িয়া, পাঞ্জাবি ও চীনা প্রভৃতি ভাষাতেও সংবাদপত |
254 |
্র প্রকাশিত হয়।[১৫৯][১৬১] সাময়িকপত্রগুলির মধ্যে দেশ, সানন্দা, সাপ্তাহিক বর্তমান, নবকল্লোল, আনন্দলোক ইত্যাদি বিনোদনের পত্রিকা এবং আনন্দমেলা, কিশোর ভারতী, শুকতারা,সন্দেশ ইত্যাদি কিশোর মাসিক-পাক্ষিক-ত্র |
255 |
ৈমাসিক পত্রিকা জনপ্রিয়।[১৫৯] দীর্ঘকাল ধরে কলকাতা বাংলা লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের এ কটি কেন্দ্র।.[১৬২][১৬৩] 102 কলকাতা দূরদর্শন কেন্দ্র ও টাওয়ার বেতার ও টেলিভিশন কলকাতার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বেতার সম্প্রচার |
256 |
সংস্থাটি হল আকাশবাণী। শহরে আকাশবাণীর বেশ কয়েকটি এএম রেডিও স্টেশন আছে।[১৬৪] কলকাত ায় ১২টি স্থানীয় রেডিও স্টেশন আছে, যেগুলি এফএম-এ বেতার সম্প্রচার করে থাকে। এগুলির মধ্যে দুটি আকাশবাণীর স্টেশন।[১৬৫] ভ |
257 |
ারতের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব টেলিভিশন সম্প্রচার সংস্থা হল দূরদর্শন। দূরদর্শন দুটি ফ্রি-টু- এয়ার টেরেস্ট্রিয়াল চ্যানেল চালায়।[১৬৬] এছাড়া কেবল টেলিভিশন, ডাইরেক্ট-ব্রডকাস্ট স্যাটেলাইট সার্ভিস বা ইন্টারনেট-ভি |
258 |
ত্তিক টেলিভিশনের মাধ্যমে একাধিক বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি ও অন্যান্য আঞ্চলিক চ্যানেল দেখ া যায়।[১৬৭][১৬৮][১৬৯] বাংলা ২৪ ঘণ্টার টেলিভিশন নিউজ চ্যানেলগুলির মধ্যে এবিপি আনন্দ, তারা নিউজ, কলকাতা টিভি, ২৪ ঘণ্ট |
259 |
া, এনই বাংলা, নিউজ টাইম ও চ্যানেল ১০ উল্লেখযোগ্য।[১৭০] 103 পরিবহন মূল নিবন্ধ: কলকাতা র পরিবহন ব্যবস্থা আরও দেখুন: রবীন্দ্র সেতু ও বিদ্যাসাগর সেতু 104 বিদ্যাসাগর সেতু (দ্বিতীয় হুগলি সেতু) কলকাতা ও হাওড |
260 |
়া শহরকে যুক্ত করেছে কলকাতায় গণ-পরিবহন পরিষেবা দেয় কলকাতা শহরতলি রেল, কলকাতা মেট্র ো, ট্রাম ও বাস। শহরতলি রেল কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলির শহরগুলিকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করেছে। হুগলি নদীর উপর |
261 |
অবস্থিত রবীন্দ্র সেতু (হাওড়া সেতু) ও বিদ্যাসাগর সেতু (দ্বিতীয় হুগলি সেতু) কলকাতার স ঙ্গে হাওড়া শহরের যোগাযোগ রক্ষা করছে। 105 কলকাতা মেট্রো মূল নিবন্ধসমূহ: কলকাতা মেট্রো ও কলকাতা মেট্রোর স্টেশনগুলির |
262 |
তালিকা 106 কলকাতা মেট্রোর ৩০০০ সিরিজের কোচ 107 দক্ষিণ প্রান্তিক স্টেশন কবি সুভাষ (ন িউ গড়িয়া)। ভারতীয় রেলের সপ্তদশ ক্ষেত্র কলকাতা মেট্রো ভারতের প্রথম মেট্রো রেল পরিষেবা।[১৭১] হুগলি নদীর সমান্তরাল ৩১ |
263 |
.৩৬ কিলোমিটার পথে শহরের উত্তরে দক্ষিণেশ্বর থেকে দক্ষিণে নিউ গড়িয়া পর্যন্ত মেট্রো প রিষেবা চালু আছে। এই লাইনটির (কলকাতা মেট্রো লাইন ১) পাশাপাশি হাওড়ার রামরাজাতলা থেকে বিধাননগর সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত পূর |
264 |
্ব-পশ্চিম মেট্রো লাইনের কাজ চলছে। এই লাইনটি হুগলি নদীর তলায় সুড়ঙ্গ পথে হাওড়া ও কলক াতা শহরদুটির মধ্যে রেল-যোগাযোগ স্থাপন করবে। ২০১০ সালে ভারত সরকারের রেল মন্ত্রক আরও কয়েকটি নতুন মেট্রো লাইন স্থাপনে |
265 |
র কাজ শুরু করেছে। এগুলি হল: 108 জোকা-বিবাদীবাগ লাইন নোয়াপাড়া-বারাসাত লাইন কবি সুভাষ -নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাইন বরানগর-দক্ষিণেশ্বর-ব্যারাকপুর লাইন এছাড়া যাত্রীসাচ্ছন্দ্য ও নি |
266 |
রাপত্তার জন্য লাইন ১-এও আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রেক চালু করা হয়েছে, স ্বয়ংক্রিয় সিগনালিং ব্যবস্থা, স্বচালিত সিঁড়ি, আধুনিক টোকেন ও ফ্লিপগেট পদ্ধতিতে ভাড়া নেওয়াও শুরু হয়েছে। কলকাতা |
267 |
মেট্রোর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হল: কবি সুভাষ (নিউ গড়িয়া), মহানায়ক উত্তমকুমার ( টালিগঞ্জ), কালীঘাট, রবীন্দ্র সদন, এসপ্ল্যানেড, সেন্ট্রাল, মহাত্মা গান্ধী রোড, শ্যামবাজার, দমদম ও নোয়াপাড়া। 109 |
268 |
সড়ক পরিবহন মূল নিবন্ধ: ক্যালকাটা ট্রামওয়েজ কোম্পানি 110 কলকাতার পুরনো বাস। 111 কলকা তার টানা-রিকশা। কলকাতায় বাস পরিষেবা সরকারি ও বেসরকারে উদ্যোগে পরিচালিত হয়ে থাকে। কলকাতার সরকারি বাস পরিবহন সংস্থা |
269 |
গুলি হল কলকাতা রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা, দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা, পশ্চিমবঙ ্গ ভূতল পরিবহন নিগম, ক্যালকাটা ট্রামওয়েজ কোম্পানি ইত্যাদি। কলকাতার) ট্রাম পরিষেবার দায়িত্ব ক্যালকাটা ট্রামওয়েজ |
270 |
কোম্পানির উপর ন্যস্ত রয়েছে। উল্লেখ্য, কলকাতা ভারতের একমাত্র শহর যেখানে ট্রাম পরিষেবা অ দ্যাবধি বিদ্যমান।[১৭২] তবে শহরের কয়েকটি অঞ্চলে শ্লথগতির ট্রাম চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপিত হয়েছে। বর্ষাকালে অত |
271 |
্যধিক বৃষ্টিতে জল জমে মাঝে মাঝেই শহরের পরিবহন ব্যবস্থায় বিঘ্ন সৃষ্টি করে থাকে।[১৭৩][১৭৪ ] 112 কলকাতার পরিবহন ব্যবস্থার অপর এক বিশিষ্ট মাধ্যম হল ট্যাক্সি। কলকাতার ট্যাক্সিগুলি হলুদ রঙের হয়ে থাকে। অন্য |
272 |
ান্য শহরে যখন টাটা ইন্ডিকা বা ফিয়েট গাড়ি ট্যাক্সি হিসেবে ব্যবহার করা হয়, সেখানে কলকাত ার অধিকাংশ ট্যাক্সিই হিন্দুস্তান অ্যাম্বাস্যাডার মডেলের। কোনো কোনো নির্দিষ্ট রুটে অটোরিকশাও চলাচল করে। স্বল্পদুর |
273 |
ত্বের যাত্রীরা অনেক সময় সাইকেল রিকশা ও হস্তচালিত রিকশাও ব্যবহার করে থাকেন। কলকাতায় বিভি ন্ন রকমের গণ পরিবহন মাধ্যম সুলভ বলে ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা অন্যান্য শহরের তুলনায় অল্পই।[১৭৫] যদিও সাম্প্রত |
274 |
িক বছরগুলিতে শহরে নথিভুক্ত যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে; ২০০২ সালের একটি তথ্যের ভিত্তিত ে পূর্ববর্তী সাত বছরে এই বৃদ্ধির হার ছিল ৪৪ শতাংশ।[১৭৬] জনঘনত্বের তুলনায় শহরে রাস্তার পরিমাণ মাত্র ৬ শতাংশ। এ |
275 |
র ফলে তীব্র যানজট শহরে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। উল্লেখ্য, এই হার দিল্লিতে ২৩ শতাংশ ও মুম্বইতে ১ ৭ শতাংশ।[১৭৭] কলকাতা মেট্রোরেল এবং একাধিক নতুন রাস্তা ও উড়ালপুল শহরের যানজট সমস্যার সমাধানে অনেকটাই সাহায্য |
276 |
করছে। 113 রেলপথ আরও দেখুন: কলকাতা আন্তঃনগরীয় রেল, হাওড়া স্টেশন ও শিয়ালদহ 114 শিয়ালদহ স ্টেশন কলকাতা শহরকে রেল পরিষেবা দেয় ভারতীয় রেলের চারটি টার্মিনাল স্টেশন হাওড়া স্টেশন, শিয়ালদহ স্টেশন, শালিম |
277 |
ার স্টেশন ও কলকাতা স্টেশন।[১৭৮] এর মধ্যে শিয়ালদহ ও কলকাতা স্টেশন কলকাতা শহরে ও হাওড়া ও শা লিমার স্টেশন হাওড়া শহরে অবস্থিত। এগুলি ছাড়াও কলকাতায় আরও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য রেল স্টেশন আছে। এগুলি হল: বিধ |
278 |
াননগর রোড, দমদম, গড়িয়া ও ইডেন গার্ডেনস ইত্যাদি। ভারতীয় রেলের দুটি অঞ্চলের সদর কার্যালয় ক লকাতায় অবস্থিত। এগুলি হল: পূর্ব রেল ও দক্ষিণ পূর্ব রেল।[১৭৯] 115 বিমান আরও দেখুন: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন |
279 |
্তর্জাতিক বিমানবন্দর 116 নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কলকাতা মহানগরীয় অঞ্ চলে মোট চারটি বিমানবন্দর রয়েছে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এই শহরের একমাত্র আন্তর্জাতিক ব |
280 |
িমানবন্দর। এটি শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে ১৭ কিলোমিটার উত্তরে উত্তর চব্বিশ পরগনার দমদমে অবস্থিত । এই বিমানবন্দর থেকে আভ্যন্তরিণ ও আন্তর্জাতিক দুই ধরনের উড়ানই চালু আছে। বেহালা বিমানবন্দর ও ফ্লাইং ক্লাব কল |
281 |
কাতার একটি আভ্যন্তরিণ বিমানবন্দর। এটি কলকাতার বেহালা অঞ্চলে অবস্থিত। ব্যারাকপুর এয়ার ফোর্স স ্টেশন কলকাতা মহানগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটি। কাচড়াপাড়া এয়ারফিল্ড ভারতীয |
282 |
় বিমানবাহিনীর একটি প্রাক্তন সামরিক ঘাঁটি। এই বিমানবন্দরটি বর্তমানে বন্ধ। 117 জলপথ আরও দেখুন: কলকাতা বন্দর 118 কলকাতার জলপথ পরিবহন দপ্তরের যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জলপথ। কলকাতা পূর্ব ভারতের একটি গুরুত্বপূর |
283 |
্ণ নদীবন্দর। কলকাতা ও কলকাতার সহকারী হলদিয়া বন্দরের দায়িত্ব কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপর ন ্যস্ত।[১৮০] এই বন্দর থেকে শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ারে |
284 |
যাত্রী পরিষেবা এবং ভারতের অন্যান্য বন্দর ও বিদেশে পণ্য পরিবহন নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এছাড়া কল কাতা ও হাওড়া শহরের মধ্যে একটি ফেরি পরিষেবাও চালু আছে। 119 নাগরিক পরিষেবা 120 টাটা কমিউনিকেশনসের বিদেশ সঞ্চ |
285 |
ার নিগম লিমিটেড ভবন, এটি শহরের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি অন্যতম প্রধান সরবরাহকারী কলকাতা পৌ রসংস্থা শহরের পানীয় জলের প্রধান সরবরাহকারী। হুগলি নদী থেকে সংগৃহীত জল উত্তর চব্বিশ পরগনার পলতার পাম্পিং স্ট |
286 |
েশনে পরিশোধিত করে সমগ্র শহরে পানীয় জল হিসেবে সরবরাহ করে হয়। প্রতিদিন প্রায় ২৫০০ টন কঠিন বর ্জ্য কলকাতার পূর্ব দিকে অবস্থিত ধাপায় ফেলা হয়ে থাকে। এই বর্জ্যভূমিতে বর্জ্য পদার্থ ও নোংরা জলের প্রাকৃতিক |
287 |
পুনর্নবীকরণের জন্য চাষাবাদও করা হয়ে থাকে।[১৮১] শহরের অনেক অঞ্চলেই অনুন্নত পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্ থার কারণে অস্বাস্থ্যকর উপায়ে বর্জ্য নিঃসরণ করা হয়ে থাকে।[৭৩] শহরাঞ্চলে ও শহরতলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়ি |
288 |
ত্বে রয়েছে যথাক্রমে ক্যালকাটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশন ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ নাম ে দুই সরকারি সংস্থা। ১৯৯০-এর দশকের মধ্যভাগ পর্যন্ত কলকাতাবাসীদের উপর্যুপরি লোডশেডিং-এর যন্ত্রণা ভোগ করতে |
289 |
হত। যদিও বর্তমানে অবস্থার অনেক পরিবর্তন ঘটেছে, তবে এখনও মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে থাকে। পশ্চিমবঙ্গ দমকল পরিষেবার অধীনে কলকাতায় ২০টি দমকল কেন্দ্র রয়েছে। এগুলি বছরে গ |
290 |
ড়ে ৭,৫০০টি অগ্নিসংযোগ ও উদ্ধারকার্যের জন্য ডাক পায়।[১৮২] 121 কলকাতার প্রধান টেলিফোন ও মোবাইল ফোন পরিষেবা সরবরাহকারী হল সরকারি সংস্থা ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (বিএসএনএল) এবং ভোদাফোন, ভারতী এয়ারটেল, র |
291 |
িলায়েন্স কমিউনিকেশনস, আইডিয়া সেলুলার, এয়ারসেল, টাটা ডোকোমো, টাটা ইন্ডিকম, ইউনিনর,ভার্জিন মোব াইল ও এমটিএস ইন্ডিয়া সহ একাধিক বেসরকারি সংস্থা। শহরে জিএসএম ও সিডিএমএ সহ সুপ্রসারিত সেলুলার কভারেজ সুলভ। |
292 |
বিএসএনএল, টাটা ইন্ডিকম, সাইফি, এয়ারটেল, রিলায়েন্স ও এলিয়ান্স প্রভৃতি সংস্থা ব্রডব্যান্ড ইন্ট ারনেট পরিষেবা সরবরাহ করে থাকে। 122 স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও দেখুন: কলকাতায় স্বাস্থ্য পরিষেবা 123 কলকাতা মে |
293 |
ডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, এশিয়ার প্রথম আধুনিক চিকিৎসাবিদ্যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২০১১ সালের হিসেব অ নুসারে, কলকাতায় ৪৮টি সরকারি হাসপাতাল ও ৩৬৬টি বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র আছে।[১৮৩] এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালগ |
294 |
ুলি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের অধীনস্থ। কলকাতার হাসপাতালগুলির মোট শয ্যাসংখ্যা ২৭,৬৮৭।[১৮৩] প্রতি ১০,০০০ মানুষে কলকাতায় হাসপাতাল শয্যাসংখ্যার অনুপাত ৬১.৭।[১৮৪] জাতীয় স্তরে |
295 |
এই অনুপাত প্রতি ১০,০০০ নাগরিকে ৯ জন। সেই হিসেবে এটি জাতীয় গড়ের চেয়ে অনেক বেশি।[১৮৫] কলকাতায় দশটি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজ আছে। এগুলি কলকাতা মহানগরীয় এলাকার মধ্যে রাজ্যের টার্টিয়ারি রেফারাল হাসপা |
296 |
তাল হিসেবে কাজ করে।[১৮৬][১৮৭] কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপিত হয়েছিল ১৮৩৫ সালে। এটিই এশ িয়ার প্রথম আধুনিক চিকিৎসাবিদ্যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।[১৮৮] তবে কলকাতার স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে এই ব্যব |
297 |
স্থাকে যথেষ্ট মনে করা হয় না।[১৮৯][১৯০][১৯১] কলকাতার অধিবাসীদের ৭৫% বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রগুলিকে বেশি পছন্দ করেন।[১৯২]:১০৯জন্য সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবার নিম্নমান, অপ্রতুলতা ও দীর্ঘসূত্রতাকে |
298 |
দায়ী করা হয়।[১৯২]:৬১ 124 ২০০৫ সালের জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষা অনুসারে, কলকাতার অধিবাস ীদের একটি ছোটো অংশই কোনোরকম স্বাস্থ্য স্কিম বা স্বাস্থ্য বিমা পরিষেবার আওতাভুক্ত।[১৯২]:৪১ কলকাতার শিশু |
299 |
জন্ম হার ১.৪। এই হার সমীক্ষার অন্তর্গত আটটি মহানগরের মধ্যে সর্বনিম্ন।[১৯২]:৪৫ কলকাতার ৭৭% বিবাহিত মহিলা জন্মনিরোধক ব্যবহার করেন। এই হার সমীক্ষার অন্তর্গত শহরগুলির মধ্যে সর্বাধিক। তবে কলকাতায় আধুনিক জন |
300 |
্মনিরোধকের ব্যবহারের হার সর্বনিম্ন (৪৬%)।[১৯২]:৪৭ কলকাতায় প্রসবকালীন শিশুমৃত্যুর হার প্রতি ১,০০০- এ ৪১। পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে শিশুমৃত্যুর হার প্রতি ১,০০০-এ ৪৯।[১৯২]:৪৮ 125 ২০০৫ সালের একটি সমীক্ষার অন্ |
301 |
তর্গত শহরগুলির মধ্যে শিশুদের বিশ্বজনীন টীকাকরণ কর্মসূচির অধীনে টীকা না পাওয়া শিশুদের হারে কলকাতার স্থান দ্বিতীয় (৫%)।[১৯২]:৪৮ সুসংহত শিশু উন্নয়ন পরিষেবা কর্মসূচিতে "অঙ্গনওয়াড়ি" কেন্দ্রে যোগাযোগের |
302 |
ব্যাপারে কলকাতার স্থান দ্বিতীয়। কলকাতা ০ থেকে ৭১ মাস বয়সী শিশুদের ৫৭% অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যুক্ ত হয়।[১৯২]:৫১ অপুষ্টি, অ্যানিমিয়া ও কম ওজনজনিত সমস্যায় ভোগা শিশুদের অনুপাত কলকাতায় সমীক্ষার অন্যান |
303 |
্য শহরের তুলনায় কম।[১৯২]:৫৪–৫৫ 126 কলকাতার প্রায় ৩০% নারী ও ১৮% পুরুষ অতিরিক্ত মেদজনিত সমস্যায় ভোগেন। এদের একটি বড় অংশ সমাজের সচ্ছল অংশের মানুষ।[১৯২]:১০৫ ২০০৫ সালের হিসেব অনুসারে, সমীক্ষাকৃত শহরগুল |
304 |
ির মধ্যে কলকাতায় অ্যানিমিয়াগ্রস্থ নারীর শতাংশ হার সর্বাধিক (৫৫%)। পুরুষদের মধ্যে এই হার ২০%।[১৯২ ]:৫৬–৫৭ ডায়াবেটিস, হাঁপানি, বাত ও অন্যান্য থাইরয়েড-সংক্রান্ত অসুখে ভোগা মানুষও অনেক আছেন।[১৯২]:৫৭–৫৯ |
305 |
কলকাতায় ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, চিকনগুনিয়া ইত্যাদি অসুখ বেশি দেখা যায়। তবে এই জাতীয় অসুখে অসুস্থ হয়ে পড়া মানুষের সংখ্যা ক্রমশ কমে আসছে।[১৯৩][১৯৪] কলকাতা ভারতের সেই জেলাগুলির মধ্যে অন্যতম যেখানে এইড |
306 |
স-আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা সর্বাধিক। কলকাতা জেলাকে এইডস রোগের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত বিপজ্জনক অঞ্চল মনে ক রা হয়।[১৯৫][১৯৬] 127 খেলাধুলা 128 যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন; ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহত্তম ও বিশ্বের তৃতীয় |
307 |
বৃহত্তম ফুটবল স্টেডিয়াম 129 কলকাতার পাড়া-ফুটবল। 130 ইডেন গার্ডেনস ক্রিকেট স্টেডিয়াম; বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রিকেট মাঠে একটি ক্রিকেট ম্যাচ। ফুটবল, ক্রিকেট ও ফিল্ড হকি কলকাতার জনপ্রিয় খেলা। কলকাত |
308 |
া ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম প্রধান কর্মকেন্দ্র।[১৯৭] ভারতের অন্যান্য শহরের তুলনায় এখানে মানুষদের ম ধ্যে ফুটবল নিয়ে উন্মাদনা খুব বেশি বরাবরই।[১৯৮] এই শহর "ভারতীয় ফুটবলের মক্কা" নামেও পরিচিত। ১৮৯৮ সালে চ |
309 |
ালু হওয়া কলকাতা ফুটবল লিগ এশিয়ার প্রাচীনতম ফুটবল লিগ। ভারতের অন্যতম প্রধান তিন জাতীয় দল মোহনবা গান, মহমেডান ও ইস্টবেঙ্গল কলকাতারই তিন ঐতিহ্যবাহী ফুটবল ক্লাব। এছাড়াও ইউনাইটেড স্পোর্টিং ক্লাব এই শহরে |
310 |
রই আই-লিগে অংশগ্রহণকারী স্বনামধন্য ফুটবল ক্লাব। মোহনবাগান শুধুমাত্র এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন ফুটবল ক ্লাবই নয়, এটি "ভারতের জাতীয় ক্লাব" আখ্যাপ্রাপ্ত একমাত্র ক্লাব।[১৯৯][২০০] মোহনবাগান ও ইষ্টবেঙ্গলের মধ |
311 |
্যে ফুটবল ম্যাচ কলকাতায় কলকাতা ডার্বি নামে পরিচিত। ম্যাচগুলোতে দর্শকদের উৎসাহ উত্তেজনা দেখবার মতন থাকে।[২০১] 131 শাহরুখ খানের মালিকানাধীন "ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ" (আইপিএল) ক্রিকেট দল কলকাতা নাইট রাই |
312 |
ডার্সের কেন্দ্রও কলকাতায় অবস্থিত। 132 ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের মতো কলকাতাতে ক্রিকেট অত্যন্ত জনপ্র িয়। শহরের মাঠেঘাটে ও রাস্তায় ক্রিকেট খেলার রেওয়াজ রয়েছে।[২০২][২০৩] ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন প্রভ |
313 |
ৃতি বহির্দ্বার এবং ক্যারাম প্রভৃতি অন্তর্দ্বার ক্রীড়া প্রতিযোগিতা কলকাতায় নিয়মিত আন্তঃঅঞ্চল ও আ ন্তঃক্লাব পর্যায়ে আয়োজিত হয়ে থাকে।[২০৪] কলকাতা ময়দানে একাধিক ছোটোখাটো ফুটবল ও ক্রিকেট ক্লাব এবং প্ |
314 |
রশিক্ষণ সংস্থা অবস্থিত।[২০৫] কলকাতার উল্লেখযোগ্য ক্রীড়া ব্যক্তিত্বগণ হলেন প্রাক্তন ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও পঙ্কজ রায় এবং অলিম্পিক টেনিস ব্রোঞ্জ পদকজয়ী লিয়েন্ডার পেজ। কল |
315 |
কাতার ফুটবল তারকাদের মধ্যে উল্লেখনীয় হলেন প্রাক্তন অলিম্পিক পদকজয়ী শৈলেন মান্না, চুনী গোস্বামী, প ি. কে. বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ এবং বর্তমান কালের ভারতীয় জাতীয় ফুটবল তারকা বাইচুং ভুটিয়া। শাহরুখ খান |
316 |
ের মালিকানাধীন "ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ" (আইপিএল) ক্রিকেট দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের কেন্দ্রও কলকাতা য় অবস্থিত। 133 কলকাতা একাধিক বৃহদাকার স্টেডিয়ামের জন্য সুবিখ্যাত। ইডেন গার্ডেনস বহুকাল পর্যন্ত বিশ |
317 |
্বের দুটিমাত্র ১০০,০০০-আসনবিশিষ্ট ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একটি বলে গণ্য হত। ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্ য সংস্কারের পর বর্তমানে আসনসংখ্যা ১,০০,০০০ র থেকে কমে গেছে। বর্তমানে এটি ভারতের বৃহত্তম ও বিশ্বের দ্ |
318 |
বিতীয় বৃহত্তম স্টেডিয়াম |[২০৬] বহুমুখী-ব্যবহারোপযোগী স্টেডিয়াম যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন (বা সল্টলেক স্ টেডিয়াম) বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ফুটবল স্টেডিয়াম।[২০৭][২০৮] ক্যালকাটা ক্রিকেট অ্যান্ড ফুটবল ক্লাব |
319 |
বিশ্বের দ্বিতীয় প্রাচীনতম ক্রিকেট ক্লাব।[২০৯] রয়্যাল ক্যালকাটা গলফ ক্লাব, টালিগঞ্জ ক্লাব ও ফোর্ট উইল িয়ামে কলকাতার তিনটি ১৮-হোলবিশিষ্ট গলফ কোর্স অবস্থিত। রয়্যাল ক্যালকাটা গলফ ক্লাব ব্রিটেনের বাইরে |
320 |
বিশ্বের প্রথম গলফ ক্লাব।[২১০] রয়্যাল ক্যালকাটা টার্ফ ক্লাব শহরে নিয়মিত ঘোড়দৌড় ও পোলো ম্যাচ আয়োজন ক রে থাকে।[২১১] ক্যালকাটা পোলো ক্লাব বর্তমানে বিশ্বের প্রাচীনতম পোলো ক্লাব হিসেবে পরিগণিত হয়।[২১২] |
321 |
[২১৩][২১৪] অন্যদিকে ক্যালকাটা সাউথ ক্লাব কয়েকটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক টেনিস প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানস্থল। এ খানে ১৯৪৬ সালে প্রথম গ্লাস-কোর্ট ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচ খেলা হয়েছিল।[২১৫][২১৬] ২০০৫-২০০৭ |
322 |
সাল নাগাদ উইমেনস টেনিস অ্যাসোসিয়েশন ট্যুরের টায়ার-থ্রি টুর্নামেন্ট সানফিস্ট ওপেন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয ়ামে আয়োজিত হয়েছিল। তার পর থেকে সেটি আর চালু হয়নি।[২১৭][২১৮] 134 ক্যালকাটা রোয়িং ক্লাব নিয় |
323 |
মিত নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করে থাকে। রাগবি কলকাতার একটি অপ্রধান খেলা হলেও এই শহরকে ভার তের রাগবি ইউনিয়নের "রাজধানী" আখ্যা দেওয়া হয়, যা ক্যালকাটা কাপ নামে পরিচিত। রাগবি ইউনিয়নের প |
324 |
্রাচীনতম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ক্যালকাটা কাপের নাম এই শহরের নামানুসারেই উদ্ভূত।[২১৯][২২০][২২১] কাপটি ভার তে নির্মিত হয়ে থাকে। কলকাতার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য স্টেডিয়ামগুলি হল রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়াম |
325 |
, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম এবং বেহালার প্রস্তাবিত সত্যজিৎ রায় ইন্ডোর ও আউটডোর স্টেড িয়াম। পূর্ব ভারতের অটোমোবাইল অ্যাশোসিয়েশন, যে ১৯০৪ সালে তৈরি হয়েছিল,[২২২][২২৩] এবং বেঙ্গল |
326 |
মোটর স্পোর্টস ক্লাব কলকাতায় মোটর স্পোর্টস এবং র্যালি করায় কলকাতায় তাদের প্রোমোশনের জন্য।[২২৪][২২৫] বেইটন কাপ, আরেকটি ইভেন্ট যা বেঙ্গল হকি অ্যাসোসিয়েশনের দ্বারা পরিচালনা করা হয় এবং যা প্রথম খেলা হ |
327 |
য়েছিল ১৮৯৫ সালে, হল ভারতের সবথেকে প্রাচীন ফিল্ড হকি প্রতিযোগিতা, যা প্রধানত ময়দানের মোহনবাগান মাঠ-এ পরিচাল না করা হয়।[২২৬][২২৭] 135 জাপানের সম্রাট হিরোহিতো ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট আত্মসমর্পণ ঘোষণা করেন, |
328 |
যার ফলশ্রুতিতে ২ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসাযজ্ঞ বন্ধ হয়। ১৯৪৫ সালের জুলাই মাসের শেষ দিকে, জাপ ানি নৌবাহিনী তাদের প্রধান প্রধান অপারেশনে ব্যর্থ হতে থাকলে জাপানের উপর মিত্রবাহিনীর হামলা আস |
329 |
ন্ন হয়ে আসে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ও চীনের সাথে একত্রিত হয়ে আমেরিকা পটসড্যাম চুক্তিপত্রে জাপানের নিঃশর্ত আত্মসম র্পণের দাবি জানায়, অন্যথায় অবিলম্বে তাদের ধ্বংস করার হুমকি দেয়। যদিও জাপান শেষ পর্যন্ত য |
330 |
ুদ্ধ করে যাওয়ার কথা বলছিল কিন্তু গোপনে জাপানের সর্বোচ্চ যুদ্ধ পরিচালনা কমিটি সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে জাপানের অনূকুলে মধ্যস্থতা করার জন্য বারবার কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে থাকে। সোভিয়েত ইউনিয়ন যদিও মুখে |
331 |
মধ্যস্থতার কথা বলছিল কিন্তু গোপনে তারা আমেরিকা ও ব্রিটিশদের সাথে তেহরান ও ইয়ালৃটায় আলোচনা করে মানচুরিয়া ও ক োরিয়ায় অবস্থিত জাপানি বাহিনীর উপর হামলা করার কথা দেয়। 136 "সকল যুদ্ধের যবনিকাপাতে যুদ্ধ |
332 |
" (ইংরেজি: "The war to end all wars")[১] হচ্ছে ১৯১৪ থেকে ১৯১৮ সাল অবধি স্থায়ী হওয়া প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একটি প দবাচ্য; যার উৎপত্তির উদ্দেশ্য মৌলিক অর্থের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হলেও প্রকৃতপক্ষে যুদ্ধের সমাপ |
333 |
্তি না ঘটায় বর্তমানে এটি ব্যাঙ্গাত্মক অর্থে ব্যবহৃত হয়।[২] উদ্ভব প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার সময়ে ১৯১৪ সালে র আগষ্ট মাস জুড়ে ব্রিটিশ লেখক এবং সাংবাদিক এইচ জি ওয়েলস লণ্ডন পত্রিকায় একাধিক নিবন্ধ ল |
334 |
িখেন যা পরবর্তীতে "দ্য ওয়ার দ্যাট উইল এন্ড ওয়্যার" নামে প্রকাশিত হয়।[৩] ওয়েলস এগিয়ে আসা যুদ্ধের জন্য কেন্দ্ রীয় শক্তিকে দায়ী করে যুক্তি উপস্থাপন করে বলেন শুধুমাত্র জার্মান সেনাবাহিনীর পরাজয় ঘটল |
335 |
েই এই যুদ্ধের অবসান হবে[৪] প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় এটা বহুল প্রচলিত প্রবাদে পরিণত হয়। পরবর্তী বছরগুলোতে এই পদবাচ ্য উড্রো উইলসনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জুড়ে যায়ঃ যদিও তিনি এই পদবাচ্যকে একবার মাত্র ব্যবহার |
336 |
করেছিলেন।. ওয়াল্টার আলভারেজ (জন্ম: অক্টোবর ৩, ১৯৪০) বার্কলের ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির ভূতত্ব ও গ্রহ-সম্ পর্কিত বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক। এক বিশালাকার উল্কার সংগে পৃথিবীর সংঘর্ষের কারণে ডাইনোসরেরা |
337 |
অকস্মাৎ বিলুপ্ত হয় - ওয়াল্টার আলভারেজ এই বহুল প্রচারিত তত্বের এক জনক। অন্য জন তার বাবা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী পদার্থবিদ লুই আলভারেজ। দুজনে মিলিতভাবে এই তত্বের আবিষ্কার করেন। জীবনী ক্যালিফোর্নিয়ার বা |
338 |
র্কলেতে ওয়াল্টারের জন্ম। এঁদের বংশে বহু বিখ্যাত লোকের নাম আছে। আগেই বলেছি বাবা ছিলেন নোবেল পুরস্কার ব িজয়ী পদার্থবিদ। ঠাকুর্দা ওয়াল্টার আলভারেজ ছিলেন বিখ্যাত ডাক্তার। ঠাকুর্দার বাবা লুই আলভারেজ ছিলে |
339 |
ন স্পেনীয় বংশোদ্ভূত এবং তিনিও ছিলেন ডাক্তার। হাওয়াইতে প্র্যাক্টিস করতেন এবং সেখানে থাকতে ম্যাকুলার কু ষ্ঠ রোগ শনাক্ত করার একটা নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এই ডাক্তার লুই আলভারেজের এক বোন মাবেল আলভারেজ |
340 |
ও ছিলেন বিখ্যাত। তিনি ছিলেন ক্যালিফোর্নিয়ার একজন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী। অয়েল পেন্টিংএ তার নাম ছিল খুব।[১ ] আমাদের আলোচ্য ওয়াল্টার আলভারেজ ১৯৬২ সালে মিনেসোটার কার্লটন কলেজ থেকে ভূবিদ্যায় বিএ পাশ করে ১ |
341 |
৯৬৭ সালে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি থেকে ভূবিদ্যায় ডক্টরেট করেন। এরপর আমেরিকান ওভারসীজ পেট্রোলিয়াম লিম িটেড নামের একটা কোম্পানীতে চাকরি নিয়ে নেদারল্যান্ডসে চলে আসেন। এই চাকরিসূত্রে তাকে লিবিয়ায় আসতে হ |
342 |
য়, এবং লিবিয়াতে কর্নেল গদ্দাফি যখন অভ্যুত্থান করছেন, তখন ওয়াল্টার লিবিয়ায়। এই পেট্রোলিয়াম কোম্প ানীতে কাজ করতে করতে ওয়াল্টারের পুরাতাত্ত্বিক ভূবিদ্যার প্রতি আকর্ষণ জন্মায় এবং তিনি পেট্রোলিয়াম |
343 |
কোম্পানীর চাকরি ছেড়ে কিছুদিনের জন্য ইটালিতে চলে আসেন। ইটালির রোমের কাছেই আগ্নেয়গিরির অস্তিত্ব। ওয়াল ্টার আগ্নেয়গিরি নিয়ে পড়াশুনো শুরু করেন এবং রোমান সভ্যতার আদিকালে এই আগ্নেয়গিরিগুলোর সেই সভ্যতা |
344 |
র ওপর কি প্রভাব ছিল, সে বিষয়ে গবেষণা করেন। কিছুদিন পরে ওয়াল্টার কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির লামন্ট-ড োহার্টিতে ভূবিদ্যা-সম্পর্কিত অবজারভেটরীতে যোগ দেন এবং ভূমধ্য সাগরীয় অঞ্চলের টেকটোনিক প্লেট নিয়ে গবেষ |
345 |
ণা করেন। ঠিক ঐ সময়ের কিছু আগে টেক্টোনিক প্লেট এবং ভূমিকম্পের সংগে তার সম্পর্ক নিয়ে বিখ্যাত টেক্টো নিক তত্ব আবিষ্কৃত হয়েছিল। টেক্টোনিক প্যালিওম্যাগনেটিজমের ওপর ওয়াল্টারের গবেষণা কিছুদিনের মধ্যে এক ন |
346 |
তুন তত্বের সন্ধান দিল। ওয়াল্টার ও তার সহকর্মীরা ভূমধ্য সাগরের গভীর চুনা পাথরের স্তরের মধ্যে পৃথিবীর চুম্বক ক্ষেত্রের দিক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন। শুধু তাই নয়, Foramina biostratigraphy নামক এক টেকনিক প্র |
347 |
য়োগ করে তারা সেই দিক পরিবর্তনের আনুমানিক সময়কালও নির্ধারণ করেন। এই দিক পরিবর্তন প্রায় একশ মিলিয়ন বছরেরও বেশি সময় ধরে হরেছিল। এই একশ মিলিয়ন বছরে যতগুলি ভূ-চুম্বক ক্ষেত্রের দিক পরিবর্তন হয়েছিল, ওয |
348 |
়াল্টারের গ্রুপ সবগুলির কাল সঠিক ভাবে নির্ধারণ করেন।[১][২] সংঘর্ষ তত্ত্ব ওয়াল্টার আলভারেজ ও তার বাবা পদার্থবিদ লুই আলভারেজ বিশেষ করে এই সংঘর্ষ তত্ত্ব আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। তারা এবং তাদের দুই সহকর্ম |
349 |
ী ফ্রাংক আসারো ও হেলেন মিশেল লক্ষ্য করেন যে, যে সময়টাতে ক্রিটেসিয়াস যুগ শেষ হয়ে প্যালিওজ িন যুগ শুরু হচ্ছে সেই সময়কার মৃত্তিকাস্তরে ইরিডিয়াম ধাতুটির মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেশি। সাধারণতঃ পৃথিবীতে ই |
350 |
রিডিয়াম একটি বিরল ধাতু, কিন্ত উল্কাতে ইরিডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। সুতরাং তারা অনুমান করলে ন, এই মৃত্তিকাস্তরটি পৃথিবীর সংগে এক বিশালাকার উল্কার সংঘর্ষে তৈরী হয়েছে এবং খুব সম্ভবতঃ এই সংঘর্ষের কারণে |
351 |
ক্রিটেসিয়াস-প্যালিওজিনিক যুগের বৃহৎ প্রাণীকুল যেমন ডাইনোসরেরা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। পৃথিবীতে অনেক যায়গায় এখন ইরিডিয়াম মোটামুটি একটু বেশি মাত্রায় পাওয়া যায়। উপরন্তু দক্ষিণ আমেরিকায় Chicxutub নামক |
352 |
জায়গায় এক বিশাল ক্রেটারের আছে। আলভারেজদের মতে, ঐ ক্রেটারটি এই ভয়ংকর সংঘর্ষের প্রমাণ। ফলতঃ আজকের সমস্ত বিজ্ঞানীই এই সংঘর্ষ তত্ত্ব মেনে নিয়েছেন। তারা মনে করেন, ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীর সংগে এই বিশ |
353 |
ালাকার উল্কার সংঘর্ষ হয়েছিল। সেই সংঘর্ষের ফলে যে ধূলিকণা উড়েছিল, তা পৃথিবীকে সম্পূর্ণ অন্ধক ার করে রেখেছিল শত শত বছর। ফলে, প্রায় ৭৫ শতাংশ প্রাণী ও উদ্ভিদ বিনাশপ্রাপ্ত হয়েছিল, যাদের মধ্যে non-avian |
354 |
ডাইনোসর ছিল অন্যতম।[৩] এর পর ওয়াল্টার আলভারেজ টি রেক্স ও বিনাশের ক্রেটার নামে একটি বই লেখেন। ক্রেটাসিয়াস - প্যালিওজিনিক যুগের এই ভয়ংকর সংঘর্ষের সম্পূর্ণ বিবরণ এই বইটিতে আছে।[৪] সংঘর্ষ তত্ত্ব ছাড়া অ |
355 |
ন্য যে যে বিষয়ের ওপর ওয়াল্টার আলভারেজের অবদান আছে, সেগুলি হল - ভূমধ্য সাগরীয় টেক্টোনিক ্স, রমান যুগের ভূবিদ্যা, পুরাতত্ত্ব, এবং তাদের সংগে ম্যাগনেটো স্ট্র্যাটিগ্রাফির সম্পর্ক। বৃহৎ ইতিহাস ২০০৬ সালে |
356 |
ওয়াল্টার আলভারেজ বার্কলের ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটিতে এক নতুন কোর্স শুরু করেন । কোর্সটির নাম - ‘বৃহৎ ইতিহাস, মহাবিশ্ব, পৃথ্বী, জীবন ও মানবতা’। ওয়াল্টারের মতে, তিনি এই কোর্সের মাধ্যমে মানবতা, পৃথ্ব |
357 |
ী, জীবন ও মহাবিশ্বের মধ্যে একটা সংযোগ সূত্র খুঁজতে চেয়েছেন এবং এই কোর্স অতীত, বর্ তমান ও ভবিষ্যৎকে বুঝতে সাহায্য করে। ওয়াল্টারের এই কোর্সটিতে যে কেউ যোগ দিতে পারেন এবং এতে ‘মেজর’ (বিষয় বস্তুর গুরুত্ |
358 |
ব ও গভীরতায় এটা আমাদের কোন বিষয়ে অনার্স করার সমান) করা যায়। ওয়াল্টার আলভার েজ আন্তর্জাতিক বৃহৎ ইতিহাস অ্যাসোসিয়েশনের (International Big History Association বা IBHA) একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ২০১০ সা |
359 |
লে ওয়াল্টার ইটালির Coldgioco ভূবিদ্যা-সম্পর্কিত অবজারভেটরীতে ‘বৃহৎ ইতিহাসবিদ’- দের এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত করেন। এই সম্মেলনে আন্তর্জাতিক বৃহৎ ইতিহাস অ্যাসোসিয়েশনের (International Big History Association |
360 |
বা IBHA) প্রতিষ্ঠা হয়। প্রতিষ্ঠার পরে অ্য্যাসোসিয়েশন বৃহৎ ইতিহাস সম্পর্কে ওয়া ল্টার আলভারেজের ধারণাকে অ্য্যাসোসিয়েশনের সংজ্ঞা রূপে গ্রহণ করে। ২০১১ সালে এই সংস্থাটি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ৫০১ (গ) ৩ |
361 |
ধারার অন্তর্গত একটি লাভ-নিরপেক্ষ সংস্থায় পরিণত হয়। ওয়াল্টার আলভারেজ দীর্ঘদিন এ র পরামর্শদাতা বোর্ডের সদস্য হিসেবে কাজ করেন। অবশেষে ২০১৪ সালের ৭ই আগস্ট যখন ক্যালিফোর্নিয়ার ডোমিনিকান ইউনিভার্সিটিতে I |
362 |
HBA-এর কনফারেন্স হয়েছিল, তখন তিনি এই পদ থেকে সরে দাঁড়ান। ক্রোনোজুম পৃথি বীর বয়স অনেক - প্রাগৈতিহাসিক কালও বিশাল। যাঁরা এই প্রাগৈতিহাসিক কাল ও তখনকার নানা ঘটনাবলী আলোচনা করেন, তাদের কাছে একটা বড় সমস |
363 |
্যা হল এই সব ঘটনাবলীকে সুসংহতভাবে একটা সময়কালের মধ্যে রাখা। ওয়াল্টার আলভ ারেজের সাম্প্রতিকতম অবদান এইখানে। তিনি মাইক্রোসফট রিসার্চের সংগে সহযোগিতায় ক্রোমোজুম নামে এমন একটা সফটওয়্যার বানিয়েছেন যার |
364 |
সাহায্যে এই বিশাল সময়কালকে সুসংহতভাবে কম্প্যুটার গ্রাফিক্সের মাধ্যমে একটি সময়কালের মধ্যে ধরা যায়। সব চাইতে বড় কথা, এই সফটওয়্যারটি অবাণিজ্যিক অর্থাৎ যে কেউ এটিকে ডাউনলোড করে নিজের রিসার্চে এটা ব্যব |
365 |
হার করতে পারেন। এর ফলে প্রাগৈতিহাসিক যুগের ঘটানাবলী বোঝা এবং অনেকগুলো বিভিন ্ন সময়ের তথ্যকে জানা সহজ হয়েছে। বার্কলের ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির ৯৭তম বার্ষিক ফ্যাকাল্টি রিসার্চ লেকচারে প্রথম এই সফট |
366 |
ওয়্যারের প্রয়োগ দেখান হয়।[৫] পুরস্কার ও সম্মান ওয়াল্টার আলভারে জ সারা জীবনে অসংখ্য সম্মানে সম্মানিত এবং অসংখ্য পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছেন। তিনি ১৯৮৩ সালে আমেরিকান আকাদেমি অফ আর্টস ও সায়েন্সের ফেলো |
367 |
নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে তিনি ন্যাশনাল আকাদেমি অফ সায়েন্সের সদস্য নির্বাচিত হন।[৬] ২০০৬ সালে পান নেভাদা মেডেল, ২০০৮ সালে Vetiesen পুরস্কার। ২০০৫ সালে পান আমেরিকার জিওলজিক্যাল সোসাইটির Penrose মেডেল। ই |
368 |
টালির সিয়েনা ইউনিভার্সিটি থেকে ২০০৫ সালে তাকে ভূবিদ্যায় সাম্মানিক ডক্টরেট দেওয়া হয়। xcislav 30 ноября 2022 Удалить কিছু-কিছু নেটিভ আমেরিকান সংস্কৃতির মধ্যে, ড্রিমক্যাচার (বা ড্রিম ক্যাচার); উইলো হু |
369 |
পের উপর ভিত্তি করে একটি হস্তনির্মিত বস্ত, যা শিথিল নেট বা ওয়েব দ্বারা বোনা হয়। ড্রিমক্যাচার সাধারনত পালক, পুঁতি এধরনের ভক্তিমূলক উপাদান নিয়ে সজ্জিত করা হয়। উৎপত্তি ড্রিমক্যাচারের উৎপত্তি হয়েছিলো ও |
370 |
জিব্ওয়ে সম্প্রদায়ের মধ্যে এবং পরবর্তিতে অসব র্ণ বিবাহ ও বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশে এ সংস্কৃতি গ্রহণ হরা হয়ে থাকে। ১৯৬০ এবং ১৯৭০-এর দশকের প্যান-ইন্ডিয়ান আন্দোলনের পর, এটি বিভিন্ন জাতির নেটিভ আ |
371 |
মেরিকানদের দ্বারা গৃহীত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে, ড্রিমক্যাচার বিভিন্ন ভারতীয় জাতির মধ্যে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। xcislav 26 декабря 2022 Удалить অসিলোস্কোপ (ইংরেজি: Oscilloscope) বা পরিবর্তনবী |
372 |
ক্ষক একটি ইলেকট্রনিক পরীক্ষণ যন্ত ্র যার মাধ্যমে কোনো বৈদ্যুতিক ভোল্টেজের বা বিভবের ক্রমাগত পরিবর্তন অবলোকন করা যায়। এ কাজটি দুই-মাত্রার লেখচিত্রের মাধ্যমে সম্পাদন করা হয়, যেখানে এক বা একাধিক বৈদ্যুত |
373 |
িক বিভবের পরিবর্তনগুলিকে উলম্ব 'Y' অক্ষে ও সময়কে ভূমির সমান্তরাল অক্ষে স্থাপন করা হয়। যদিও যন্ত্রটি উলম্ব অক্ষে শুধু বৈদ্যুতিক বিভবকে দৃশ্যমান করে, এটি যেসব রাশিকে বৈদ্যুতিক বিভবকে রূপান্তরিত করা যায |
374 |
় তাদেরকেও উলম্ব অক্ষে প্রদর্শন কর তে পারে। সাধারণত অসিলোস্কোপ এমন সব ঘটনাকে দৃশ্যমান করে যেখানে আপাতদৃষ্টিতে কোন পরিবর্তন হয় না বা খুব কম পরিবর্তন সাধিত হয়। অসিলোস্কোপ সাধারণত ব্যবহৃত হয় বৈদ্যুতিক |
375 |
সংকেতের সঠিক তরঙ্গ দর্শনে। এর সাথে সংকেতের মান, বিচ্যুতি ও দু’টি ঘটনা সংগঠনের মধ্যকার সময় (পালস প্রস্থ, উত্থান সময় ও কাল) এবং দু’টি সম্পর্কীত সংকেতের আপেক্ষিক সময়। অসিলোস্কোপ বিজ্ঞানে, চিকিৎসা শাস্ত |
376 |
্রে, প্রকৌশল ও টেলিযোগাযোগ শিল ্পে ব্যবহার করা হয়। পরীক্ষাগারের যন্ত্রপাতি ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির তত্ত্বাবধানে এটি মূলত ব্যবহার করা হয়। একটি স্বয়ংক্রিয় অগ্নি মাধ্যমকে বিশ্লেষণ করতে বা ইলেক্ট্রোকার |
377 |
্ডিওগ্রামে হৃৎপিন্ডের তরঙ্গের আ কার পর্যবেক্ষণ করতে অসিলোস্কোপ ব্যবহার করা যেতে পারে। ক্যাথোড রে টিউব ব্যবহার করা হয় প্রদর্শনের জন্য ও রৈখিক বিবর্ধক ব্যবহার করা হয় সংকেতকে প্রক্রিয়াধীন করতে। বর্তমান |
378 |
ে অবশ্য কোন কোন অসিলোস্কোপে এলসিডি বা এলইডি পর্দাও ব্যবহার করা হয় এবং দ্রুতগতির অ্যানালগ থেকে ডিজিট্যাল রূপান্তরক ও ডিজিটাল সংকেত প্রসেসর ব্যবহার করা হয়। কিছু যন্ত্রে একটি একক ঘটনাকেও সংরক্ষণ করে রাখ |
379 |
ার ব্যবস্থাও আছে । বর্ ণনা সাধারণ অসিলোস্কোপ একটি অসিলোস্কোপ চার ভাগে বিভক্ত যথাঃ প্রদর্শন পর্দা, উলম্ব নিয়ন্ত্রণ, ভূমি নিয়ন্ত্রণ ও ট্রিগার নিয়ন্ত্রণ। প্রদর্শন পর্দাতে সাধারণত সিআরটি বা এলসিডি প্যান |
380 |
েল থাকে। এছাড় াও থাকে ফোকাস নব, তীব্রতা নব ও বীম খোঁজার একটি বোতাম। উলম্ব নিয়ন্ত্রণ সংকেতের মান নিয়ন্ত্রণের কাজ করে। এতে আরো থাকে একক বিভব নির্বাচনের নব, এসি/ডিসি/ ভূমি নির্ধারণের বোতাম এবং পরীক্ষাধ |
381 |
ীন যন্ত্রের উলম ্ব ইনপুট দেওয়ার স্থান ও অতিরিক্ত ভাবে থাকে উলম্ব বীম স্থাপনের নব। ভূমি নিয়ন্ত্রণ থাকে একক সময় নির্বাচনের নব, পরীক্ষাধীন যন্ত্রের ভূমির ইনপুট দেওয়ার স্থান ওভূমি বীম স্থাপনের নব। ট্রি |
382 |
গার নিয়ন্ত ্রণ প্রত্যেকটি ঘটনাকে শুরু করায় একবার শেষ হওয়ার পরে বা এটি এমন ভাবে সাজানো যে এটা বহিঃস্থ ও অন্তঃস্থ ঘটনার প্রতিক্রিয়া দেখায়। এর মূল অংশ হলো উৎস ও কাপলিং নির্বাচনের বোতাম। একটা বহিঃস্থ |
383 |
টিগার ইনপুট ও লেভেল সমন্বয়কারীও এর সাথে যুক্ত হয়। বেশির ভাগ অসিলোস্কোপের সাথে একটা শলাকা দেওয়া থাকে যা পরীক্ষাধীন যন্ত্রের সাথে যুক্ত করতে হয় যা রোধক ক্ষমতা ১০ গুণ বেশি থাকে অসিলোস্কোপের চেয়ে। xci |
384 |
slav 27 декабря 2022 Удалить জাহাজের স্থিতিশীলতা হলো নৌ স্থাপত্য এবং জাহাজ নকশার এমন একটি অঞ্চল যা কোনও জাহাজ সমুদ্রের সাথে কীভাবে আচরণ করে, স্থির জলে এবং তরঙ্গ উভয়ই অক্ষত থাকে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্ |
385 |
থায়িত্ব গণনার প্রধানত মাধ্যাকর্ষণ কেন্দ্র, উচ্ছ্বাসের কেন্দ্র, জাহাজের মেটাসেন্টার এবং কীভাবে এইগুলো মিথস্ক্রিয়া করে তা বিশ্লেষন করে। ইতিহাস নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের টয়িং ট্যাঙ্কে একটি ম ডেল ইয়ট |
386 |
পরীক্ষা করা হচ্ছে জাহাজের ভারসাম্য যেহুতু নৌ স্থাপত্যের বিবেচ্য বিষয়, তাই শত বছর ধরে এটি গুরুত্ব সহকারে বিবেচিত হচ্ছে। প্রাচীনকাল থেকেই জাহাজের ভারসাম্যের হিসাব কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর নির্ভর করে আ |
387 |
সছে। এর মধ্যে অনেক পুরাতন সমীকরণ আজও নৌ স্থাপত্যের বইগুলোতে অবিরাম ব্যবহৃত হচ্ছে। যাইহোক, ভারসাম্য হিসাবের ক্যালকুলাস ভিত্তিক পদ্ধতির আবির্ভাব, বিশেষত পিয়ের বাউগারের ১৭৪০-এর দশকের জাহাজের মডেল বেসিনে |
388 |
মেটাসেন্টার ধারণাটি প্রবর্তন, আরও জটিল বিশ্লেষণের পথ প্রশস্থ করে। অতীতের জাহাজ নির্মাতাগণ অভিযোজিত এবং নানাবিধ নকশার ব্যবহার করেছিলেন। জাহাজগুলি প্রায়শই কেবল সামান্য পরিবর্তন করে এক প্রজন্ম থেকে অন্য |
389 |
প্রজন্মের মধ্যে অনুলিপি করা হয়; স্থিতিশীল নকশাগুলির প্রতিলিপি দ্বারা, গুরুতর সমস্যা এড়ানো সম্ভব হয়। জাহাজগুলি আজও অভিযোজন এবং প্রকরণের এই প্রক্রিয়াটি ব্যবহার করে; যাইহোক, গণনা তরল গতিবিদ্যা, জাহাজে |
390 |
র নকশা পরীক্ষণ এবং প্রবাহি এবং জাহাজের গতি সম্পর্কে আরও সামগ্রিক ধারনার ফলে আরো অনেক বিশ্লেষণধর্মী নকশা অনুমোদিত হয়েছে। আড়াআড়ি এবং অনুদৈর্ঘ্য জলরোধী বিভাজন ১৮৬০ এবং ১৮৮০ এর মধ ্যে আয়রনক্ল্যাড ডিজাই |
391 |
নে চালু হয়েছিল , ব্রিটিশ বাষ্প বণিক জাহাজগুলিতে ১৮৬০ এর আগে সংঘর্ষরোধী বিভাজনগুলি বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। [১] এর আগে, কোনও জাহাজের যে কোনও অংশে একটি হালের ক্ষতি তার পুরো দৈর্ঘ্য কে প্লাবিত করতে পারতো |
392 |
। আড়াআড়ি বিভাজন, ব্যয়বহুল হলেও, হালের ক্ষতি হওয়ার পরও জাহাজের টিকে থাকার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে, পানির প্রবেশ কেবল ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলিতে সীমাবদ্ধ করে তারা অবিক্ষত অংশ থেকে পৃথক কর ে। অনুদৈর্ঘ্য বিভাজন |
393 |
গুলির একই উদ্দেশ্য রয়েছে, তবে অতিরিক্ত বাঁকা হওয়া দূর করতে ক্ষতিগ্রস্ত স্থায়িত্বের প্রভাবগুলি অবশ্যই বিবেচনায় নেওয়া উচিত। বর্তমানে, বেশিরভাগ জাহাজের বিভাজনগুলোতে পোর্ট এবং স্টা রবোর্ডে (ক্রস ফ্লাড |
394 |
িং) জল সমান করার উপায় রয়েছে, যা কাঠামোগত চাপ এবং জাহাজের আড়াআড়ি ও অনুদৈর্ঘ্যভাবে বাকা হয়ে ঝুঁকে যাওয়া কমাতে সহায়তা করে। অ্যাড অন স্থায়িত্ব সিস্টেম জাহাজ ভারসাম্য ডা য়াগ্রামে দেখানো আছে,মাধ্যাক |
395 |
র্ষণ কেন্দ্র (জি), বুয়েন্সির কেন্দ্র (বি), এবং মেটাসেন্টার (এম) সহ জাহাজটি খাড়া এবং একপাশে কাত করা হয়েছে। যতক্ষণ কোনও জাহাজের বোঝা স্থির থাকে, জি স্থির থাকে। ছোট কোণগুলির জন্য এমও স্থির বলে মনে করা |
396 |
যেতে পারে, এবং বি জাহাজের কাত হওয়ার সাথে পরিবর্তিত হয়। অক্ষত অবস্থায় ভারসাম্য গণনা তুলনামূলকভাবে সহজ এবং সম্পূর্ণ জাহাজের ভরকেন্দ্রকে চিহ্নিত করার জন্য জাহাজের সমস্ত বস্তুর ভর কেন্দ্রগুলি এবং হালের |
397 |
উচ্ছ্বাসের কেন্দ্র গণনা করা হয়। জাহাজের মালামালের বিন্যাস এবং, কপিকলের ক্রিয়াকলাপ এবং সমুদ্রের অবস্থাগুলো সাধারণত বিবেচনায় নেওয়া হয়। ডানদিকে চিত্রটি দেখায় অভিকর্ষে র কেন্দ্রটি উচ্ছ্বাসের কেন্দ্রে |
398 |
র চেয়ে উপরে রয়েছে, তাই জাহাজটি স্থিতিশীল রয়েছে। জাহাজটি স্থিতিশীল কারণ এটি বাঁকতে শুরু করার সাথে সাথে হালের একপাশ জল থেকে উঠতে শুরু করে এবং অন্য দিকটি ডুবে যেতে শুরু ক রে। এতে উচ্ছ্বাসের কেন্দ্রটি প |
399 |
ানির নিচের দিকে সরে যায়। নৌ স্থাপত্য প্রকৌশলির কাজ হচ্ছে নিশ্চিত করা যে উচ্ছ্বাসের কেন্দ্রটি জাহাজ বেঁকে যাওয়ার সাথে সাথে মাধ্যাকর্ষণ কেন্দ্রের বহির্মুখে স্থানান্তরিত কর বে। সামান্য বাঁকানো অবস্থানে |
400 |
উচ্ছ্বাস কেন্দ্র দিয়ে গমনকারী উল্লম্বভাবে আঁকা একটি লাইন কেন্দ্ররেখার সাথে মেটাসেন্টার নামক একটি বিন্দুতে ছেদ করে। যতক্ষণ মেটাসেন্টার অভিকর্ষের কেন্দ্রের চেয়ে উপরে থাকে ত তক্ষণ জাহাজটি খাড়া অবস্থায় |
401 |
স্থিতিশীল থাকে। অক্ষত অবস্থায় ভারসাম্য গননার চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় ভারসাম্যের গণনা আরও জটিল। সংখ্যাসূচক পদ্ধতি ব্যবহার করে সফ্টওয়্যার সাধারণত নিযুক্ত করা হয় কা রণ ক্ষেত্রফল এবং আয়তনগুলো দ্রুত |
402 |
অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করে গণনা করা ক্লান্তিকর এবং সময়সাপেক্ষ হতে পারে। xcislav 3 января 2023 Удалить মহাকাশ বন্দর বলতে মহাকাশযান উৎক্ষেপণ (বা অবতরণের) ক ্ষেত্রকে বোঝায়। শব্দটি নৌবন্দর ও বিমানবন্দর |
403 |
ের অনুরূপে ব্যবহার করা হয়। ইংরেজিতে "স্পেসপোর্ট" (Spaceport) ও "কসমোড্রোম" (Cosmodrome) পরিভাষা দুইটি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত মহাকাশ বন্দর থেকে পৃথিবীকে নি র্দিষ্ট কক্ষপথে আবর্তন করানোর উদ্দেশ্যে কিং |
404 |
বা আন্তঃগ্রহ যাত্রার উদ্দেশ্যে মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হয়।[১] তবে মহাকাশযানের শুধুমাত্র উপ-কক্ষপথীয় উড্ডয়নের জন্য ব্যবহৃত ক্ষেত্রগুলিকেও কখনও কখনও মহাকাশ বন ্দর নামে ডাকা হতে পারে। মহাকাশ বিরতিস্থল ত |
405 |
থা মহাকাশ স্টেশনগুলিকে এবং ভবিষ্যতে চাঁদে নির্মিতব্য ঘাঁটিগুলিকেও (যদি সেগুলিকে আরও দূরবর্তী যাত্রার ঘাঁটি হিসেবে পছন্দ করা হয়) অনেক সময় মহাকাশ বন্দর নামে ডা কা হতে পারে।[২] রকেট উৎক্ষেপণ ক্ষেত্র (Ro |
406 |
cket launching site) বলতে এমন সুব্যবস্থাবিশিষ্ট ক্ষেত্রকে বোঝায়, যেখান থেকে রকেট উৎক্ষেপণ করা যায়। এই ক্ষেত্রে এক বা একাধিক উৎক্ষেপণ মঞ্চ (Launch pad, লঞ ্চ প্যাড) থাকতে পারে কিংবা পরিবহনযোগ্য উৎক্ষে |
407 |
পণ মঞ্চ সংস্থাপনের জন্য সুবন্দোবস্ত থাকতে পারে। সাধারণত একটি রকেট উৎক্ষেপণ ক্ষেত্রকে ঘিরে একটি বৃহৎ নিরাপত্তামূলক অঞ্চল থাকতে পারে, যাকে প্রায়শই রকেটের পাল ্লা অঞ্চল (Rocket range, রকেট রেঞ্জ) বা ক্ষে |
408 |
পণাস্ত্রের পাল্লা অঞ্চল (Missile range, মিসাইল রেঞ্জ) নামে অভিহিত করা হয়। রকেটগুলি সম্ভাব্য যে অঞ্চলের উপর দিয়ে উড়তে পারে, এবং যেখানে রকেটের কিছু উপাংশ ভূ মিতে পতিত হতে পারে, রকেট পাল্লা অঞ্চলে সেই |
409 |
অঞ্চলটি অন্তর্ভুক্ত থাকে। কখনও কখনও রকেটের পাল্লা অঞ্চলের ভেতরে অনুসরণকারী কেন্দ্র থাকে যেগুলি রকেট উৎক্ষেপণের অগ্রগতির মূল্যায়ন করে।[৩] গুরুত্বপূর্ণ মহ াকাশ বন্দরগুলিতে প্রায়শই একাধিক উৎক্ষেপণ সমবায |
410 |
় (Launch complex) থাকে। এগুলিতে বিভিন্ন ধরনের উৎক্ষেপণ যানের জন্য অভিযোজিত ভিন্ন ভিন্ন রকেট উৎক্ষেপণ ক্ষেত্র থাকতে পারে। নিরাপত্তাজনিত কারণে এই ক্ষেত্রগু লি একে অপর থেকে ভাল দূরত্বে পৃথকভাবে অবস্থান ক |
411 |
রতে পারে। তরল প্রচালক পদার্থবিশিষ্ট উৎক্ষেপণ যানগুলির জন্য যথোপযুক্ত মজুদের সুব্যবস্থা এবং ক্ষেত্রবিশেষে উৎপাদনের সুব্যবস্থা প্রয়োজন হয়। এছাড়া উৎক্ষেপণ ক্ষেত্রেই কঠিন প্রচালক পদার্থ প্রক্রিয়াজাতকরণ |
412 |
ের সুব্যবস্থা থাকাটা সাধারণ একটি ব্যাপার। একটি মহাকাশ বন্দরের কর্মকাণ্ডে সহায়তাকারী বিমানসমূহের আকাশে আরোহণ ও ভূমিতে অবতরণের জন্য ধাবনপথ বা রানওয়ে থ াকতে পারে। এছাড়া আনুভূমিক আরোহণ, আনুভূমিক অবতরণ ক |
413 |
িংবা আনুভূমিক আরোহণ, উল্লম্ব অবতরণ পাখা বিশিষ্ট উৎক্ষেপণ যন্ত্রগুলির জন্যও রানওয়ে বা ধাবনপথ থাকতে পারে। দক্ষিণ কাজাখস্তানে অবস্থিত বাইকোনুর মহাকা শ বন্দরটি ইতিহাসের সর্বপ্রথম মহাকাশ বন্দর যেখান থেকে প |
414 |
ৃথিবীকে কক্ষপথে আবর্তনকারী উপগ্রহ ও মানুষকে উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি ১৯৫৫ সালে একটি সোভিয়েত সামরিক রকেট পাল্লা অঞ্চল হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ১৯৫৭ সাল ের অক্টোবের এখান থেকে ভূপ্রদক্ষিণকারী স্পুতনিক ১ উপগ্ |
415 |
রহটি এবং ১৯৬১ সালে ইতিহাসের সর্বপ্রথম মহাকাশচারী ইউরি গাগারিনকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। যে ঐতিহাসিক উৎক্ষেপণ মঞ্চ থেকে গাগারিন উৎক্ষিপ্ত হয়েছিলেন, সে টিকে "গাগারিনস্কি স্তার্ত" নাম দেওয়া হয়েছে। xcisla |
416 |
v 19 января 2023 Удалить ট্রান্স-অ্যান্টার্কটিক পর্বতমালা (ইংরেজি: Transantarctic Mountains) কুমেরু মহাদেশে অবস্থিত একটি পর্বতমালা। এটি উত্তর ভিক্টোরিয়া ল্যান্ডের অ্যাডার অন্তরীপ হতে শুরু হয়ে কুমেরু |
417 |
মহাদেশের মধ্যগামী হয়ে কোটস ল্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত। পর্বতমালাটি কুমেরু মহাদেশকে পূর্ব অ্যান্টার্কটিকা ও পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকা - এই দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। প্রকৃতপক্ষে আন্তকুমেরু পর্বতমালা কয়েকটি পৃথক |
418 |
নামবিশিষ্ট, বিচ্ছিন্ন পর্বতমালার সমষ্টি। ভূগোল ট্রান্স-অ্যান্টার্কটিক পর্বতমালা রস সাগর হতে ওয়েডেল সাগর পর্যন্ত সম্পূর্ণ কুমে রু মহাদেশের মধ্যভাগ দিয়ে বিস্তৃত, তাই এর এরূপ নামকরণ করা হয়েছে। প্রায় |
419 |
৩৫০০ কিমি দৈর্ঘ্য এবং ১০০-৩০০ কিমি প্রস্থ বিশিষ্ট এই পর্বতমালাটি পৃথিবীর অন্যতম দীর্ঘতম পর্বতমালা। এটি পূর্ব অ্যান্টার্কটিকাকে প শ্চিম অ্যান্টার্কটিকা হতে বিচ্ছিন্ন করেছে। পর্বতমালার পূর্ব গোলার্ধস্থিত |
420 |
অংশে পূর্ব অ্যান্টার্কটিক হিম আচ্ছাদন এর সমগ্র দৈর্ঘ্য জুড়ে বিস্তৃত। অপরপক্ষে, পর্বতমালার পশ্চিম গোলার্ধস্থিত অংশ ভিক্টোরিয়া ল ্যান্ডের অ্যাডার অন্তরীপে রস সাগর দ্বারা, ম্যাকমার্ডো প্রণালী হতে স্কট |
421 |
হিমবাহ পর্যন্ত রস হিম স্তূপ দ্বারা, এবং বাকিটুকু পশ্চিম অ্যান্টার্কটিক হিম আচ্ছাদন দ্বারা বেষ্টিত। আন্তকুমেরু পর্বতমালার চূড়াগুলো এবং শুষ্ক উপত্যকাগুলো বরফাচ্ছাদিত নয়, যা কুমেরু মহাদেশে দুর্লভ। শীর্ষ |
422 |
চূড়াগুলো সমুদ্রসীমার চেয়ে ৪,৫০০ মিটার (১৪,৮০০ ফু) এরও বেশি উঁচু। ম্যাকমার্ডো প্রণালীর নিকটে ম্যাকমার্ডো শুষ্ক উপত্যকায় বিশেষ প ্রকৃতির জলবায়ু লক্ষণীয় - যেখানে ভৌগোলিক কারণে বরফ গলন ও বাষ্পীভবনের |
423 |
মাধ্যমে অপসারিত হয়, এবং অত্যন্ত কম তুষারপাতের ফলে এই উপত্যকা বরফ ও তুষার মুক্ত থাকে। ম্যাকমার্ডো শুষ্ক উপত্যকা আন্তকুমেরু পর্বতমাল ার বৃষ্টিচ্ছায়ায় অবস্থিত হওয়ার কারণে প্রকৃতপক্ষে এটি একটি মরুভূমি, |
424 |
যা পৃথিবীর শীতলতম মরুভূমি হিসেবে গিনেস বিশ্ব রেকর্ডের অন্তর্ভুক্ত। [১] আন্তকুমেরু পর্বতমালার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হচ্ছে রাণী আলেকজান্দ্রা পর্বতশ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত কার্কপ্যাট্রিক পর্বত, যার উচ্চতা ৪,৫২৮ মি। |
425 |
বিচ্ছিন্ন বরফহীন পর্বতগুলো যা চারপাশে বরফ দ্বারা বেষ্টিত, সেগুলোকে নুনাতাক বলা হয়। জীববৈচিত্র্য পেঙ্গুইন, সীল মাছ ও সামুদ্ রিক পাখিরা ভিক্টোরিয়া ল্যান্ডের রস সাগর তীরে বসবাস করে। পর্বতমালার ভেতরে জীব |
426 |
বৈচিত্র্য অণুজীব, মিথোজীবী ভুঁইফোঁড়, শৈবাল ও ছত্রাকের মাঝেই সীমাবদ্ধ। xcislav 28 февраля 2023 Удалить ব্যাবিলন ীয় জ্যোতির্বিদ্যা ছিল মেসোপটেমিয়ার ইতিহাসের আদিকালে, জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তুসমূহ নিয়ে |
427 |
গবেষণা বা সেগুলো লিপিবদ্ধ করা (ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদ্যায় একটি ঐতিহাসিক ঘটনা)। এই নথিসমূহ সুমেরীয় মৃত্তিকা-ফল কে, কীলকাকার বর্ণমালায় (কিউনিয়াফর্ম, ইংরেজি: Cuneiform) খোদাইকৃত অবস্থায় পাওয়া যায়, |
428 |
এর সময়কাল ছিল প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০-৩২০০ অব্দের মধ্যবর্তী সময়ে।[১] পৌরাণিক কাহিনীর সাথে সাথে, সুমেরীয় রা এক ধরনের জ্যোতির্বিদ্যা/ জ্যোতিঃশাস্ত্রের সূচনা করেছিল যার প্রভাব ছিল ব্যাবিলনীয় সংস্কৃত |
429 |
ির ওপর। তার মধ্যে গ্রহ-সংক্রান্ত দেবতাগণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতো। ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদ্যার মনোযোগ দৃশ্যত জিক্পু নক্ষত্ররাজি নামক এক গুচ্ছ নক্ষত্র ও নক্ষত্রমণ্ডলের নকশার ওপরই ছিল।[২] এই ন |
430 |
কশাগুলো পূর্ববর্তী সময়ের নানা সূত্র থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। প্রাচীনতম তালিকা, Three Stars Each -এ আক্ক াদীয়, আমুরু, ইলাম সহ অন্যান্য সাম্রাজ্যের সময়ের তারকাসমূহের উল্লেখ পাওয়া যায়।[৩] ষাট-ভিত্তিক |
431 |
একটি সংখ্যা ব্যবস্থা, ষাটমূলক পদ্ধতি, ব্যবহার করা হত। এই পদ্ধতি অস্বাভাবিক রকমের বৃহৎ ও ক্ষুদ্র সংখ ্যার হিসাব ও লিপিবদ্ধ করা সহজ করে দিয়েছিল। আধুনিক সময়ে কোন বৃত্তকে ৩৬০ ডিগ্রিতে ভাগ করা, প্রতিটিকে |
432 |
৬০ মিনিটে ভাগ করার যে প্রথা, তা সুমেরীয়দের মাধ্যমেই শুরু হয়েছিল।[৪] খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম ও অষ্ট ম শতাব্দীতে, ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদগণ জ্যোতির্বিদ্যায় একটি নতুন পরীক্ষালব্ধ পদ্ধতির প্রয়োগ করেছিলেন। |
433 |
তারা মহাবিশ্বের আদর্শ অবস্থার প্রেক্ষিতে, নিজেদের বিশ্বাস ও দর্শন নিয়ে গবেষণা এবং তার নথিভুক্তি শুরু করেন; তারা নিজেদের অনুমিত গ্রহ-সংক্রান্ত ব্যবস্থায় অভ্যন্তরীণ যুক্তি প্রয়োগ করতে শুরু করেন। জ্যোত |
434 |
ির্বিদ্যা এবং বিজ্ঞানের দর্শনে এটা ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান, এবং আধুনিক কালের অনেক পণ্ডিত এই অ ভিনব পন্থাকে প্রথম বৈজ্ঞানিক বিপ্লব বলে আখ্যা দিয়েছেন।[৫] গ্রীক ও হেলেনীয় জ্যোতিঃশাস্ত্রে এই পন্থা অব |
435 |
লম্বন করে আরও বিকাশ সাধন করা হয়। চিরায়ত গ্রীক ও লাতিন সূত্রগুলো অহরহ মেসোপটেমিয়ার জ্যোতির্বিদদে র ক্যালডীয় (বা ব্যাবিলনীয়, মূল শব্দ: Chaldeans), যাদেরকে জ্যোতিঃশাস্ত্র ও অন্যান্য অলৌকিক বিষয়ে অভি |
436 |
জ্ঞ যাজক-লিপিকার হিসেবে গণ্য করা হত। ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদ্যার কেবল কিছু ভগ্নাবশেষই টিকে আছে , যার বড় অংশজুড়ে রয়েছে সমকালীন জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক দিনলিপি, পঞ্জিকা (ephemerides) ও কার্যপ্রণালির বিবরণ স |
437 |
ংবলিত মৃত্তিকা-ফলক, এ কারণে ব্যাবিলনীয় গ্রহ তত্ত্ব সম্পর্কে বর্তমান জ্ঞানের পরিসরও অপূর্ণ অবস্ থায় আছে।[৬] তারপরও, যে খণ্ডাংশগুলো টিকে আছে তা থেকে দেখা যায় যে, ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদ্যাই ছিল প্রথম |
438 |
"জ্যোতির্বিজ্ঞানের ঘটনাবলির নিখুঁত গাণিতিক বিবরণ দেওয়ার সফল প্রচেষ্টা", এবং "বৈজ্ঞানিক জ্যোতির্ বিজ্ঞানের পরবর্তী সকল প্রকরণে- হেলেনীয় বিশ্বে, ভারতে, ইসলামে এবং পশ্চিমে- ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদ্যার ন |
439 |
িশ্চিত ও মৌলিক নির্ভরশীলতা বিদ্যমান ছিল।"[৭] পাশ্চাত্যের জ্যোতির্বিদ্যার সূত্রপাত মেসোপটেমিয ়ায় পাওয়া যায়, এবং অবিকল বিজ্ঞানের (exact sciences) ক্ষেত্রে সকল পশ্চিমা প্রচেষ্টাই, শেষ দিকের ব্যাবিলনীয |
440 |
় জ্যোতির্বিদগণের কাজ থেকে প্রত্যক্ষভাবে উদ্ভূত।[৮] সুমেরীয় জ্যোতির্বিদ্যা সম্পর্কিত আধুনিক জ্ঞান পরোক্ষ, প্রায় ১২০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দের প্রাচীনতম নক্ষত্র-তালিকার মাধ্যমে প্রাপ্ত। অনেক তারকার নাম যে |
441 |
সুমেরীয়তেও পাওয়া যায় তা আদি ব্রোঞ্জ যুগ পর্যন্ত ধারাবাহিকতার ইঙ্গিত দেয়। পুরাতন ব্যাব িলনীয় জ্যোতির্বিদ্যা আরও দেখুন: ব্যাবিলনীয় নক্ষত্র তালিকা আমিসাদুক্বা'র ভেনাস মৃত্তিকা-ফলক “পুরাতন” ব্যাবিলনী |
442 |
য় জ্যোতির্বিদ্যার প্রচলন ছিল প্রথম ব্যাবিলনীয় রাজবংশের সময়কাল ও তার পরে (আ নুমানিক ১৮৩০ খ্রি.পূ.), এবং নব্য-ব্যাবিলনীয় সাম্রাজ্যের আগে। ব্যাবিলনীয়রাই প্রথম ধরতে পেরেছিল যে, জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ঘটনাব |
443 |
লি পর্যায়বৃত্তিক এবং নিজেদের অনুমানে তারা গণিতের প্রয়োগ করেছিল। পুরনো ব ্যাবিলনীয় যুগের মৃত্তিকাফলক থেকে, কোন সৌরবর্ষে দিবাকালের দৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গণিত প্রয়োগের নথি পাওয়া যায়। ব্যাবিল |
444 |
নীয়গণ কর্তৃক কয়েক শতাব্দিজুড়ে পরিলক্ষিত জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ঘটনাবলির বিবর ণ পাওয়া যায় এনুমা আনু এনলিল নামে পরিচিত কিউনিয়াফর্ম মৃত্তিকাফলকে, যার ৬৩ নং ফলক আমিসাদুক্বা’র ভেনাস মৃত্তিকাফলক-ই হচ্ছে আমা |
445 |
দের অধিকৃত সর্বপ্রাচীন জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক নথি, যাতে প্রায় ২১ বছরজুড়ে শুক্র গ্রহের প্রথম ও শেষ দৃশ্যমান উদয়সমূহ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। গ্রহসংক্রান্ত ঘটনাবলিকে যে পর্যায়বৃত্তিক বলে মনে করা হতো, তার স |
446 |
বচেয়ে পুরনো দলিল এটি।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] নিনিভা’র ধ্বংসাবশেষ থেকে শ্ বেত প্রিজম বলে চিহ্নিত একটি বস্তু উদ্ধার করা হয়। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল যে, এতে কোন খেলার নিয়ম বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু পরবর্তীকা |
447 |
লে এর মর্মোদ্ধার করা হলে জানা যায় যে, সেটি জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তুসমূহ ও নক্ষত্রমণ্ডলের গতিবিধির গণনায় একক-রূপান্তরক (unit converter) ছিল।[৯] ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদগণ রাশিচক্রের প্রবর্তন করেন। নভোমণ |
448 |
্ডলকে ত্রিশ ডিগ্রির তিনটি সেটে বিভক্ত করে এবং প্রতিটি অংশে অন্তর্ভ ুক্ত নক্ষত্রমণ্ডল নিয়ে এগুলো গঠিত।[১০] মূল.আপিন-এ তারকা ও নক্ষত্রমণ্ডলের তালিকা’র সাথে সাথে নক্ষত্র উদয় (heliacal rising), গ্রহসমূহে |
449 |
র বিন্যাস, এবং জলঘড়ি, নমন, ছায়া ও ইন্টারক্যালেশন এর মাধ্যমে দিবাকালের দৈর্ঘ্য নির্ণয়ের উপায় বর্ণিত আছে। ব্যাবিলনীয় জি.ইউ. বিবরণীতে তারকারাজিকে একটি বিনতি বৃত্ত বরাবর ‘রজ্জু’র ন্যায় বিন্যস্ত করা হ |
450 |
য় এবং এভাবে ডান-দিকবর্তী আরোহণ বা সময় ব্যবধান পরিমাপ করা হয় ।[১১][১২][১৩] গ্রহণের বাস্তব পর্যবেক্ষণের নথি পাওয়া যায় ডজনখানেক মেসোপটেমীয় কিউনিয়াফর্মে, যেগুলো মূলত ব্যাবিলনিয়া থেকেই দেখা। গ্রহ-সং |
451 |
ক্রান্ত তত্ত্ব ব্যাবিলনীয়রাই প্রথম সভ্যতা যাদের গ্রহ সম্পর্কিত নিজস্ব কার্যকর তত্ত্ব ছিল।[১৩] ব্যাবিলনের আমিসুদাক্বার শুক্র গ্রহের মৃত্তিকাফলক, যা খ্রিস্টপূর্ব ৭ম শতকের শুক্র গ্রহের গতিবিধির পর্যবেক্ষ |
452 |
ণ-তালিকার একটি প্রতিলিপি, এবং তা সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব ২ য় শতক পর্যন্ত পুরনো। বর্তমানকালে যেটা পাশ্চাত্য জ্যোতিষশাস্ত্র বলে পরিচিত, তার ভিত্তি প্রস্তরও স্থাপন করেন ব্যাবিলনীয় জ্যোতিষীবৃন্দ।[১৪] এনুমা আ |
453 |
নু এনলিল, যা খ্রিস্টপূর্ব ৭ম শতকে নব্য-অ্যাসিরীয় যুগে রচিত,[১৫] তাতে পূর্বলক্ষণের একটি তালিকা এবং গ্রহতাত্ত্বিক গতিবিধি সহ কতগুলো জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ঘটনাবলির সাথে এদের সম্পর্কের উল্লেখ আছে।[১৬] মহাবিশ্ |
454 |
বতত্ত্ব মেসোপটেমীয় ও অ্যাসিরীয়-ব্যাবিলনীয় স াহিত্যে, বিশেষ করে মেসোপটেমীয় ও ব্যাবিলনীয় পুরাণে উপস্থাপিত বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গির তুলনায়, মহাবিশ্বতত্ত্ব এবং প্রাচীন ব্যাবিলনীয় জ্যোতিষী ও জ্যোতির্বিদগ |
455 |
ণের বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে খুব সামান্যই জ ানা আছে।[১৭] এর কারণ মূলত ব্যাবিলনীয় গ্রহতত্ত্ব সম্পর্কে জ্ঞানের ভগ্ন দশা,[৬] এবং তৎকালীন সময়ে মহাবিশ্বতত্ত্ব থেকে ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদ্যার পৃথক উপস |
456 |
্থিতি। তা সত্বেও, ব্যাবিলনীয় সাহিত্য ও পুরাণে ম হাবিশ্বতত্ত্বের কিছু কিছু আলামত পাওয়া যায়।[১৮] ব্যাবিলনীয় মহাবিশ্বতত্ত্বে, পৃথিবী এবং নভোমণ্ডলকে একটি “পৃথিবী ও স্বর্গের (নভোমণ্ডলের) পরিধি” এবং “স্ব |
457 |
র্গ ও পৃথিবীর সমগ্রতা”-এর সাপেক্ষে “অখণ্ড বি চরণস্থল, যা সম্ভবত গোলাকার” বলে বর্ণনা করা হতো। তাদের বৈশ্বিক-দর্শন আবার ঠিক ভূ-কেন্দ্রিকও ছিল না। ভূ-কেন্দ্রিকতার ধারণা, যেখানে পৃথিবীই হচ্ছে সমগ্র মহাবিশ্ |
458 |
বের কেন্দ্র, এমন ধারণা তখনো ব্যাবিলনীয় মহাবি শ্বতত্ত্বে ছিল না, কিন্তু পরবর্তীকালে গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটলের স্বর্গের ওপরে গ্রন্থে প্রতিষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে, ব্যাবিলনীয় মহাবিশ্বতত্ত্বের প্রস্তাবনা |
459 |
অনুসারে, এই মহাবিশ্ব নভোমণ্ডলের সাথে একত্রে বৃ ত্তাকারভাবে আবর্তিত হয়, এবং পৃথিবীও অখণ্ড সমতুল্য হিসেবে তার সাথে যুক্ত।[১৯] ব্যাবিলনীয়রা ও তাদের পূর্বসূরি সুমেরীয়রাও পৃথিবী ও নভোমণ্ডলের বহুত্বে বিশ্ |
460 |
বাস করতো। এই ধারণাটি প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ২য় শত াব্দিতে প্রাপ্ত সুমেরীয় মন্ত্রসমূহের সময় পর্যন্ত পুরনো, যেখানে সাত পৃথিবী ও সাত স্বর্গের উল্লেখ রয়েছে, যা সম্ভবত সাত প্রজন্মের দেবতাকুল কর্তৃক সৃষ্টির |
461 |
কালানুক্রমিক বিন্যাসের সাথে সংশ্লিষ্ট।[১৯] পূর্বাভাস মেসোপটেমীয়দের একটা সাধারণ বিশ্বাস ছিল এই যে, দেবতাগণ ভবিষ্যৎ ঘটনা সম্পর্কে মানবজাতিকে ইঙ্গিত দিতে পারতেন এবং দিতেনও। এসব ইঙ্গিতগুলোকে পূর্বাভাস হি |
462 |
সেবে বিবেচনা করা হতো। মেসোপটেমীয়দের পূ র্বাভাসে বিশ্বাস ছিল জ্যোতির্বিদ্যা ও তার পূর্বসূরি জ্যোতিষশাস্ত্রের সাথে জড়িত, কেননা ঐ সময়ে পূর্বাভাস জানার জন্য আকাশ পর্যবেক্ষণের প্রচলন ছিল। পূর্বাভাস পাওয় |
463 |
ার আরেকটি উপায় ছিল প্রাণিদের অন্ত্র (না ড়িভুঁড়ি) পর্যবেক্ষণ। পূর্বাভাস লাভের এই পদ্ধতি সৃষ্টিযোগ্য পূর্বাভাস হিসেবে শ্রেণিভুক্ত ছিল, যার অর্থ হচ্ছে এগুলো মানুষের দ্বারা সৃষ্টি করা সম্ভব ছিল, কিন্তু |
464 |
আসমানি পূর্বাভাস মানুষের ক্রিয়াকলাপ ব্যত িরেকেই সৃষ্টি হতো বলে সেগুলোকে অনেক বেশি শক্তিশালী বলে মনে করা হতো। তবে সৃষ্টিযোগ্য বা অযোগ্য- উভয় প্রকার পূর্বাভাসই, দেবতাদের প্রেরিত বার্তা হিসেবে দেখা হতো। |
465 |
শুধুমাত্র দেবতা-প্রেরিত বলেই যে তাদে র নিয়তি চূড়ান্ত হয়ে গেছে, মেসোপটেমীয়রা তেমনটাও বিশ্বাস করতো না, পূর্বাভাস এড়ানো যায় বলেই ঐ সময়ে তাদের বিশ্বাস ছিল। গাণিতিক পরিভাষায়, মেসোপটেমীয়রা পূর্বাভা |
466 |
সকে দেখতো এভাবে: “যদি ক হয়, তাহলে খ ঘ টবে”, যেখানে “ক” হচ্ছে প্রোটেসিস (protasis) এবং “খ” হচ্ছে অ্যাপোডোসিস (apodosis)।[২০][পৃষ্ঠা নম্বর প্রয়োজন] পূর্বাভাসের সাথে মেসোপটেমীয়দের সম্পর্ক দেখা যায় পূর |
467 |
্বাভাস সংকলনে, যা ২য় শতাব্দির গোড়া থে কে রচিত একটি ব্যাবিলনীয় বিবরণী। এটাই আমাদের কাছে থাকা প্রাথমিক সূত্র যা থেকে জানা যায় যে, ব্যাবিলনীয়রা পূর্বাভাসগুলোকে প্রতিরোধযোগ্য বলেই দেখতো। কুলক্ষণ বিতাড |
468 |
়ণের জন্য সুমেরীয়দের মন্ত্রসমূহ, বা “না ম-বুর-বি”-এর উল্লেখও রয়েছে এই লেখায়। এই শব্দটি পরবর্তীকালে “নামবুরবু” হিসেবে আক্কাদীয়দের দ্বারা গৃহীত হয়, যার মোটামুটি অর্থ দাঁড়ায় “[কুলক্ষণ] বিতাড়ণ”। পূ |
469 |
র্বাভাসগুলো দেবতা ইআ এর তরফ থেকে পাঠানো হ তো বলেই বিশ্বাস ছিল। পূর্বাভাসের তীব্রতার ক্ষেত্রে, গ্রহণকে (eclipses) দেখা হতো সবচেয়ে ভয়ংকর হিসেবে।[২০] এনুমা আনু এনলিল একটি কিউনিয়াফর্ম মৃত্তিকাফলকের একটি |
470 |
সিরিজ, যেখানে ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বি দগণ কর্তৃক পরিলক্ষিত বিভিন্ন আসমানি পূর্বাভাস সম্পর্কে অন্তর্জ্ঞান লাভ করা যায়।[২০] জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তুসমূহ যেমন- সূর্য ও চাঁদকে, পূর্বাভাস হিসেবে উল্লেখযোগ্য |
471 |
ক্ষমতা দেও্য়া হতো। ২৫০০-৬৭০ খ্রিস্টপ ূর্বাব্দের দিকে, নিনিভা এবং ব্যাবিলনের প্রতিবেদন থেকে, মেসোপটেমীয়দের পর্যবেক্ষণ করা চান্দ্র-পূর্বাভাসগুলো দেখা যায়। “যখন চাঁদ অদৃশ্য হয়ে যায়, ধরায় শনি নেমে আ |
472 |
সে। যখন চাঁদ তার অবস্থান থেকে হঠাৎ অদৃশ ্য হয়ে যায়, তখন গ্রহণ ঘটে”। [২১] অ্যাস্ট্রোলেইব অ্যাস্ট্রোলেইব (পরবর্তীকালে উদ্ভাবিত একই নামের জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক পরিমাপ যন্ত্রের সাথে বিভ্রান্তি অনুচিত) হচ্ছে |
473 |
পুরাতন ব্যাবিলনীয় রাজ্যের সময় কালে রচিত প্রাচীনতম কিউনিয়াফর্ম ফলকের মধ্যে একটি, যেখানে জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ক আলোচনা নথিভুক্ত রয়েছে। এটা কোন বর্ষের মাসগুলোর সাথে সংযুক্ত ছত্রিশটি তারকার একটি তালিকা। |
474 |
[১০] এগুলো সাধারণত ১৮০০-১১০০ খ্র িস্টপূর্বাব্দের দিকে লিখিত বলে মনে করা হয়। কোন সম্পূর্ণ লেখা পাওয়া না গেলেও, ব্রিটিশ যাদুঘরে সংরক্ষিত লেখাগুলো থেকে পিঞ্চেস একটি আধুনিক সংকলন রচনা করেন, যেটি ব্যাবিলন |
475 |
ীয় জ্যোতির্বিদ্যায় পারদর্শী ইতি হাসবিদগণ চমৎকার একটি সংকলন বলে বিবেচনা করেন। অ্যাস্ট্রোলেইব সম্পর্কিত আরও দুটি উল্লেখযোগ্য লেখা হচ্ছে ব্রাসেলস এবং বার্লিন সংকলন। সেগুলোতে পিঞ্চেসের সংকলনের সাথে সাদৃশ |
476 |
্যপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়, তবে পরস্ পর ভিন্ন কিছু তথ্যও তাতে অন্তর্ভুক্ত আছে।[২২] যে ছত্রিশটি তারকা নিয়ে অ্যাস্ট্রোলেইব গঠিত, ধারণা করা হয় যে তার উদ্ভব ঘটেছে তিনটি মেসোপটেমীয় নগর-রাষ্ট্র, ইলাম, আক্কা |
477 |
দ, এবং আমুরু থেকে। এই নগর-রাষ্ ট্রগুলো কর্তৃক অনুসৃত ও সম্ভবত চিত্রিত তারকাগুলো আর অ্যাস্ট্রোলেইবে উল্লিখিত তারকারাজি অভিন্ন। প্রতিটি অঞ্চল বারোটি তারকার একটি জোটকে অনুসরণ করতো, যা একত্রে অ্যাস্ট্রোলেই |
478 |
বের ছত্রিশটি তারকার সমান। প্রতি টি অঞ্চলের বারোটি তারকা আবার বছরের মাসগুলোর সাথে সংগতিপূর্ণ। কিউনিয়াফর্ম “কে ২৫০” এবং “কে ৮০৬৭” নামক দুটি বৃহৎ তারকা-সারণিতে এই দাবির স্বপক্ষে তথ্য পাওয়া যায়। হাম্মুর |
479 |
াবি’র আমলে এই পৃথক তিনটি লেখা এক ত্রে সংকলিত হয়। এই সংকলনের কারণে মূল রচনা তিনটির সাথে সম্পর্ক দুর্বল হওয়ার সাথে সাথে জ্যোতির্বিদ্যায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রচলন ঘটতে শুরু করে। এই তিনটি অঞ্চলের রীতিকে |
480 |
ইআ, আনু এবং এনলিল এর পথ অনুসারে ক রা বিন্যাস থেকে, জ্যোতির্বিদ্যায় বিজ্ঞানের ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়, যা মূল.আপিন এ অন্তর্ভুক্ত ও বর্ণিত রয়েছে।[২২] মূল.আপিন মূল.আপিন হচ্ছে দুটি কিউনি |
481 |
য়াফর্ম মৃত্তিকাফলকের (ফল ক ১ এবং ফলক ২) একটি সংকলন, যেখানে ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদ্যার বিভিন্ন দিক যেমন- জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তুসমূহের গতিবিধি, এবং অয়ন ও গ্রহণসমূহের বিবরণ নথিভুক্ত রয়েছে।[৯] প্রতিটি |
482 |
ফলক আবার সারণি নামক ক্ষুদ ্রতর কতগুলো অংশে বিভক্ত। এগুলো মোটামুটি অ্যাস্ট্রোলেইব ও এনুমা আনু এনলিল এর সময়কালেই রচিত, যার প্রমাণ পাওয়া যায় এদের একই বিষয়বস্তু, গাণিতিক নীতি, এবং ঘটনাবলি থেকে।[২০] ফল |
483 |
ক ১ থেকে প্রাপ্ত তথ্য আর অ্যাস্ট্রোলেইব বি এ ধারণকৃত তথ্য প্রায় একই রকম, ফলক ১ ও অ্যাস্ট্রোলেইব বি এর তথ্যের সাদৃশ্য থেকে বোঝা যায় যে, এর লেখকেরা অন্তত কিছু কিছু তথ্যের জন্য একই উৎস থেকে অনুপ্রাণিত হ |
484 |
য়েছিলেন। এই ফলকে ছয়ট ি তারকা-সারণি রয়েছে, যার সাথে তিনটি ব্যাবিলনীয় তারকা-পথ ইআ, আনু, এবং এনলিল এ চিত্রিত ষাটটি নক্ষত্রপুঞ্জের সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়াও আনু এবং এনলিল এ এমন কিছু পথ রয়েছে, যা অ্যাস্ট |
485 |
্রোলেইব বি-তে পাওয়া যা য় না।[২০] পঞ্জিকা, গণিত, এবং জ্যোতির্বিদ্যার মধ্যে সংযোগ সূর্য, চাঁদ, এবং অন্যান্য জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তুসমূহের অনুসন্ধান মেসোপটেমীয় সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করেছিল। নভোমণ্ডল নিয় |
486 |
ে গবেষণা থেকে এ সব সমাজে পঞ্জিকা এবং উচ্চতর গণিতের বিকাশ ঘটে। অবশ্য জটিল বৈশ্বিকভাবে সমাজ ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে প্রথম পঞ্জিকা তৈরি করা জাতি ব্যাবিলনীয়রা নয়, উত্তর আফ্রিকার কাছে মিশরীয়রা নিজস্ব একটি পঞ |
487 |
্জিকা তৈরি করেছি ল। মিশরীয় পঞ্জিকা ছিল সৌর-ভিত্তিক, যেখানে ব্যাবিলনীয় পঞ্জিকা ছিল চান্দ্র-ভিত্তিক। কোন কোন ইতিহাসবিদ কর্তৃক উল্লিখিত, দুটি পঞ্জিকার মধ্যে সম্ভাব্য একটি মিল হচ্ছে, মিশরীয়দের দ্বারা উদ |
488 |
্ভাবনের পর ব্যাবি লনীয়গণ কর্তৃক একটি ত্রুটিপূর্ণ অধিবর্ষ পদ্ধতি অধিগ্রহণ। বর্তমানকালের অধিবর্ষের সাথে ব্যাবিলনীয়দের অধিবর্ষের কোন সাদৃশ্য নেই। তাদের পদ্ধতিতে বর্ধনশীল মৌসুমের সাথে আরও ভালোভাবে সামঞ্জ |
489 |
স্য রক্ষার জন্য ত্ রয়োদশ একটি মাস যুক্ত করা হতো।[২৩] নতুন ধরনের গণিতের বিকাশের দায়িত্ব ছিল ব্যাবিলনীয় পুরোহিতগণের ওপর এবং তারা এটা করতেন জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তুসমূহের গতিবিধি আরও সুচারুরুপে নির্ণয়ে |
490 |
র জন্য। এমনই এ কজন পুরোহিত, নাবু-রিমান্নি ছিলেন প্রথম নথিভুক্ত ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদ। তিনি চন্দ্র-দেবতার পুরোহিত ছিলেন এবং চন্দ্রগ্রহণের গণনা-সারণি রচনাসহ অন্যান্য বিস্তারিত গাণিতিক হিসাব-নিকাশের কৃত |
491 |
িত্ব তাকেই দেওয ়া হয়। এই সারণিগুলো সতের বা আঠারটি সারণিতে বিন্যস্ত, যেখানে গ্রহসমূহ এবং চাঁদের আবর্তন বেগ নথিভুক্ত রয়েছে। পরে সেলুসিড রাজবংশের সময়কালীন জ্যোতির্বিদগণ কর্তৃক তার কাজগুলো পুনঃনিরীক্ষা |
492 |
করা হয়।[২৩] নব্য-ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদ্যা নব্য-ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদ্যা বলতে নব্য-ব্যাবিলনীয়, আখিমেনিদ, সেলুসিদ, এবং পার্থীয়ান যুগের ক্যালডীয় জ্যোতির্বিদগণ কর্তৃক রচিত জ্যোতির্বিদ্যাকেই নির্দে |
493 |
শ করে। নাবোনাসার (৭৪৭-৭৩৪ খ্রি.পূ.) এর রাজত্বকালে ব্যাবিলনীয় পর্যবেক্ষণের মান ও সংখ্যা উভয়ই উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। উদাহরণস্বরূপ, ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক দিনলিপিতে অশুভ ঘটনাবলির যে নিয়মতা |
494 |
ন্ত্রিক নথি এ সময় থেকে চালু হয় তার কারণে, ১৮-বছর পর পর পুনরাবৃত্তিমূলক চন্দ্রগ্রহণের সারোস চক্র আবিষ্কার করা সম্ভব হয়।[২৪] গ্রিক-মিশরীয় জ্যোতির্বিদ টলেমি পরবর্তীকালে নাবোনাসারের রাজত্বকাল ব্যবহার ক |
495 |
রে কোন যুগের সূচনাকাল সংশোধন করেছিলেন, কারণ তার মতে প্রাচীনতম ব্যবহারযোগ্য পর্যবেক্ষণের সূচনা ঐ সময় থেকেই। ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদ্যার বিকাশের শেষ ধাপ ছিল সেলুসিড সাম্রাজ্যের সময়কালে (৩২৩-৬০ খ্রি.পূ. |
496 |
)। খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতকে, জ্যোতির্বিদগণ “লক্ষ্য-বর্ষ পাঠ” ব্যবহার শুরু করেছিলেন, গ্রহসমূহের গতি পূর্বানুমানের জন্য। এই লেখাগুলোতে প্রতিটি গ্রহের জন্য অশুভ ঘটনাবলির পুনরাবৃত্তি অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যে অতী |
497 |
ত পর্যবেক্ষণসমূহের সংকলন ছিল। প্রায় একই সময়ে, বা তার কিছু পরে, জ্যোতির্বিদগণ গাণিতিক মডেল গঠন করেন যেন ঐ ঘটনাগুলোকে অতীতের বিবরণীর সাহায্য ছাড়াই সরাসরি অনুমান করা যায়। পাটীগণিতীয় এবং জ্যামিতিক প দ |
498 |
্ধতিসমূহ যদিও ব্যাবিলনীয় গ্রহতত্ত্ব সম্পর্কে অবশিষ্ট দলিলাদির অভাব রয়েছে,[৬] তাও দেখা যায় যে ক্যালডীয় জ্যোতির্বিদেরা তত্ত্ব নিয়ে নয়, বরং এফিমেরিস (জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তুসমূহের অবস্থানসূচক দিনলিপ |
499 |
ি) নিয়েই বেশি আগ্রহী ছিলেন। অধিকাংশ ব্যাবিলনীয় গ্রহতাত্ত্বিক মডেলই কঠোরভাবে পরীক্ষালব্ধ ও পাটীগাণিতীয় বলে মনে করা হতো, এবং সচরাচর জ্যামিতি, মহাবিশ্বতত্ত্ব কিংবা পরবর্তীকালের হেলেনীয় মডেলের মত ন অনু |
500 |
মানভিত্তিক দর্শন তাতে অন্তর্ভুক্ত ছিল না,[২৫] যদিও ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদগণ আদি মহাবিশ্বের আদর্শ প্রকৃতির আলোচনার ক্ষেত্রে দর্শন নিয়ে আগ্রহী ছিলেন।[৫] তাৎপর্যপূর্ণ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ঘটনাবলির সময ় ও |
501 |
স্থান গণনার জন্য ব্যাবিলনীয় রচনাবলিতে পাটীগণিতীয় পদ্ধতিসমূহের বর্ণনা এবং এফিমেরিসে তার প্রয়োগ রয়েছে।[২৬] পূর্বে অপ্রকাশিত, ৩৫০ থেকে ৫০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দকালীন, ব্রিটিশ যাদুঘরের কিউনিয়াফর্ম ফলকে র স |
502 |
াম্প্রতিক বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায় যে, ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদগণ কখনো কখনো জ্যামিতিক পদ্ধতিও ব্যবহার করতেন, যা অক্সফোর্ড ক্যালকুলেটরের পূর্বেই কল্পিত একটি পদ্ধতি, যা কোন বিমূর্ত গাণিতিক স্থানে কালানু ক্ |
503 |
রমে বৃহস্পতি’র গতি বর্ণনা করে থাকে।[২৭][২৮] গ্রিক জ্যোতির্বিদ্যা, যা সৃষ্টিতত্ত্বের ওপর নির্ভরশীল ছিল, তার সাথে বিসদৃশভাবে, ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদ্যা সৃষ্টিতত্ত্ব থেকে স্বাধীন ছিল।[১৮] যেখানে গ ্রিক জ |
504 |
্যোতির্বিদগণ “সুষম গতিতে ঘূর্ণনশীল বৃত্ত বা গোলকের পক্ষপাতী” ছিলেন, ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদগণের মধ্যে এমন কোন পক্ষপাত ছিল না, যাদের কাছে সুষম বৃত্তাকার গতি কখনোই গ্রহের কক্ষপথের জন্য প্রয়োজনীয় ছিল না |
505 |
।[২৯] জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তুসমূহ বৃত্তাকার গতিতে, অথবা কোন জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক গোলক বরাবর চলমান, এমন কোন তথ্য-প্রমাণ ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে ছিল না।[৩০] এ সময়ে ক্যালডীয় জ্যোতির ্বিদগণের অ |
506 |
বদানের মধ্যে রয়েছে গ্রহণ চক্র এবং সারোস চক্র আবিষ্কার, এবং অসংখ্য সঠিক জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ। যেমন- তারা পর্যবেক্ষণ করেছিল যে এক্লিপটিক বরাবর সূর্যের গতি সুষম নয়, যদিও তারা এর কারণ স ম্পর্কে অ |
507 |
বগত ছিল না; এটা এখন জানা আছে যে, এমনটা ঘটে সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথের কারণে, যেখানে পৃথিবী সূর্যের নিকটবর্তী পেরিহেলিয়ন দিয়ে আবর্তনের সময় দ্রুততরভাবে এবং দূরবর্তী অ্যাফেলি য়ন দিয় |
508 |
ে আবর্তনের সময় তুলনামূলকভাবে ধীরগতিতে চলে।[৩১] ক্যালডীয় জ্যোতির্বিদগণের মধ্যে যারা এই মডেল অনুসরণ করতেন তাদের মধ্যে রয়েছেন নাবুরিমান্নু (জীবনকাল ৬ষ্ঠ-৩য় খ্রি.পূ.), কিদিন্নু (মৃত্যু ৩৩০ খ্রি.পূ.), ব |
509 |
েরোসাস (৩য় শতক খ্রি.পূ.), এবং সুদিনেস (জীবনকাল ২৪০ খ্রি.পূ.)। গ্রিক জ্যোতির্বিদ হিপারকাস এবং মিশরীয় জ্যোতির্বিদ টলেমিসহ অন্যান্য হেলেনীয় জ্যোতির্বিদদের ওপর এদের অনেক প্রভাব লক্ষ্য করা য ায়। সূর্যকে |
510 |
ন্দ্রিক জ্যোতির্বিদ্যা মূল নিবন্ধ: সেলুসিয়া’র সেলুকাস ক্যালডীয় জ্যোতির্বিদদের গ্রহতাত্ত্বিক মডেলগুলোর মধ্যে কেবল হেলেনীয় যুগের সেলুসিয়া’র (জন্ম ১৯০ খ্রি.পূ.) সেলুকাসের মডেল টিই টিকে আছে, যিনি সামোস |
511 |
ের অ্যারিস্টার্কাস এর সূর্যকেন্দ্রিক মডেলের সমর্থক ছিলেন।[২৫][৩২][৩৩] প্লুটার্ক, এইশাস্ম স্ট্রাবো, এবং মুহাম্মাদ ইবনে জাকারিয়া আল-রাজি এর লেখা থেকে সেলুকাস সম্পর্কে জানা যায়। গ্রিক ভূগোলবিদ স্ট্রাবো, |
512 |
সেলুকাসকে সবচেয়ে প্রভাবশালী চার জ্যোতির্বিদের একজন বলে উল্লেখ করেন, যিনি টাইগ্রিসের তীরে হেলেনীয় সেলুসিয়া থেকে, কিদেনাস (কিদিন্নু), নাবুরিয়ানোস (নাবুরিমান্নু), এবং সুদিনেস এর সাথে এসেছিলেন। তাদের |
513 |
কাজগুলো প্রথমে আক্কাদীয় ভাষায় লিখিত ছিল এবং পরে গ্রিক ভাষায় অনূদিত হয়।[৩৪] সেলুকাস অবশ্য এদের মধ্যে অনন্য ছিলেন এই হিসেবে যে, তিনিই একমাত্র অ্যারিস্টার্কাসের সূর্যকেন্দ্রিক তত্ত্বের সমর্থক ছিলেন,[৩ |
514 |
৫][৩৬][৩৭] যেখানে পৃথিবী নিজ অক্ষের চারদিকে ঘূর্ণনশীল এবং তা আবার সূর্যের চারদিকে আবর্তনশীল বলে প্রস্তাব করা হয়। প্লুটার্কের মতে, সেলুকাস যুক্তির মাধ্যমে সূর্যকেন্দ্রিক ব্যবস্থ া প্রমাণও করেছিলেন, যদি |
515 |
ও কী ধরনের যুক্তি ব্যবহার করেছিলেন তা জানা যায়নি।[৩৪] লুসিও রুসো’র মতে, তার যুক্তিতর্ক সম্ভবত জোয়ার-ভাঁটা সংক্রান্ত ছিল।[৩৮] সেলুকাস সঠিকভাবেই তত্ত্ব দাঁড় করান যে, জোয়ার -ভাঁটা হয় চাঁদের কারণে, যদ |
516 |
িও তার বিশ্বাস ছিল যে এই মিথষ্ক্রিয়ায় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলেরও ভূমিকা আছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, জোয়ারের সময় এবং তীব্রতা বিশ্বের বিভিন্ন অংশে ভিন্ন ভিন্ন হয়। স্ট্রাবো’র মতে, সেলুকাসই ছিলেন প্রথম যিনি |
517 |
উল্লেখ করেন যে, চাঁদের আকর্ষণের কারণেই জোয়ার-ভাঁটা হয়, চাঁদের সাথে সূর্যের আপেক্ষিক অবস্থানের ওপর এর তীব্রতা নির্ভর করে।[৩৪] বার্টেল লিনডার্ট ভন ডার ভার্ডেন এর মতে, সম ্ভবত সূর্যকেন্দ্রিক তত্ত্বের জ্ |
518 |
যামিতিক মডেলের ধ্রুবকগুলোর মান নির্ণয়ের মাধ্যমে এবং এই মডেল ব্যবহার করে গ্রহের অবস্থান নির্ণয়ের পদ্ধতি গঠন করে, সেলুকাস এই তত্ত্বটি প্রমাণ করেছিলেন। যেহেতু তিনি হিপার্ক াসের সমসাময়িক ছিলেন, তিনি ঐ স |
519 |
ময়ে প্রচলিত ত্রিকোণমিতিক পদ্ধতিও ব্যবহার করে থাকতে পারেন।[৩৪] কোন আসল বা গ্রিক-অনূদিত সংস্করণই টিকে নেই, যদিও তার কাজের কিছু বিক্ষিপ্ত অংশ আরবি অনুবাদে টিকে আছে, যেট া পরবর্তীকালে পারস্যের দার্শনিক মু |
520 |
হাম্মাদ ইবনে জাকারিয়া আল-রাজি’র (৮৬৫-৯২৫) দ্বারা উদ্ধৃত হয়।[৩৯] হেলেনীয় জ্যোতির্বিদ্যায় ব্যাবিলনীয় প্রভাব এই অনুচ্ছেদে যাচাইযোগ্যতার জন্য অতিরিক্ত তথ্যসূ ত্র প্রয়োজন। অনুগ্রহ করে নির্ভরযোগ্য তথ্য |
521 |
সূত্র সংযোজন করে নিবন্ধটির মান উন্নয়নে সহায়তা করুন। তথ্যসূত্রবিহীন বিষয়বস্তুসমূহ পরিবর্তন কিংবা অপসারণ করা হতে পারে। উৎস খুঁজুন: "ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বি জ্ঞান" – সংবাদ • সংবাদপত্র • বই • স্কলার • জে |
522 |
স্টোর (নভেম্বর ২০১২) প্রাচীন গ্রিক ও হেলেনীয় লেখকদের (যার মধ্যে গণিতবিদ, জ্যোতির্বিদ এবং ভূগোলবিদগণ অন্তর্ভুক্ত) অনেক কাজই বর্তমান কাল পর্যন্ত সংরক্ষি ত আছে, অথবা তাদের কাজ ও চিন্তাধারার কিছু দিক পরবর |
523 |
্তীকালে তথ্যসূত্র হিসেবে রক্ষিত আছে। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে পূর্বতন প্রাচীন নিকট প্রাচ্য সভ্যতার, বিশেষ করে ব্যাবিলনিয়ার অবদান, বহুকাল ধরেই বিস্মৃত ছিল। ঊ নবিংশ শতকের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলো আবিষ্কারের |
524 |
পর থেকে, মৃত্তিকাফলকে লিখিত কিউনিয়াফর্ম পাওয়া গেছে, যার কিছু কিছু জ্যোতির্বিদ্যার সাথে সংশ্লিষ্ট। সবচেয়ে পরিচিত জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ফলকগুলোর বর্ণনা করে ছেন আব্রাহাম স্যাক্স এবং পরে অটো নয়গেবাওয়ার ক |
525 |
র্তৃক Astronomical Cuneiform Texts (ACT)- এ প্রকাশিত হয়। জ্যোতির্বিদ্যার বিভিন্ন দিক যেমন- নমন (gnomon) এবং একটি দিন, বারো ঘণ্টার দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে য াওয়া- এগুলো গ্রিকরা ব্যাবিলনীয়দের কাছ থেকেই |
526 |
শিখেছিল বলে হেরোডোটাস উল্লেখ করেন।[২২] অন্যান্য সূত্রে পাওয়া যায় যে, গ্রিক পারডেম, যা কোন বর্ষের দিনসূচক ৩৬৫-৩৬৬টি খোদাইকৃত গর্তবিশিষ্ট একটি পাথর, তার ধা রণাও ব্যাবিলনীয়দের থেকে পাওয়া।[৯] ব্যাবিলনী |
527 |
য় সভ্যতার পুনরাবিষ্কারের সময় থেকে অনুমান করা হয় যে, চিরায়ত, হেলেনীয় এবং ক্যালডীয় জ্যোতির্বিদ্যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে তথ্য বিনিময় বিদ্যমান ছিল। ধার করা তথ্যের সবচেয়ে ভালো প্রমাণ হচ্ছে হিপা |
528 |
র্কাসের (খ্রি.পূ ২য় শতক) এবং ক্লদিয়াস টলেমি’র (২য় শতক) লেখা থেকে। আদি প্রভাব ব্যাবিলনীয় লিপি থেকেই মেটোনিক চক্র সম্পর্কে গ্রিকরা শিখেছিল ব লে কোন কোন পণ্ডিত মনে করেন। অ্যাথেন্স এর মেটন, যিনি খ্রিস্ |
529 |
ট পূর্ব ৫ম শতকের একজন গ্রিক জ্যোতির্বিদ ছিলেন, যিনি ১৯ সৌরবর্ষ প্রায় ২৩৫ চান্দ্রমাসের সমান- এর ভিত্তিতে একটি চান্দ্র-সৌর পঞ্জিকা তৈরি করেন, এই সম্পর্কটিও সম্ভবত ব্যাবিলনীয়দের জানা ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ৪ |
530 |
র্থ শতাব্দিতে, নিডিওস এর ইউডোক্সোস স্থায়ী তারকাদের ওপর একটি বই লেখেন। তার বর্ণিত অনেকগুলো নক্ষত্রপুঞ্জ, বিশেষত রাশিচক্রের ১২টি চিহ্ন ব্যা বিলনীয়দের সাথে সাদৃশ্য প্রকাশ করে। পরের শতকে সামোস এর অ্যারিস |
531 |
্টার্কাস একটি সারোস চক্র নামক একটি গ্রহণ চক্র ব্যবহার করে বছরের দৈর্ঘ্য নির্ণয় করেন। তা সত্বেও, গ্রিক এবং ক্যালডীয়দের মধ্যে আদিকালে তথ্য বিনিময় চালু ছিল- এটা বেশ দুর্বল অনুমান; সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব ৪ |
532 |
র্থ শতকের শেষভাগে, আলেক্সান্দার দ্য গ্রেট পারস্যজুড়ে তার সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার পর, এদের মধ্যে আরও জোরালোভাবে তথ্য বিনিময় প্রচলিত ছিল। হিপার্কাস ও টলেমি’র ওপর প্রভাব ১৯০০ সালে ফ্রাঞ্জ হাভিয়ের কুগ্ |
533 |
লার দেখান যে, টলেমি তার Almagest IV.2 গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, হিপার্কাস, “ক্যালডীয়দের ” এবং তার নিজের পর্যবেক্ষণের তুলনা করে, চ াঁদের পর্যায়কালের মানের উন্নতিসাধন করেছিলেন, যা “আরও প্রাচীন জ্যোতির্ |
534 |
বিদদের” কাছ থেকে হিপার্কাস জেনেছিলেন। তবে কুগ্লার আবিষ্কার করেন যে, টলেমি হিপার্কাসের নামে যে পর্যায়কালের উল্লেখ করেন, তা ব্যাবিলন ীয় এফিমেরিসে আগেই ব্যবহৃত হয়েছিল, বিশেষুত বর্তমানকালে “ব্যবস্থা বি” |
535 |
বলে পরিচিত রচনা সংকলনে (কখনো কখনো এর কৃতিত্ব কিদিন্নুকে দেওয়া হয়)। আপাতভাবে, হিপার্কাস তার নতুন পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে কেবল ঐ পর্যা য়কালগুলোর বৈধতা নিশ্চিত করেছিলেন, যা তিনি ক্যালডীয়দের কাছ থেকে শিখ |
536 |
েছিলেন। এই নির্দিষ্ট বিষয়ে ব্যাবিলনীয় তত্ত্ব সম্পর্কে পরবর্তীকালীন গ্রিক জ্ঞান নিশ্চিত করা হয় ২য় শতকের প্যাপিরাস এর মাধ্যমে, যার মধ্যে ঐ একই “ব্যবস্থা বি” ব্যবহার করে চাঁদের জন্য, এক কলামে ৩২ লাইনে |
537 |
র হিসাব-নিকাশ রয়েছে, তবে তা প্যাপিরাসের ওপর গ্রিক ভাষায় লেখা, কিউনিয়াফর্ম লিপিতে মৃত্তিকাফলকের ওপর লিখিত নয়।[৪০][৪১] এটা স্প ষ্ট যে হিপার্কাস (এবং তার পরে টলেমি) এর কাছে বহু শতাব্দিজুড়ে গ্রহণ পর্য |
538 |
বেক্ষণের পূর্ণ তালিকা ছিল। খুব সম্ভবত এগুলো “দিনলিপি” মৃত্তিকাফলক থেকে সংকলন করা হয়েছিল: এগুলো হচ্ছে ক্যালডীয়দের সকল প্রাসঙ্গিক প্রাত্যহিক পর্যবেক্ষণের বিবরণ সংবলিত মৃত্তিকা-ফলক। সংরক্ষিত দৃষ্টান্তগু |
539 |
লো খ্রিস্টপূর্ব ৬৫২ অব্দ থেকে ১৩০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত পুরনো, কিন্তু এই নথিগুলো সম্ভবত ব্যাবিলনীয় রাজা নাবোনাসারের শাসনকাল অব্দি পুরনো: টলেমি তার কালপঞ্জি শুরু করেন নাবোনাসারের প্রথম বর্ষে, মিশরীয় পঞ্ |
540 |
জিকার প্রথম দিন থেকে; অর্থাৎ ২৬ ফেব্রুয়ারি ৭৪৭ খ্রি.পূ.। অবিন্যস্ত তথ্যাবলি ব্যবহার করা নিশ্চয়ই কঠিন ছিল, এবং ক্যালডীয়রা যে নিজেরাই তার সারাংশগুলোর সংকলন তৈরি করেছিল, যেমন- সকল পর্যবেক্ষণকৃত গ্রহণসম |
541 |
ূহ (কিছু কিছু ফলকে একটি সারোস চক্র সম্পন্নকারী সময়কালে সকল গ্রহণের তালিকা পাওয়া গেছে), তাতে কোন সন্দেহ নেই। এটা তাদেরকে কো ন ঘটনার পুনরাবৃত্তি শনাক্ত করতে সহায়তা করতো। অন্যান্যের মধ্যে ব্যবস্থা বি ( |
542 |
cf. Almagest IV.2)-তে ব্যবহৃত: ২২৩ (সিনোডিক) মাস = ২৩৯ অনিয়ত প্রত্যাবর্তন (অনিয়ত মাস) = অক্ষাংশে ২৪২ প্রত্যাবর্তন (ড্র াকোনীয় মাস)। এটা এখন জানা আছে কেননা, গ্রহণের পূর্বাভাসের জন্য সারোস চক্র খুবই ক |
543 |
ার্যকরী। ২৫১ (সিনোডিক) মাস = ২৬৯ অনিয়ত প্রত্যাবর্তন ৫৪৫৮ (সিনোডিক) মাস = অক্ষাংশে ৫৯২৩ প্রত্যাবর্তন ১ সিনোডি ক মাস = ২৯; ৩১:৫০:০৮:২০ দিন (ষাটমূলক; দশমিকে ২৯.৫৩০৫৯৪১৩... দিন = ২৯ দিন ১২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট |
544 |
৩ সেকেন্ড) ব্যাবিলনীয়রা সকল সময়কালই সিনোডিক মাসের মাধ্যমে প্রকাশ করেছিল, তারা একটি চান্দ্র-সৌর পঞ্জিকা ব্যবহার করতো বলেই সম্ভবত এমনটা করেছিল। বার্ষিক ঘটনাবলির সাথে বেশ কতগুলো সম্পর্কের কারণে বর্ষ-দৈর |
545 |
্ঘ্যের ভিন্ন ভিন্ন মান পাওয়া গিয়েছিল। অনুরূপভাবে, গ্রহসমূহের পর্যায়কাল সম্বন্ধেও এমন কিছু সম্পর্ক জানা ছিল। টলেমি তার Almagest IX.3 গ্রন্থে যে কৃতিত্ব হিপার্কাসকে দিয়েছিলেন, যেগুলো আসলে তার আগেই ব্ |
546 |
যাবিলনীয়রা পূর্বাভাসের জন্য ব্যবহার করতো, যা ব্যাবিলনীয় ফলকগুলোতে পাওয়া গেছে। হিপার্কাসের অন ্যান্য যে কাজগুলোতে ব্যাবিলনীয়দের ছাপ পাওয়া যায় সেগুলো হচ্ছে: কোন বৃত্তকে ৬০ মিনিট-চাপ বিশিষ্ট ৩৬০ ডিগ |
547 |
্রিতে বিভক্ত করা প্রথম গ্রিক ব্যক্তি। সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ষাটমূলক সংখ্যা পদ্ধতির প্রথম ব ্যবহার pechus (“cubit”) এককের প্রথম ব্যবহার, যা প্রায় ২° বা ২.৫° এর স xcislav 28 февраля 2023 Удалить ব্যাবিলন ব |
548 |
া বাবিল (আরবি: بابل, প্রতিবর্ণী. Bābil, টেমপ্লেট:Lang-akk,[১] টেমপ্লে ট:Lang-sux KÁ.DIG̃IR.RAKI[১], আরামীয়: xcislav 28 февраля 2023 Удалить আক্কাদীয় সাম্রাজ্য /əˈkeɪdiən/[২] ছিল প্রাচীন মেসোপটেমিয় |
549 |
ার আক্কাদ/ˈækæd/[৩] এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত একটি প্রাচীন সেমিটিক সাম্রাজ্য, যা সকল আক্কাদীয় ভাষাভাষী এবং সুমেরীয় ভাষাভাষী সেমিটিক জনগোষ্ঠিকে একটি বহুভাষী সাম্রাজ্যের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ কর |
550 |
েছিলো।[৪] ইতিহাস সুমেরীয় সভ্যতার ব্যাপক অগ্রগতির কালে খ্রি. পূ. ২৫০০-খ্রি. পূ. ৩০০০ অব্দের দিকে আরবের মরু এলাকা থেকে আক্কাদ এলাকায় একদল সেমিটিকভাষী যাযাবর মানুষ এসে বসতি গড়ে। এরাই ছিল মেসোপটেমিয়া এ |
551 |
লাকায় প্রাচীনতম সেমিটিক মানুষ। এরা কৃষিকাজে সাফল ্য অর্জন করে এবং একসময় নগর সভ্যতা গড়ে তোলে। দিনে দিনে এই সভ্যতা বিশেষ প্রতিপত্তি বিস্তার করে। রাজা প্রথম সারগন বা শাররুকিন (খ্রি.পূ. ২৩৭০ – খ্রি.পূ. |
552 |
২৩১৫)-এর আমলে আক্কাদিয়রা সুমের দখল করে নেয়। রাজা সারগন-এর খ্যাতি তখন আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়ে। রাজা সারগন সারগন সম্পর্কে যতটুকু জানা যায় তাতে দেখা যায় যে, কোনাে বৈধ পিতা না থাকায় কুমারী মা তার জন |
553 |
্মের পর তাকে ঝুড়িতে ভরে নদীতে ভাসিয়ে দ েন। শেষে একজন দাসী তাকে কুড়িয়ে এনে লালন পালন করে। বড় হলে তিনি ‘কিশ’-এর। রাজা উরক জমমার অধীনে নিচু মানের চাকরিতে যােগ দেন। সৈনিক হিসেবে কাজ করে তিনি অভিজ্ঞতা |
554 |
অর্জন করেন। পরে তার আশ্রয়দাতাকে অপসারণ ক রেন ও লুগাস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এসময় সমাজের নিচু শ্রেণীর কিছু কিছু উপকার করেন। তিনি রাজা হয়ে রাষ্ট্রীয় সংহতি জোরদার ও প্রতিরক্ষার উন্নতিতে অবদান |
555 |
রাখেন। বণিকদের উপনিবেশের নিরাপত্তা বিধানে র জন্যে এশিয়া মাইনর এলাকায় তিনি সেনাদল পাঠান। লাগাশ, উর প্রভৃতি সুমেরীয় ও আক্কাদীয় শহরে তার প্রভুত্ব কায়েম হয়েছিল। মিশর ও সিন্ধু উপত্যকা ছাড়া তখনকার সভ |
556 |
্য দুনিয়ার সর্বত্র তার প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে ছিল। প্রাচীন এক শিলালিপির ভাষ্য থেকে জানা গেছে যে, ক্রিটদ্বীপ, গ্রিস উপকূল, পারস্য উপসাগরীয় এলাকা ও ইরান পর্যন্ত তাঁর আধিপত্য বিস্তৃত ছিল। সারগনের প্রচেষ্টা |
557 |
য় গােটা পশ্চিম এশিয়ার সভ্যতা ও সংস্কৃতির ক েন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছিল আক্কাদ। একটি শিলালিপির তথ্যে জানা গেছে যে, রাজা সারগনের রাজবাড়িতে প্রতিদিন ৫৪০০ লােক খাদ্যগ্রহণ করত। তিনি রাজত্ব করেছিলেন ৫৬ বছর। |
558 |
ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রাজা সারগন গ্রাম এলাকার চাষিদের মধ্যে থেকে সৈন্য সংগ্রহ করে একটি নিয়মিত সামরিক বাহিনী গঠনে সফল হয়েছিলেন। তিনি নিজেকে পরিচয় দিতেন সুমের ও আক্কাদ এর রাজা নামে। সুমের বিজয়ের ফল |
559 |
ে সেখানকার কিউনিফর্ম লিখন পদ্ধতি, বাণিজ্ য কৌশল, পঞ্জিকা ব্যবহার ও নগর নির্মাণ পদ্ধতি গ্রহণ করে আক্কাদিয় সমৃদ্ধ হয়েছিল। সারগনের পর আক্কাদীয় এর সেরা রাজা ছিলেন নারামসিন। xcislav 2 марта 2023 Удалить |
560 |
রস সাগর হল অ্যান্টার্কটিকার দক্ষিণ মহাসাগরে একটি গভীর উপসাগর। এটি রস খাড়ির অন্তস্থিত এবং ভিক্টোরিয়া ল্যান্ড ও মেরি বিয়ার্ড ল্যান্ডের মাঝে অবস্থিত। এটি পৃথিবীর দক্ষিণতম সাগর। এই সাগরের নামকরণ হয়েছে |
561 |
ব্রিটিশ অভিযাত্রী জেমস রসের নামে। তিনি ১৮৪১ সালে এই অঞ্চলটি পরিদর্শন করেছিলেন। এই সমুদ্রের পশ্চিমে রস দ্বীপ এবং ভিক্টোরিয়া ল্যান্ড, পূর্বে রুজভেল্ট দ্বীপ এবং মেরি বিয়ার্ড ল্যান্ডের সপ্তম এডওয়ার্ড উপ |
562 |
দ্বীপ। এর দক্ষিণ দিকের অংশটি রস হিম স্তর দ্বারা আচ্ছাদিত এবং দক্ষিণ মেরু থেকে প্রায় ২০০ মাইল (৩২০ কিমি) দূরে অবস্থিত। এর সীমানা এবং অঞ্চলটি নির্ধারিত করেছে নিউজিল্যান্ডের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওয়াটা |
563 |
র অ্যান্ড অ্যাটমসফেরিক রাসার ্চ। অঞ্চলের বিস্তৃতি ৬,৩৭,০০০ বর্গকিলোমিটার (২,৪৬,০০০ মা২)।[১] চক্রাকার গভীর জল প্রবাহ তুলনামূলকভাবে উষ্ণ, নোনতা এবং খণিজ সমৃদ্ধ জল-ভর। এই জল মহাদেশীয় স্তরের নির্দিষ্ট জায |
564 |
়গায় প্রবাহিত হয়।[২][৩ ] রস সাগর বছরের বেশিরভাগ সময় বরফে ঢাকা থাকে।[৪] পুষ্টিতে ভরপুর জল প্রচুর প্লাঙ্কটন প্রজাতিকে বাঁচিয়ে রাখে এবং তাই এই অঞ্চল সামুদ্রিক প্রাণিতে সমৃদ্ধ। কমপক্ষে দশটি স্তন্যপায়ী |
565 |
প্রজাতি, ছয়টি পাখি র প্রজাতি এবং ৯৫টি মাছের প্রজাতি এবং অন্যান্য অনেকগুলি অমেরুদণ্ডী প্রাণী এখানে দেখতে পাওয়া যায়। মানব ক্রিয়াকলাপ দ্বারা এই সমুদ্রাঞ্চল অপেক্ষাকৃত অপ্রভাবিত। নিউজিল্যান্ড দাবি করে |
566 |
যে রস অধীনক্ষেত্রের অংশ হিসাবে সমুদ্রটি তাদের আইনগত অধিকারে আছে। সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানীরা এই সমুদ্রে উচ্চ স্তরের জৈব বৈচিত্র্য আছে বলে মনে করেন এবং এটি অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষণার স্থান। এও স্থানটি কিছু পরি |
567 |
বেশবিদ দলের ক্রিয়া-ক েন্দ্র, যারা এই অঞ্চলটিকে বিশ্ব সামুদ্রিক সংরক্ষিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করার জন্য প্রচার চালিয়েছিল। ২০১৬ সালে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী এই অঞ্চলটি সামুদ্রিক উদ্যান হিসাবে ঘো |
568 |
ষিত হয়েছিল।[৫] ব র্ণনা ১৮৪১ সালে, রস অভিযানে এই সাগরটি আবিষ্কৃত হয়। রস সাগরের পশ্চিমে আছে রস দ্বীপ, যেখানে আছে এরেবুস পর্বত আগ্নেয়গিরি, পূর্বে আছে রুজভেল্ট দ্বীপ। দক্ষিণ অংশটি রস হিম স্তর দ্বারা আচ্ |
569 |
ছাদিত।[৬] ১৯১১ সালে, রুয়াল আমুনসেন হিম স্তরে অবস্থিত তিমি উপসাগর থেকে তাঁর দক্ষিণ মেরু অভিযান শুরু করেছিলেন। রস সমুদ্রের পশ্চিমে, ম্যাকমুরডো খাঁড়ি হল একটি বন্দর অঞ্চল, যেটি গ্রীষ্মকালে সাধারণত বরফমুক |
570 |
্ত থাকে। রস সা গরের দক্ষিণতম অংশটি গোল্ড কোস্ট, যা ভৌগোলিক দক্ষিণ মেরু থেকে প্রায় দুশ মাইল দূরে। ভূতত্ত্ব মহাদেশীয় স্তর রস সাগরের গভীরতামিতি মানচিত্র, অ্যান্টার্কটিকা রস সাগর (এবং রস হিম স্তর) একট ি |
571 |
গভীর মহাদেশীয় স্তরের ওপর অবস্থিত। যদিও বিশ্বের মহাদেশীয় স্তরগুলির গড় গভীরতা (যেখানে স্তর বিরতি মহাদেশীয় ঢালে যুক্ত হচ্ছে) প্রায় ১৩০ মিটার,[৭][৮] রস হিম স্তরের গড় গভীরতা প্রায় ৫০০ মিটার।[৯] পশ্ চ |
572 |
িম রস সমুদ্রে (পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) এই স্তর পূর্বের (পশ্চিম দ্রাঘিমাংশ) চেয়ে অগভীর।[৯] এই অতি-গভীর অবস্থাটি, বরফের চাদর সম্প্রসারণ এবং সংকোচনের সময় পলির ক্ষয় এবং পলল অধঃক্ষেপের চক্রের (অলিগোসিন) কারণে |
573 |
হয়।[১০] অ্যান্টার্কটিকার আশেপাশের অন্যান্য অঞ্চলেও এটি দেখতে পাওয়া যায়।[১১] স্তরের অভ্যন্তরভাগের দিকে ক্ষয় বেশি হয়েছিল এবং বহির্ভাগে পলল বেশি জমা হয়েছিল, তাই অভ্যন্তরীন স্তর বহির্ভাগের চেয়ে বেশ |
574 |
ি গভীর।[১০][১২] রস সাগর, অ্যান্টার্কটিকা সমুদ্র তল, ভূতত্ত্বে প্রধান অববাহিকা এবং খনন অঞ্চল দেখা যাচ্ছে বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে এখানকার ভূমিকম্পের অবস্থা নিয়ে গবেষণা করে রস সমুদ্রের ভূতত্ত্বে র প্রধান |
575 |
বৈশিষ্ট্যগুলি সামনে এসেছিল। [১৩] গভীরতম বা বুনিয়াদি শিলাগুলির চ্যুতির ফলে চারটি প্রধান চলমান গ্র্যাবেন প্রণালীর সৃষ্টি হয়েছিল, সেগুলি এখন পলল অধঃক্ষেপের অববাহিকা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অববাহিক াগুলির ম |
576 |
ধ্যে আছে পশ্চিম দিকে উত্তর এবং ভিক্টোরিয়া স্থল অববাহিকা, কেন্দ্রীয় অবনমন এবং পূর্ব অববাহিকা। কোলম্যান হাই- ভিক্টোরিয়া স্থল অববাহিকা এবং কেন্দ্রীয় অবনমনকে পৃথক করে রেখেছে এবং সেন্ট্রাল হাই- কেন্দ্রী |
577 |
য় অবনমন এবং পূর্ব অববাহিকাকে পৃথক করে রেখেছে। ভূত্বকীয় সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে অধিকাংশ চ্যুতি এবং তার ফলে গ্র্যাবেন গঠন, ঘটেছিল, অ্যান্টার্কটিকা থেকে জিল্যান্ডিয়া (মহাদেশ) দূরে চলে যাওয়ার সময়, ক্ |
578 |
রিটেসিয়াস যুগে গন্ডোয়ানাতে।[১৪]প্যালিওজিন এবং নিওজিন যুগ এবং চ্যুতি ও সম্প্রসারণ ভিক্টোরিয়া স্থল অববাহিকা এবং উত্তর অববাহিকায় সীমাবদ্ধ ছিল।[১৫][১৬] ভূতাত্ত্বিক খনন সমুদ্র পৃষ্ঠে খন ন করে সমুদ্রের প |
579 |
শ্চিম প্রান্ত থেকে শিলা মজ্জা উদ্ধার করা হয়েছে। সবচেয়ে আশাব্যাঞ্জক সাম্প্রতিক প্রচেষ্টাগুলি হল অন্তরীপ রবার্টস প্রকল্প (সিআরপি) এবং অ্যান্ডআরআইএল প্রকল্প[১৭][১৮][১৯] গভীর সমুদ্র খনন প ্রকল্প (ডিএসডিপ |
580 |
ি) এর ২৮তম পর্বে সমুদ্রের মধ্য ও পশ্চিম অংশের জমিতে আরও অনেকগুলি গর্ত (২৭০-২৭৩) করা গেছে।[২০] এর ফলে বেশিরভাগ পুরানো হিমবাহের পরম্পরার স্তরদর্শন করা গিয়েছিল, যেগুলি ওলিগোসিন এবং নবীন পল ল দিয়ে তৈরি। |
581 |
[২১][২২][২৩] ২০১৮ সালে, ইন্টারন্যাশানাল ওশান ডিসকভারি প্রোগ্রামের (আইওডিপি) ৩৭৪তম অভিযানে, নিওজিন এবং চতুর্মুখী বরফ চাদরের ইতিহাস নির্ধারণের জন্য রস সাগরের কেন্দ্রস্থলে অতিরিক্ত গর্ত (ইউ ১৫২১-১৫২৫) করা |
582 |
হয়েছিল।[২৪] জীববৈচিত্র্য রস সাগরে কমপক্ষে ১০টি স্তন্যপায়ী প্রজাতি, আধা ডজন প্রজাতির পাখি, ৯৫ প্রজাতির মাছ এবং এক হাজারেরও বেশি অমেরুদন্ডী প্রজাতির আবাসস্থল। রস সাগরের আশে পাশে বাসা বাঁধার কয়েকটি প্ |
583 |
রজাতির মধ্যে অ্যাডিলি পেঙ্গুইন, সম্রাট পেঙ্গুইন, অ্যান্টার্কটিক পেট্রেল, স্নো পেট্রেল এবং দক্ষিণ মেরুর স্কুয়া। রস সাগরের সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে আছে অ্যান্টার্কট িক মিনকে তিমি, ঘাতক তিমি, |
584 |
ওয়েডেল সীল, কাঁকড়াভক্ষক সীল এবং চিতা সীল। এছাড়াও আরো জলজ প্রাণীদের মধ্যে আছে অ্যান্টার্কটিক টুথফিশ, অ্যান্টার্কটিক সিলভারফিশ, অ্যান্টার্কটিক ক্রিল, এবং ক্রিস্টাল ক্রিল।[২৫] এখানকার উদ্ভিদ এবং জীবজন্ |
585 |
তু দক্ষিণ অ্যান্টার্কটিকের অন্যান্য অঞ্চলের প্রানীর মতই বর্তমান। বিশেষত গ্রীষ্মে পুষ্টি সমৃদ্ধ সমুদ্রের জলে প্রচুর প্ল্যাঙ্কটোনিক জীবন বেঁচে থাকে। সেগুলি খেয়ে আবার বৃহত্ তর প্রজাতি যেমন মাছ, সীল, তিমি |
586 |
, এবং সমুদ্রের ও তীরের পাখি বেঁচে থাকে। আলবাট্রস ভ্রমণের জন্য বাতাসের উপর নির্ভর করে এবং শান্ত বায়ুতে এগোতে পারে না। পশ্চিমী বাতাস খুব দক্ষিণে পৌঁছোতে পারেনা এবং তাই আলবাট্রসও বেশি দূর যায়না। আলবাট্র |
587 |
স যদি কোনোভাবে প্রবাহী বরফে অবতরণ করে, বায়ু শান্ত থাকলে তারা সেখানে অনেক দিন ধরে এ আটকে থেকে যায়।[২৬] সমুদ্রের উপকূলীয় অংশগুলিতে অ্যাডিলি এবং সম্রাট পেঙ্গুইনে র বেশ কয়েকটি উপনিবেশ রয়েছে।[৬] একটি ১ |
588 |
০ মিটার (৩২.৮ ফুট) লম্বা, ৪৯৫ কিলোগ্রাম (১,০৯১ পাউন্ড) ওজনের কলোসাল স্কুইড ২০০৭ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি রস সাগরে ধরা পড়েছিল। xcislav 22 марта 2023 У далить টয়লেট পেপার (কখনও কখনও টয়লেট টিস্যু বা বাথর |
589 |
ুম টিস্যু বলা হয়) [১] [২] একটি টিস্যু পেপার পণ্য যা প্রাথমিকভাবে মলত্যাগের পরে মলদ্বার এবং আশেপাশের অঞ্চল পরিষ্কার করতে এবং প্রস্রাবের পর মূত্র এবং বাহ্যিক যৌনাঙ্গ পরিষ্কার করতে ব্যবহৃত হয়। বা অন্যান |
590 |
্য শারীরিক তরল থেকে মুক্তির জন্যও ব্যবহৃত হয়। এটি এই প্রক্রিয়াগুলির সময় হাতের সুরক্ষার একটি স্তর হিসাবেও কাজ করে। এটি সাধারণত একটি টয়লেটের কা ছে একটি ডিসপেনসারে সংরক্ষণের জন্য একটি পেপারবোর্ডে মোড় |
591 |
ানো ছিদ্রযুক্ত কাগজের একটি দীর্ঘ স্ট্রিপ হিসাবে সরবরাহ করা হয়। বান্ডিলটি ব্রিটেনে টয়লেট রোল [৩] বা লু রোল [৪] বা বগ রোল [৫] নামে পরিচিত। টয ়লেট পেপারের অন্যান্য ব্যবহার রয়েছে, কারণ এটি একটি সহজলভ্য |
592 |
গৃহস্থালী পণ্য। এটি নাক ফুঁকতে বা চোখ মোছার জন্য ফেসিয়াল টিস্যুর মতো ব্যবহার করা যেতে পারে। কিছু মহিলা মাসিকের সময় যোনি থেকে বেরিয়ে আসা রক ্তাক্ত স্রাব শুষে নিতে কাগজটি ব্যবহার করেন। এটি ঘাম মুছা ব |
593 |
া শোষণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। টয়লেট পেপারকে কম ঘষিয়া তুলিয়া ফেলিতে সক্ষম কাগজ তোয়ালের মত পরিষ্কার করতে ব্যবহার করা যেতে পারে. কৌতুক অর ্থে, টয়লেট পেপারিং হল কিশোর-কিশোরীদের দ্বারা অস্থায়ী ধ্ |
594 |
বংসাত্মক প্রবণতার একটি রূপ এবং প্রায়শই এমন কাউকে নির্দেশ করা হয় যাকে জগাখিচুড়ি পরিষ্কার করতে হয়। উন্নত বিশ্বের বেশিরভাগ আধুনিক টয়লেট প েপার সেপটিক ট্যাঙ্কে পচে যাওয়ার জন্য নকশা করা হয়েছে, যেখানে |
595 |
অন্য কিছু যেমন বাথরুম এবং ফেসিয়াল টিস্যু পচে না। ভেজা টয়লেট পেপার দ্রুত পরিবেশে পচে যায়। টয়লেট পেপারের বিভিন্ন সংখ্যক বেধের স্তর রয়েছে , এক- থেকে ছয়-প্লাই পর্যন্ত আছে, যা আরও বেশি শক্তি এবং শোষণ |
596 |
ক্ষমতা প্রদান করে। ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে চীনে স্বাস্থ্যবিধির জন্য কাগজের ব্যবহার রেকর্ড করা হয়েছে, বিশেষভাবে তৈরি টয়লেট পেপার ১৪ শতকে ব্যাপক ভাবে উত্পাদিত হয়েছিল। আধুনিক বাণিজ্যিক টয়লেট পেপার ১৯ শতকে উদ্ |
597 |
ভূত হয়েছিল, ১৮৮৩ সালে রোল-ভিত্তিক ডিসপেনসারগুলির পেটেন্ট করা হয়েছিল। xcislav 7 апреля 2023 Удалить হাতাহাতি লড়াই দুই বা ত তোধিক ব্যক্তির মধ্যে হাতের (বা হাতে ধরা অস্ত্রের) নাগালের মধ্যে আঁকড়ে ধরা য |
598 |
ায়, এমন স্বল্প পাল্লার দূরত্বে শারীরিক লড়াইকে বোঝায়।[১] হাতাহাতি লড়াইয়ে অস্ত্রের ব্যবহার হতে পারে। হাতাহাতি লড়াইয়ের অস ্ত্র হিসেবে ছুরি, তরবারি, গদা বা মুগুর, বর্শা বা বল্লম, কুঠার বা যেকোনও ধরন |
599 |
ের তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ভাবিত অস্ত্র যেমন রান্নার উপকরণ, খননের উপকরণ, খেলার উপকরণ বা সরঞ্জাম, ইত্যাদি ব্যবহার করা হতে পারে।[১] যদি ও হাতাহাতি লড়াই মূলত যুদ্ধক্ষেত্রে সামরিক যোদ্ধাদের মধ্যকার এক ধরনের লড়া |
600 |
ই নির্দেশ করে, তবে দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে, যেমন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা, বেসামরিক ব্যক্তি, অপরাধী, ইত্যাদির মধ্যে যে কোনও ব্যক্তি পর্যায়ের শারীরিক লড়াইকেও হাতাহাতি লড়াই বলা হতে পারে।[১] আ |
601 |
ঁকড়ানোর দূরত্ব থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত পাল্লায় থেকে করা লড়াইকে সাধারণত স্বল্প পাল্লার লড়াই (close combat বা close-qua rters combat) বলা হয়। স্বল্প পাল্লার লড়াইয়ে প্রাণঘাতী ও প্রাণঘাতী নয় এমন |
602 |
অস্ত্র ও লড়াইয়ের পদ্ধতি ব্যবহার করা হতে পারে, যা বেসামরিক আইন, সামরিক লড়াইয়ের নিয়মাবলি কিংবা নৈতিক নিয়মাবলির উপর নির্ভ র করে। যেসব স্বল্প পাল্লার লড়াইয়ে সামরিক যোদ্ধারা আগ্নেয়াস্ত্র ও অন্যান্য |
603 |
দূরপাল্লার অস্ত্র কৌশলগত স্তরে ব্যবহার করে, সেগুলিকে সমসাময়িক কথোপকথনে স্বল্প পরিসরের লড়াই (close quarter battle) বলা হয়। মার্কিন সেনাবাহিনী হাতাহাতি লড়াইয়ের প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত বিভিন্ন সামরিক লড় |
604 |
াইয়ের পদ্ধতিকে কমব্যাটিভ পরিভাষাটি দিয়ে নির্দেশ করতে পারে, যে পদ্ধতিগুলিতে বিভিন্ন ধরনের সমরকলা ও লড়াই ক্রীড়া থেকে ক ্রিয়াকৌশল যুক্ত করা হতে পারে। xcislav сегодня в 15:19 Удалить বিকল্প সংস্কৃতি ব |
605 |
লতে আমরা বুঝি এক ধরনের সংস্কৃতি যা মূলধারার সংস্কৃতি বা জনপ্রিয় সংস্কৃতির আওতা থেকে বা প্রভাব থেকে বাইরে থা কে এবং এটি অন্য এক বা একাধিক উপসংস্কৃতির প্রভাবে থাকে। এইসব উপসংস্কৃতির মধ্যে আবার মিল খুব স |
606 |
ামান্য, তাদের পারস্পরিক গোপন থাকার প্রবণতা ছাড়া। কিন্তু সাংস্কৃতিক বিদ্যার এই গোপন থাকার প্রবণতাকে ব্যবহার ক রা হয় তাদের শ্রেণীবিভাগ করার জন্য যার নাম দেয়া হয়েছে বিকল্প সংস্কৃতি। একে আবার অধিকতর রা |
607 |
জনৈতিক শব্দের সাথে তুলনা করা হয় যা হলো বিপরীত সংস্কৃতি। বিকল্প সংস্কৃতির ধারণা ৫০-এর দশকে পশ্চিম ইউর োপ ও উত্তর আমেরিকার বয়ঃসন্ধিকাল সম্পর্কে নতুন ধারণার উন্নতির মাঝে বিকল্প সংস্কৃতির ধারণাটার শিকড়ট |
608 |
া অবস্থান করছে। বয়ঃসন্ধিকালকে সাধারণভাবে পিতামাতার মূল্যবোধের প্রতি ও কর্তৃপক্ষের বিরূদ্ধে এক ধরনের য ুদ্ধ হিসেবে দেখা হয় দ্যা ওয়াইল্ড ওয়ান (১৯৫৩) ও রেবেল উইদাউট আ কজ (১৯৫৫) নামের মার্কিন সিনেমাতে |
609 |
ও টেডি বয় সংস্কৃতির উত্থানের মাঝে পশ্চিম ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকাতে। ঐতিহ্যবাহী সামাজিক ধারণা ও মূল্যবোধে র প্রতি এই বিরোধের কারণটা ব্যক্তিগত হলেও যখন তা একটি দলের অংশের উপর প্রয়োগ করে হয় তখন সেটা ব্যা |
610 |
খা করা সহজ হয়। বিকল্প সংস্কৃতির বিকাশ ও সামাজিক গতিশীলতা একটি ছোট শহর বা অঞ্চলে তরুণ কর্মজীবি মানুষ যখন উপলদ্ধি করে জীবন ধারণের প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি তখনই বিকল্প সংস্কৃতির সৃষ্টি হয়। এর প্রতিক্র |
611 |
িয়ায় দ্রুত দেখা যায় মানুষের মাঝে পরিবর্তন তাদের জীবনযাত্রায়, শিল্পে ও সংগীতে। উদাহরণ স্বরূপ ৬০-এর দশকের হিপ্পি সংস্কৃতির কথা বলা যায়। আফ্রিকান আমেরিকানদের হিপহপ সংস্কৃতির কথাও উল্লেখযোগ্য যা তাদের |
612 |
জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছিল অনুপ্রবেশ্য আমেরিকান সংস্কৃতিতে জায়গা করে নিতে। এইসব উপসংস্কৃতির একট া জায়গাতে একই স্থানে অবস্থান করে তা হলো গণমাধ্যমের নেতিবাচক মনোযোগ। এর কারণ হিসেবে বলা যায় এইসব উপসংস্ক |
613 |
ৃতির আচারের মাঝে আইন অমান্য করার প্রবণতা, যেমন তাদের শারীরিক উপস্থিতি, তাদের অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রব ণতা, ভোগবাদী প্রবণতার বিরোধিতা ও তাদের অধিকমাত্রায় প্রশয় যৌনতায় ও মাদকদ্রব্য ব্যবহারে। যেমন -হার্ডকোর |
614 |
পাঙ্ক ও স্ট্রেইট এ্যাডজ দলগুলো। xcislav сегодня в 16:39 Удалить চলচ্চিত্ৰ বা বোলছবি বা চমুকৈ অকল ছবি (ইংৰাজী: Cinema বা Film), মূলতঃ স্থিৰ চিত্ৰৰ এটা ক্ৰম, যাক এটা বিশেষ প্ৰক্ৰিয়াৰে দৰ্শন কৰিলে গতিশী |
615 |
ল ছবি দেখা যায়। বিশেষ সঁজুলিৰে (কেমেৰা) গতিশীল বস্তু এটাৰ গতিৰ ক্ৰমিক স্থিৰচিত্ৰ তু লি, বা এখন এখনকৈ ছবি আকিও চলচ্চিত্ৰ নিৰ্মাণ কৰিব পাৰি। ইয়াৰ প্ৰথম বিধ প্ৰক্ৰিয়াৰে নিৰ্মাণ কৰা ছবিক 'জীৱন্ত গতি'ৰ ছ |
616 |
বি (live action) আৰু দ্বিতীয় বিধ প্ৰক্ৰিয়াক এনিমেছন বোলা হয়। অৱশ্যে এনিমেছনত এখন এ খনকৈ ছবি অঁকাৰ বাহিৰেও অন্যান্য প্ৰক্ৰিয়াৰেও স্থিৰচিত্ৰৰ ক্ৰমটো নিৰ্মাণ কৰিব পাৰি। বৰ্তমান চলচ্চিত্ৰ নিৰ্মাণ একেসম |
617 |
য়তে এটা শিল্প আৰু উদ্যোগ। এটা জাতি/যুগ বা প্ৰজন্মই চলচ্চিত্ৰক নিজা বৈশিষ্টপূৰ্ণ ৰূপত তুলি ধৰে আৰু চলচ্চিত্ৰয়ো এখন সমাজক প্ৰভাৱান্বিত কৰাৰ ক্ষমতা ৰাখে। একে সময়তে সমাজৰ দাপোন আৰু পৰিবৰ্তনৰ কাৰক হিচাপে |
618 |
কাম কৰিব পৰাৰ ক্ষমতাৰ বাবে চলচ্চিত্ৰক এটা অতি গুৰুত্বপূৰ্ণ কলা জ্ঞান কৰা হয়। চল চ্চিত্ৰই সফল মনোৰঞ্জনৰ আৰু জ্ঞানৰ ক্ষমতাশালী বাহক হিচাপে কাম কৰিব পাৰে। চলচ্চিত্ৰই একেসময়তে ছবি, শব্দ, সংলাপ সকলো সাঙু |
619 |
ৰি লয় বাবে ই যোগাযোগৰ এটা বিশেষ প্ৰভাৱশালী মাধ্যম হিচাপে পৰিগণিত হৈছে। বহুতো চলচ্ চিত্ৰই স্থান, কাল-ৰ পৰিধি ভাঙি বিশ্বব্যাপি জনপ্ৰিয়তা লাভ কৰিবলৈ সক্ষম হৈছে। চলচ্চিত্ৰ কাহিনী-ভিত্তিক, শৈক্ষিক বা এবষ্ |
620 |
ট্ৰাক্ট (abstract) যিকোনো বিধৰ হ'ব পাৰে। চলচ্চিত্ৰ মূলতে এলানি ক্ৰমিক স্থিৰচিত ্ৰ। প্ৰতিখন স্থিৰ ছবিক 'ফ্ৰেম' (Frame) বোলা হয়। এই ক্ৰমিক স্থিৰ ছবিসমূহক ইখনৰ পাছত সিখনকৈ খৰ গতিৰে দেখুৱাই গ'লে আমাৰ চকুৰ |
621 |
দৃষ্টি জড়তাৰ বাবে ইখনৰ পাচত সিখন অহাটো ধৰিব নোৱাৰি। আন এটা পৰিঘটনা 'বিটা গতি' -ৰ বাবে (beta movement) ক্ৰমে সলনি হৈ থকা এই ছবিসমূহ প্ৰত্যক্ষ কৰিলে গতিৰ ভ্ৰমৰ সৃষ্টি হয়, অৰ্থাৎ স্থিৰ চিত্ৰৰ ক্ৰমটোৱে |
622 |
গতি কৰা দেখিবলৈ পোৱা যায়। 'চলচ্চিত্ৰ' নে 'বোলছবি', সেই সম্বন্ধে অলপ মতান্ত ৰ আছে। অসমীয়া ভাষাত 'বোলছবি' শব্দটোৰ প্ৰথম প্ৰয়োগ কৰিছিল পাৰ্বতী প্ৰসাদ বৰুৱাই৷[1] অৰ্থগত দৃষ্টিৰে চাবলৈ গ'লে 'চলচ্চিত্ৰ' শ |
623 |
ব্দটোৱে প্ৰকৃত অৰ্থ বহন কৰে। চলি থকা চিত্ৰই হৈছে চলচ্চিত্ৰ। বোলছবি বা কথাছবি , অৰ্থাৎ কথা কোৱা ছবি, শব্দকেইটা প্ৰচলন হৈছিল চলচ্চিত্ৰত শব্দৰ সংযোজন হোৱাৰ পাছত। চলচ্চিত্ৰৰ বাবে শব্দ অপৰিহাৰ্য নহয় বাবে ব |
624 |
োলছবি বা কথাছবি শব্দটোৱে সম্পূৰ্ণ অৰ্থ প্ৰকাশ কৰিব নোৱাৰে। ইংৰাজী চিনেমা আৰু ফিল্ম এই শব্দ দুটাও অসমীয়া ভাষী ৰাইজৰ মাজত বহুলভাৱে প্ৰচলিত। ইংৰাজীত 'মুভি' বুলিও কোৱা হয়। ফিল্ম শব্দটো প্ৰথমে ব্যৱহাৰ হৈছ |
625 |
িল কাৰণ চলচ্চিত্ৰ নিৰ্মাণৰ বাবে প্ৰথমে ফটোগ্ৰাফিক ফিল্মৰ ব্যৱহাৰ কৰা হৈছিল। আ মেৰিকা যুক্তৰাষ্ট্ৰত 'মুভি' (movie) শব্দটো, আৰু ইউৰোপ মহাদেশত 'ফিল্ম' (Film) শব্দটো বহুলভাৱে প্ৰচলিত। অন্যান্য নাম যেনে 'পি |
626 |
ক্চাৰ', 'ফটো প্লে', 'ফ্লিক' আদিও বহুলভাৱে প্ৰচলিত। বিষয় অনুসৰি চলচ্চিত্ ৰক মূলতঃ দুটা ভাগত ভগাব পাৰি: 'কাহিনী চিত্ৰ' (feature film) আৰু 'তথ্যচিত্ৰ' (documentary)। কাহিনী চিত্ৰত এটা কাহিনী কোৱা হয়, আ |
627 |
ৰু তথ্যচিত্ৰত কোনো এটা বিষয়ৰ ওপৰত প্ৰবন্ধ ধৰ্মী চলচ্চিত্ৰ নিৰ্মাণ কৰা হয় । চলচ্চিত্ৰৰ ইতিহাস 1:48 চাৰ্লি চেপলিন-ৰ 'দা বণ্ড' ছবিৰ এটা টুকুৰা (১৯১৮) নাটক, নৃত্য আদিৰ দৰে পৰিবেশন কলাৰ কেবাটাও উপাদান চলচ |
628 |
্চিত্ৰৰো অভিন্ন অংগ, যেনে: চিত্ৰনাট্য (নাটক), সাজ-সজ্জা, প ৰিচালনা, অভিনেতা, সংগীত আৰু দৰ্শক। মূলতঃ প্ৰযুক্তিৰ অভাৱতেই এই ঐতিহাসিক কলাবিলাকক 'ৰেকৰ্ড' কৰি পাছত প্ৰদৰ্শন কৰাৰ সুবিধা নাছিল। চলচ্চিত্ৰই মূল |
629 |
তঃ এই অসুবিধাটোকে দূৰ কৰিছিল। চলচ্চিত্ৰৰ যোগে যিকোনো পৰিবেশ ন কলাকে সাঁচি থৈ আকৌ চাব পৰা হ'ল। অৱশ্যে ধীৰে ধীৰে চলচ্চিত্ৰ কেৱল এটা সাঁচি থোৱা মাধ্যম হৈ নাথাকি নিজা শিল্পসত্তা এটাৰ সৃষ্টি কৰিবলৈ সক্ষম হয |
630 |
়। বৰ্তমান চলচ্চিত্ৰ এটা স্বয়ংসম্পূৰ্ণ শিল্প। ১৮৬০ চনৰ পৰাই 'দৃষ্টি-জড়তা' পৰিঘটনাক ব্যৱহাৰ কৰি স্থিৰ ছবিক গতি দিয়া বিভিন্ন সঁজুলি গঢ়ি উঠিছিল। অৱশ্যে সেই বিলাক মূলতঃ খেলৰ সামগ্ৰীহ আছিল। 'জুট্ৰ'প', ' |
631 |
মিউটোস্কোপ', 'প্ৰাক্সিনোস্কোপ' ইত্যাদি এনে খেলনাৰ উদাহৰণ । এনে খেলনাত হাতে আঁকি লোৱা ছবি ব্যৱহাৰ কৰা হৈছিল। এই খেলনা বিলাকৰপৰাই পাছলৈ এনিমেছন গঢ় লৈ উঠে। ফটো তুলিবলৈ 'চেলুলয়ড'ৰ 'ফিল্ম' আৱিষ্কাৰ হোৱাৰ |
632 |
পাছতহৈ প্ৰকৃত চলচ্চিত্ৰৰ জন্ম হয়। চেলুলয়ডৰ ফিল্ম দ ীঘল কৰিবপৰা গৈছিল বাবে তাত একেলগে কেবা হাজাৰ স্থিৰ চিত্ৰ একেলগে সুমুৱাব পৰা গৈছিল। ফিল্ম ব্যৱহাৰ হোৱাৰ আগতে ফটো তুলিবলৈ কাঁচৰ প্লেট ব্যৱহাৰ কৰা হৈছি |
633 |
ল। ১৮৭৮ চনত ইংৰাজ ফটোগ্ৰাফাৰ ইডৱাৰ্ড মাইব্ৰিজ-এ (Eadw eard Muybridge) আমেৰিকাত এটা দৌৰি থকা ঘোঁৰাৰ ২৪খন ক্ৰমিক ছবি তোলে। এই ছবিসমূহত ঘোঁৰা এটাৰ দৌৰাৰ সময়ত হোৱা অংগ সঞ্চালনৰ ২৪টা ক্ৰমিক ছবি আছিল। এয়েই |
634 |
আছিল চলচ্চিত্ৰৰ প্ৰথম আৰম্ভণি। অৱশ্যে তেতিয়াও ইয়াক চলচ্চিত্ৰ বোলা হোৱা নাছিল।[2] পাছত এই ছবি সমূহ কাগজত 'প্ৰিণ্ট' কৰি এটা ঘূৰি থকা ডাঙৰ বৰ্তুলাকাৰ আধাৰত একাদিক্ৰমে আঠা লগাই মানুহক দেখুওৱা হৈছিল। চাব |
635 |
লাগিছিল সৰু ফুটা এটাৰ মাজেৰে। তেনেদৰে চাই পঠিয়ালে ঘো ঁৰাটোক আকৌ দৌৰি থকা দেখিবলৈ পোৱা গৈছিল। এই সঁজুলিটো ব্যৱসায়িক ভাৱে নিৰ্মাণ কৰা হৈছিল। আৰু পইচা সুমুওৱা সেইটো চাব পৰা ব্যৱস্থা আছিল। এয়েই আছিল চল |
636 |
চ্চিত্ৰৰ প্ৰাৰম্ভিক ৰূপ। Roundhay Garden Scene-ৰ এখ ন স্থিৰ চিত্ৰ, চলচ্চিত্ৰগ্ৰহণ কেমেৰাৰে তোলা প্ৰথমখন চলচ্চিত্ৰ। ফটো তুলিছিল লুই দি প্ৰিন্স-এ (Louis Le Prince, চন ১৮৮৮ প্ৰখ্যাত আৱিষ্কাৰক থমাছ আলভা এড |
637 |
িছন-এ (Thomas Alva Edison) গতিশীল বস্তুৰ ক্ৰমিক ছবি তুলিব পৰা যন্ত্ৰ এটাৰ আৱিষ্কাৰত মনোনিবেশ কৰে। এই কামৰ বাবে ১৮৮৮ চনত তেওঁ সহযোগী উইলিয়াম ডিকছন-ক (William K.L. Dickson) দায়িত্ব দিয়ে। দুয়োজনে ক্ৰম |
638 |
িক ছবি তোলাৰ বাবে কাইনেট'গ্ৰাফ (Kinetograph) আৰ ু সেই ছবি চলন্ত অৱস্থাত চোৱাৰ বাবে কাইনেট'স্কোপ (Kinetoscope) নামৰ এবিধ যন্ত্ৰ উদ্ভাৱন কৰে। ১৮৯৪ চনত 'কাইনেট'স্কোপ' যন্ত্ৰ বজাৰত মুকলি কৰা হয়। এই যন্ত্ৰ |
639 |
ত এটা ফুটাৰে চলন্ত ছবি ছোৱাৰ ব্যৱস্থা আছিল। সেয় ে এবাৰত এজন ব্যক্তিয়ে ছবি দৰ্শন কৰিব পাৰিছিল। এই অসুবিধা আঁতৰ কৰিবলৈ প্ৰতিদ্বন্দ্বী আৱিষ্কাৰকে সেই ছবি পৰ্দাত ডাঙৰকৈ প্ৰক্ষেপ কৰিব পৰা ব্যৱস্থা সাজি উল |
640 |
িয়ায়। থমাছ এৰ্মাট (Thomas Armat) নিৰ্মিত এনে এট া যন্ত্ৰৰ আধাৰত এডিছনে নিজাকৈ এটা প্ৰজেক্টৰ (Projector) নিৰ্মাণ কৰে আৰু নাম দিয়ে ভিটাস্কোপ (Vitascope)।[3] ডাঙৰকৈ পৰ্দাত প্ৰক্ষেপ কৰি বহু মানুহে একলগে |
641 |
চাব পৰাকৈ প্ৰথমে চলচ্চিত্ৰ প্ৰদৰ্শন কৰা হৈছি ল ১৮৯৬ চনত। নিউ য়ৰ্ক চহৰৰ 'ক'ষ্টাৰ আৰু বিয়াল-ৰ সংগীত প্ৰেক্ষাগৃহ'ত (Koster and Bial's Music Hall) এপ্ৰিল মাহৰ ২৩ তাৰিখে এই প্ৰদৰ্শনীৰ ব্যৱস্থা কৰা হৈছিল। |
642 |
১৮৯৪ চনত ডিক্ছনে চলচ্চিত্ৰৰ লগত শব্দৰ স ংযোগ কৰিবলৈ চেষ্টা কৰিছিল। কিন্তু নিৰ্বাক ছবিকেই ৰাইজে বিপুলভাৱে আদৰি লৈছিল। প্ৰথম অৱস্থাত একোটা দৃশ্যৰ চলচ্চিত্ৰ ৰূপ দি দেখুওৱা হৈছিল যদিও, সোনকালেই চলচ্চিত্ৰ |
643 |
ই কাহিনী ক'বলৈ আৰম্ভ কৰে। কাহিনী এটা দৰ্শক ক ক'বলৈ কেবাটাও দৃশ্য সম্বলিত চলচ্চিত্ৰৰ জন্ম হয়। দৃশ্যৰ প্ৰয়োজনীয়তাৰ হিচাপত কেমেৰা আগুৱাই বা পিছুৱাই, বা কেমেৰাৰ কোণ সলনি কৰি নতুন ধৰণৰ দৃশ্য দেখুওৱাৰ প্ৰ |
644 |
য়াস আৰম্ভ কৰা হয়। এনেদৰেই ধীৰে ধীৰে চলচ্চ িত্ৰৰ ব্যাকৰণ গঢ় লৈ উঠে। স্ৰথম অৱস্থাৰ ছবিঘৰত নিৰ্বাক ছবিৰ লগত পিয়ানো বা অৰ্গেন বজোৱা হৈছিল। অৱশ্যে তাৰ মূল উদ্দেশ্য আছিল প্ৰজেক্টৰৰ ঘৰ-ঘৰ শব্দটো নোহোৱা কৰ |
645 |
ি ৰখাটোহে। সোনকালেই অৱশ্যে দৃশ্যাংশৰ লগত সংগ তি ৰাখি বেলেগ সংগীত বজাবলৈ আৰম্ভ কৰা হয়। কিছুমান ছবিঘৰত এটা পৰিপূৰ্ণ অৰ্কেষ্ট্ৰাই ছবিৰ লগত সংগীত দিছিল। ১৯২০ চনৰপৰা চলচ্চিত্ৰৰ লগত চলচ্চিত্ৰত ব্যৱহাৰ কৰিব |
646 |
লগা সংগীতৰ স্বৰলিপিও নিৰ্মাতাৰ ফালৰপৰাই প্ৰস্ তুত কৰি পঠিয়াই দিছিল। জৰ্জ মেলিয়েৰ-ৰ (Georges Méliès) চন্দ্ৰ ভ্ৰমণ (Le Voyage dans la Lune (A Trip to the Moon)) (১৯০২), লগে লগে ব্যাখ্যা আগবঢ়াই গৈ থকা |
647 |
প্ৰথম ছবিসমূহৰ এখনৰ স্থিৰ চিত্ৰ প্ৰথম বিশ্বযুদ্ধৰ বাবে ইউৰোপত চলচ্চিত্ৰৰ কাম লেহেমীয়া হৈ পৰে, আনহাতে এই সময়ছোৱাতে আমেৰিকাত নিৰ্মিত দুখন নিৰ্বাক ছবিয়ে চলচ্চিত্ৰক এটা মৰ্য্যদাপূৰ্ণ শিল্পৰ শাৰীত বহুৱাব |
648 |
লৈ সক্ষম হয়। ডি. ডব্লু. গ্ৰিফিথ-ৰ (D . W. Griffith) 'দা বাৰ্থ অৱ এ নেছন' ('The Birth of a nation') আৰু 'ইনট'লাৰেন্স' (Intolerance), এই দুখন ছবিয়ে চলচ্চিত্ৰ নিৰ্মাণ শেলীত বাৰুকৈয়ে প্ৰভাৱ পেলাবলৈ সক্ষ |
649 |
ম হয়। প্ৰধম বিশ্বযুদ্ধৰ পাছত ইউৰোপতো কেবা গৰাকী চলচ্চিত্ৰ নিৰ্মাতাই নতুন নতুন পৰীক্ষা নিৰীক্ষাৰে চলচ্চিত্ৰ শিল্পক এটা স্বয়ংসম্পূৰ্ণ কলাৰ ৰূপ দিয়ে। এওঁলোকৰ ভিতৰত তিনিগৰাকী বিশেষ ভাৱে উল্লেখযোগ্য ব্যক |
650 |
্তি আছিল--ছেৰ্গেই আইজেনষ্টাইন, ফ্ৰেডেৰ িক উইলহেল্ম মাৰ্নো আৰু ফ্ৰিজ লেং। প্ৰায় একে সময়তে আমেৰিকাত চাৰ্লি চেপলিন আৰু বাষ্টাৰ কীটন-এ চলচ্চিত্ৰক বিপুলভাৱে জনপ্ৰিয় কৰি তোলাৰ উপৰিও নতুন নতুন অৱদানেৰে সমৃ |
651 |
দ্ধ কৰি থৈ যায়। ১৯২৪ চনৰপৰা চলচ্চ িত্ৰত শব্দৰ প্ৰয়োগ আৰম্ভ হয়। ১৯২৭ চনত নিৰ্মিত 'দা জেজ ছিংগাৰ' (The Jazz Singer) নামৰ ছবিখনক প্ৰথম সবাক ছবি বোলা হয় যদিও তাৰ আগতেও চলচ্চিত্ৰত শব্দৰ প্ৰয়োগ কৰা হৈছি |
652 |
ল পৰীক্ষনীয় হিচাপে। এনিমেছন ছবিত শ ব্দৰ প্ৰথম প্ৰয়োগ হয় ১৯২৪ চনত মেক্স ফ্লেইছাৰৰ ষ্টুডিঅ'ৰপৰা নিৰ্মিত 'কোকো ছং কাৰ টিউনছ' (Ko-ko Song Car-Tunes) নামৰ ছবিখনৰপৰা।[4] শব্দ সম্বলিত চলচ্চিত্ৰক 'টকীং পিক্ |
653 |
চাৰ' (Talking Picture) বা চমুকৈ 'টক ী' (Talkie) বোলা হৈছিল। বোলছবি বা কথাছবি বুলিলে প্ৰকৃত অৰ্থত 'টকী'ক বুজোৱা হয়। শব্দ সম্বলিত চলিচত্ৰক মানুহে বিপুল ভাৱে আদৰি লৈছিল। সেয়ে সোনকালেই নিৰ্বাক ছবিৰ নিৰ্ |
654 |
মাণ প্ৰায় বন্ধ হৈ যায়। ইমানদিন লৈ চলচ্চিত্ৰ আচল মাত্ৰ ক'লা-বগা ৰঙত। ক্ৰমান্বয়ে চলচ্চিত্ৰত 'স্বাভাৱিক ৰঙ'ৰ প্ৰয়োগ কৰা হৈছে। স্বাভাৱিক ৰঙ বোলোতে পিছে বাস্তৱ পৃথিৱীৰ ৰঙৰ নিচিনা বুজোৱা হোৱা নাছিল। কেমে |
655 |
ৰাৰ ৰঙৰ সৈতে ছবি তোলা পদ্ধতিকহে ' স্বভাৱিক ৰঙ' বোলা হৈছিল। ক'লা-বগা ৰীলত ৰঙ দি বা অন্য উপায়েৰে ছবিত ৰঙ দিয়াটোক 'স্বাভাৱিক ৰঙ' বোলা নহৈছিল। নামত 'স্বাভাৱিক ৰঙ' হ'লেও পিছে প্ৰথম অৱস্থাৰ ৰঙীন ছবিবোৰত স্ |
656 |
বভাৱিক ৰঙ দেখা নগৈছিল। তিনি তৰপীয় া ৰঙীন ছবি তোলাৰ ব্যৱস্থা থকা 'টেক্নিকালাৰ' (Tchnicolor) পদ্ধতি আৱিষ্কাৰ হোৱাৰ পাছত হে কিছু পৰিমাণে স্বাভাৱিক ৰঙ দেখা গৈছিল। এই পদ্ধতিৰে ১৯৩৪ চনত কেবাখনো ছবি আংশিক ভ |
657 |
াৱে ৰঙীন কৰি নিৰ্মাণ কৰা হৈছিল। ১৯৩ ৫ চনত নিৰ্মাণ হোৱা 'বেকী ছাৰ্প' (Becky Sharp) আছিল প্ৰথমখন সম্পূৰ্ণ ৰঙীণ ছবি। চলচ্চিত্ৰক শব্দৰ প্ৰয়োগক দৰ্শকে বিপুল উৎসাহেৰে আদৰি লৈছিল যদিও, ৰঙৰ সংযোজনে ইমান বিপুল |
658 |
সঁহাৰি পোৱা নাছিল। সেয়ে ৰঙীন ছবিৰ লগতে ক'লা-বগাৰ ছবিৰ নিৰ্মাণো বহুত দিনলৈ চলি আছিল। বৰ্তমানেও ক'লা-বগা ছবি পৰীক্ষামূলক ভাৱে নিৰ্মাণ কৰা হয়। অৱশ্যে সেয়া বিষয়বস্তুৰ প্ৰতি লক্ষ্য ৰাখিহে। ১৯৫০-ৰ দশকৰ |
659 |
প্ৰথম ভাগত আমেৰিকাত প্ৰথম ক'লা- বগা দূৰদৰ্শনৰ প্ৰচলন ঘটে। দূৰদৰ্শনে চলচ্চিত্ৰৰ ব্যৱসায়ত বাধাৰ সৃষ্টি কৰিবলৈ আৰম্ভ কৰৈ। তেতিয়াই ক'লা-বগা দূৰদৰ্শনৰ বিপৰীতে ৰঙীন ছবি নিৰ্মাণ কৰি চলচ্চিত্ৰক আকৌ জনপ্ৰিয় |
660 |
কৰি তোলাৰ প্ৰয়াস কৰা হয়। সেই স ময়ৰেপৰা ৰঙীন ছবিৰ নিৰ্মাণ বৃদ্ধি পায়। ১৯৬০-ৰ দশকত ৰঙীন টিভিৰ প্ৰসাৰ ঘটে। তেতিয়াৰে পৰা ক'লা-বগা ছবিৰ নিৰ্মাণ আমেৰিকাত বন্ধ হোৱাৰ নিচিনাই হৈ পৰে। ভাৰতীয় আৰু বিশেষকৈ অ |
661 |
সমীয়া ভাষাৰ ছবি ১৯৭০-ৰ দশকলৈ ক'ল া-বগা আছিল। ইয়াৰ বাবে অৱশ্যে খৰচৰ কথাটোহে মুখ্য আছিল। প্ৰথম সময়ৰ (১৯৬০ চনলৈ) চলচ্চিত্ৰ নিৰ্মাণৰ মূল কেন্দ্ৰ আছিল ষ্টুডিঅ'সমূহ। ষ্টুডিঅ'বিলাকে মাহিলী দৰমহা দি শিল্পী, |
662 |
কলা-কুশলী ৰাখিছিল, আৰু তেওঁল োকৰ দ্বাৰা চলচ্চিত্ৰ নিৰ্মাণ কৰিছিল। ৬০-ৰ দশকৰপৰা এই ব্যৱস্থা উঠি গৈ এখন ছবিৰ বাবে মাননি ভিত্তিত শিল্পী, কলা-কুশলী সংগঠিত কৰা আৰম্ভ কৰা হয়। এই প্ৰচেষ্টাত পৰিচালকে নিজা খে |
663 |
য়াল-খুচী মতে ছবি নিৰ্মাণৰ সুব িধা পায়। সেয়ে এই কালতে পাৰম্পৰিক ধাৰাৰ ছবিৰ বাহিৰে 'নতুন ধাৰা' (New Wave), 'সমান্তৰাল চলচ্চিত্ৰ' (Parallel Cinema) আদি বিভিন্ন ধাৰাৰ চলচ্চিত্ৰ নিৰ্মাণ হ'বলৈ আৰম্ভ কৰে। |
664 |
১৯৯০-ৰ দশকত চলচ্চিত্ৰ নিৰ্ মাণত ডিজিটেল প্ৰযুক্তিৰ প্ৰবেশ ঘটে। এই সময়চোৱাৰপৰা চলচ্চিত্ৰ নিৰ্মাণ কাৰীকৰি কলা-কৌশল বিশেষ ভাৱে সলনি হয়। তত্ত্ব চলচ্চিত্ৰ তত্ত্বই চলচ্চিত্ৰ অধ্যয়নৰ বাবে কিছুমান 'ধাৰণা' গ |
665 |
ঢ় দিয়াৰ প্ৰয়াস কৰে। চলচ্চিত্ৰ তত্ত্বৰ প্ৰথম আৰম্ভণি ঘটে 'ৰিকিঅ'টো কেনুড'ৰ 'দা বাৰ্থ অৱ দা চিক্স্থ আৰ্ট' ('The Birth of the Sixth Art', Ricciotto Canudo) নামৰ কিতাপখনত। ৰুড্লফ আৰ্নহাইম, বেলা বালাজ, |
666 |
আৰু ছিগফ্ৰাইড ক্ৰক াৰ (Rudolf Arnheim, Bela Balazs, and Siegfried Kracauer)-এ 'গাঠনিক চলচ্চিত্ৰ তত্ত্ব'-ৰ (Formalist Film Theory) পোষকতা কৰে। এই তত্ত্ব অনুসৰি বাস্তৱৰ লগত পাৰ্থক্যই চলচ্চিত্ৰ শিল্পৰ মূল |
667 |
কলাত্মক ভেঁটি। কিন ্তু আন্দ্ৰে বাজিন-এ (Andre Bazin) এই তত্ত্বৰ বিৰোধিতা কৰি কয় যে চলচ্চিত্ৰৰ কলাত্মক ভিত্তি হৈছে বাস্তৱক পুনৰ-নিৰ্মাণ কৰাত হে বাস্তৱৰ লগত পাৰ্থক্য অনাত নহয়। বাজিনৰ তত্ত্বক 'বাস্তৱবা |
668 |
দী তত্ত্ব' (Realist Theory) বোলা হয়। চলচ্চিত্ৰৰ নতুন পণ্ডিতসকলে চলচ্চিত্ৰৰ মনোবৈশ্লেষণিক তত্ত্ব, গাঠনিক তত্ত্ব, নাৰীবাদী তত্ত্ব আদি কেইবাটাও নতুন ধাৰণাৰ জন্ম দিছে। আনহাতে এই তাত্বিক ধাৰণাবোৰৰ সলনি চলচ |
669 |
্চিত্ৰৰ কলাক 'জীৱন দ ৰ্শনৰ এক প্ৰতিফলন' বুলি কব খোজে। 'ৱিটজেনষ্টাইন' (Wittgenstein) এই ধাৰণাৰ মূল প্ৰতিষ্ঠাপক। চলচ্চিত্ৰৰ ভাষা চলচ্চিত্ৰৰ এটা নিজস্ব ভাষা থকা বুলি কোৱা হয়। জেম্ছ মোনাকো-ৰ (James Monac |
670 |
o) ৰছিত 'হাউ টু ৰিড এ ফিল্ম' (''How to Read a Film') গ্ৰন্থত চলচ্চিত্ৰৰ ভাষাৰ আলোচনা কৰা হৈছে। প্ৰখ্যাত পৰিচালকে ইংমাৰ বাৰ্গমেন-এ (Ingmar Bergman) ৰাছিয়ান পৰিচালক 'আন্দ্ৰেই টাৰক'ভস্কি' (Andrei Tarokvs |
671 |
ky) ames Mon aco]]-ক প্ৰচুৰ প্ৰশংসা কৰি কৈছিল যে টাৰক'ভস্কিয়ে চলচ্চিত্ৰক এটা নিজস্ব ভাষা দিবলৈ সক্ষম হৈছিল, আৰু এই ভাষা জীৱনৰে এটা প্ৰতিফলন হৈ চলচ্চিত্ৰক জীৱনৰে এটা সপোনৰ ৰূপ দিবলৈ সক্ষ হৈছিল (...for |
672 |
me is the gre atest [director], the one who invented a new language, true to the nature of film, as it captures life as a reflection, life as a dream.") চলচ্চিত্ৰৰ ভাষাৰ এটা সৰু উদাহৰণ স্বৰূপে আগবঢ়াব |
673 |
পাৰি যে দুজন অ ভিনেতাৰ এজনৰ সোঁফাল দেখুৱাই কিছু সময় পাছত আনজনৰ বাওঁফালটো দেখুৱাই আৰু এই ক্ৰমৰ পুনৰাবৃত্তি কৰি দুয়োজনৰ মাজত কথোপকথন চলি থকাৰ ধাৰণা দৰ্শকক দিব পাৰি। সেইদৰে এজন অভিনেতাৰ কপালৰ ওচৰলৈ ক্ৰম |
674 |
ান্বয়ে কেমেৰা জুম কৰি নি আৰু প্ৰায় একে দেখাত আন এজন কম বয়সীয়া অভিনেতাৰ চিত্ৰ দেখুৱাই অভিনেতাজনৰে জীৱনৰ স্মৃতি বুলি দৰ্শকক বুজাব পাৰি। এই ধাৰণাবিলাক এতিয়া তেনেই সাধাৰণ যেন লাগিলেও এয়েই আছিল প্ৰথম |
675 |
অৱস্থাৰ চলচ্চিত ্ৰৰ ব্যাকৰণ আৰু এই কৌশলবোৰ আৱিষ্কাৰ কৰি তাক বৰ্তমানৰ ৰূপ দিবলৈ বহুতো বছৰৰ সাধনাৰ প্ৰয়োজন হৈছিল। মন্তাজ 'মন্তাজ' চলচ্চিত্ৰ সম্পাদনাৰ এটা কৌশল। নিৰ্বাক যুগত ক্ৰমবিহীন দুটা দৃশ্যক একেলগে |
676 |
দৰ্শাই দৃশ্যটোৰ অৰ্থ সলনি কৰি দিবলৈ বা দৃশ্যাংশৰ আবেদন অধিক তীব্ৰ কৰিবলৈ ব্যৱহাৰ কৰা হৈছিল। সবাক ছবি অহাৰ পাছত একে প্ৰক্ৰিয়াকে কেতিয়াবা দৃশ্যৰ লগত মিল নথকা শব্দ প্ৰয়োগ কৰি বা আন বহুতো কৌশলেৰে প্ৰয়ো |
677 |
গ কৰা হ ৈছে। 'ছোলে' বোলছবিৰ গব্বৰ সিঙৰ চৰিত্ৰটোৱে গাঁৱৰপৰা বাহিৰলৈ পঢ়িবলৈ যোৱাৰ সময়ত কিশোৰ এজনক হত্যা কৰাৰ দৃশ্যটো নেদেখুৱাই তাৰ ঠাইত হাতত পৰি থকা মাখি এটা মৰাৰ দৃশ্য দেখুৱাই সমাপ্ত কৰা হয়। মাখি মৰা |
678 |
ৰ দৃশ্যট ো যদিও মূল কাহিনীৰ লগত লগত সংগতিহীন, তথাপিও সেই দৃশ্যাংশৰ অৰ্থটো মাখি মৰা কাৰ্য্যই সম্পূৰ্ণ কৰে। অৱশ্যে এই দৃশ্যটোত সৰু ঘটনাটো ঘটনাকালত ঘটি যোৱা এটা সৰু খুঁটি-নাটি হিচাপে দেখুওৱা হৈছে। আজিকালি |
679 |
ৰ চলচ্চিত ্ৰত মন্তাজক প্ৰায়েই ছবিৰ কাহিনীৰ খুঁটি-নাটিৰ লগত সংলগ্ন দৃ্শ্য ব্যৱহাৰ কৰি কৰা হয়। মন্তাজৰ সফল প্ৰয়োগৰ বাবে ছেৰ্গেই আইজেনষ্টাইনৰ ছবিসমূহ অগ্ৰনী আছিল বুলি কোৱা হয়।[5] চলচ্চিত্ৰ সমালোচনা প্ |
680 |
ৰধ ান প্ৰবন্ধ: চলচ্চিত্ৰ সমালোচনা চলচ্চিত্ৰ সমালোচনাই চলচ্চিত্ৰৰ বিশ্লেষণ আৰু মূল্যায়নক সাঙুৰি লয়। চলচ্চিত্ৰ সমালোচনা মূলতে দুই প্ৰকাৰৰ: বিদ্যায়তনিক আৰু সংবাদভিত্তিক। বিদ্যায়তনিক সমালোচনাত চলচ্চি ত |
681 |
্ৰৰ ধ্যান-ধাৰণা, ব্যাকৰণ আদিৰ ওপৰত অধ্যয়ন কৰা হয় আৰু সাধাৰণতে চলচ্চিত্ৰৰ পণ্ডিত, ছাত্ৰ আৰু চলচ্চিত্ৰ নিৰ্মাণকাৰীৰ মাজতে সীমাবদ্ধ থাকে। আনহাতে সংবাদভিত্তিক সমালোচনাত কোনো এখন চলচ্চিত্ৰৰ সমালোচনা আগবঢ |
682 |
়োৱা হয়, য'ত পঢ়ুৱৈ হয় সাধাৰণ ৰাইজ আৰু ঘাইকৈ সমালচনা কৰা ছবিখনৰ ভাল, বেয়া দিশবোৰ আঙুলিয়াই দিয়া হয়। সংবাদভিত্তিক সমালোচনা বহুলকৈ বাতৰি-কাকত বা অন্যান্য গণ-সংযোগৰ মাধ্যমত প্ৰকাশ কৰা হয়। সংবাদ ভিত্ |
683 |
তিক সমালোচকক বহুতে সমালোচক বুলি নকৈ চলচ্চিত্ৰ পৰ্য্যালোচক (film reviewer) বুলিহে ক'ব খোজে। প্ৰকৃত সমালোচকে চলচ্চিত্ৰৰ বিদ্যায়তনিক দিশত বেছি গুৰুত্ব দিয়ে। তেওঁলোকে একোখন ছবিৰ ওপৰত মন্তব্য দিয়াতকৈ (নত |
684 |
ুন দিগ-দৰ্শক ছবিৰ বাহিৰে) চলচ্চিত্ৰই কেনেকৈ সমাজক প্ৰভাৱান্বিত কৰে, আৰু তাৰ ওলোটাটো, চলচ্চিত্ৰৰ নিৰ্মাণৰ গাঠনিগত সাল-সলনি ইত্যাদিৰ ওপৰত আলোচনা কৰে। বিদ্যায়তনিক আলোচনা বাতৰি কাকতৰ দৰে বহুল প্ৰচাৰিত গণ- |
685 |
মাধ্যমত প্ৰকাশ নহৈ গৱেষণা-পত্ৰ হিচাপেহে প্ৰকাশিত হয়। এনে সমালোচক সাধাৰণতে বিদ্যায়তনিক প্ৰতিষ্ঠানৰ অংগ হয়। চলচ্চিত্ৰ উদ্যোগ প্ৰধান প্ৰবন্ধ: চলচ্চিত্ৰ উদ্যোগ লুমিয়েৰ ভাতৃদ্বয়ৰদ্বাৰা নিৰ্মিত 'লুমিয়ৰ |
686 |
কলঘৰৰপৰা প্ৰস্থানৰত কৰ্মীবৃন্দ' ( La Sortie des usines Lumière à Lyon) চলচ্চিত্ৰৰ এটা ফ্ৰেম। চলচ্চিত্ৰ নিৰ্মাণ আৰু প্ৰদৰ্শন এটা লাভজনক ব্যৱসায়। প্ৰথম আৰম্ভণিৰ পৰাই চলচ্চিত্ৰ জনসা ধাৰণৰ মাজত বিপুল ভাৱ |
687 |
ে জনপ্ৰিয় হৈ পৰে, সেয়ে অতি সোনকালেই চলচ্চিত্ৰ নিৰ্মাণ এটা লাভজনক ব্যৱসায় হিচাপে গঢ় লৈ উঠে। ১৮৯০-ৰ দশকত 'লুমিয়েৰ ভাতৃদ্বয়ে' ( Auguste আৰু Louis Lumière) আৱিষ্কাৰ কৰে 'চিনেমাটোগ ্ৰাফ' (Cinématograp |
688 |
he) নামৰ এবিধ বিশেষ যন্ত্ৰ। এই যন্ত্ৰটো মূলতে এটা চলচ্চিত্ৰৰ কেমেৰা হ'লেও ইয়াৰ সহায়ত কেমেৰাৰ ফিল্ম পৰিস্ফূটন কৰাৰ উপৰিও প্ৰজেক্টৰ হিচাপে ব্যৱহাৰ কৰি পৰ্দাত চাব পৰা গৈছিল। কিছু সংখ্ যকৰ মতে এই যন্ত্ৰৰ |
689 |
মূল আৱিষ্কাৰক আছিল 'লিঅ'ন ব'লি' (Léon Bouly)। তেখেতে ১৮৯২ চনত এই যন্ত্ৰ নিৰ্মাণ কৰিছিল যদিও ধনৰ অভাৱত তাক পেটেণ্ট কৰিব নোৱাৰিলে। তেখেতৰপৰাই লুমিয়েৰ ভাতৃদ্বয়ে এই যন্ত্ৰ কিনি লয় আৰু নিজৰ নামত পেটেণ্ট |
690 |
লয় ১৩ ফেব্ৰুৱাৰী ১৮৯৫ চনত। তেওঁলোকে এই যন্ত্ৰৰদ্বাৰাই প্ৰথম ছবি তোলে ১৯ মাৰ্চ, ১৮৯৫ চনত। প্ৰথম লোৱা ছবি আছিল তেওঁলোকৰ কলঘৰৰপৰা ওলাই গৈ থকা শ্ৰমিক সকলৰ গতিশীল ছবি। ছবিখনৰ নাম আছ িল 'লুমিয়ৰ কলঘৰৰপৰা প |
691 |
্ৰস্থানৰত কৰ্মীবৃন্দ' ( La Sortie des usines Lumière à Lyon)। লুমিয়েৰ ভাতৃদ্বয়ে এই ছবিখন প্ৰথমে ব্যক্তিগত ভাৱে প্ৰদৰ্শন কৰে ১৮৯৫ চনৰ ২২ মাৰ্চত। একেখন ছবিৰে প্ৰথম ৰাজহুৱা প্ৰদৰ্শ ন কৰা হয় একে চনৰ ২৮ |
692 |
ডিচেম্বৰ তাৰিখে পেৰিছৰ এখন কাফেত (Salon Indien du Grand Café)। লুমিয়েৰ ভাতৃদ্বয়ৰ এই ছবিখনকে প্ৰথম চলচ্চিত্ৰ বুলি সাধাৰণ ভাৱে অভিহিত কৰা হয় যদিও চলচ্চিত্ৰৰ ছবি তোলা বিশেষ কেমেৰা ব্যৱহাৰ কৰি তোলা প্ৰথ |
693 |
মখন চলচ্চিত্ৰ আছিল 'লুই লে প্ৰিন্স'ৰ ( Louis Le Prince) ১৮৮৮ চনত নিৰ্মিত 'ৰাউণ্ডহে গাৰ্ডেন চিন' (Roundhay Garden Scene)। প্ৰথম নিৰ্মিত ছবিৰ প্ৰতি ৰাইজৰ সঁহাৰিলৈ চাই লুমিয়েৰ ভ াতৃদ্বয়ে ঠায়ে ঠায়ে ভ্ৰ |
694 |
মি চলচ্চিত্ৰ প্ৰদৰ্শন কৰিবলৈ আৰম্ভ কৰে। তেওঁলোকে প্ৰথমে গৈ ঠাইখনৰে কিছুমান চলচ্চিত্ৰ তুলি লৈ সেই বিলাকো প্ৰদৰ্শনত সংযোগ কৰিছিল। এনেদৰেই তেওঁলোকে চলচ্চিত্ৰ নিৰ্মাণৰ প্ৰতি বহুতকে আকৰ্ষিত কৰি তোলে আৰু তেও |
695 |
ঁলোকৰ যন্ত্ৰৰ বিক্ৰীও বাঢ়ি আহিবলৈ ধৰে। ১৮৯৮ চনত নিৰ্মিত 'অবেৰামেৰ্জ' পেছন প্লে' (Oberammergau Passion Play)-ক প্ৰথম কাহিনী ভিত্তিক চলচ্চিত্ৰ বুলি কোৱা হয়। এইখন আচলতে বাভাৰিয় াৰ একে নামৰ গাঁৱ এখনত যী |
696 |
চু খ্ৰীষ্টৰ কাহিনী দৰ্শাই কৰা এখন নাটক। সোনকালেই কাহিনী চিত্ৰৰ নিৰ্মাণ বাঢ়ি আহে। আৰু ইয়াৰ জনপ্ৰিয়তাই নাটক আৰু অপেৰাৰ জনপ্ৰিয়তাক চেৰ পেলাবলৈ সক্ষম হয়। লগে লগেই ব্যৱসায়ভিত্ত িত চলচ্চিত্ৰ নিৰ্মাণ আৰ |
697 |
ম্ভ কৰা হয়। প্ৰথম অৱস্থাৰ ষ্টুডিঅ' বিলাকত মাহিলী দৰমহাৰ ভিত্তিত অভিনেতা, কলা-কুশলী ৰখা হৈছিল আৰু তেওঁলোকৰ দ্বাৰা চলচ্চিত্ৰ নিৰ্মাণ কৰি ৰাইজলৈ আগবঢ়োৱা হৈছিল। দূৰদৰ্শনৰ প্ৰচ লন হয় ১৯৩১ চনৰপৰা, কিন্তু |
698 |
দূৰদৰ্শনৰ বাবে ছবি তুলিবলৈও ফিল্ম কেমেৰাৰ ব্যৱহাৰ কৰা হৈছিল ১৯৫৬ চনলৈ। কাৰণ চলচ্চিত্ৰ সংৰক্ষণৰ বাবে চুম্বকীয় ফিতাৰ (magnetic tape) ব্যৱহাৰ সেই চনৰপৰাই হৈছিল। চলচ্চিত্ৰ নিৰ্ম াণ মূলতঃ কলা যদিও ইয়াৰ নি |
699 |
ৰ্মাণ যথেষ্ট ব্যয়বহুল হোৱা বাবে আৰম্ভণিৰ পৰাই চলচ্চিত্ৰ এক ব্যক্তিগত কলা নহৈ ব্যৱসায়িক ৰুপটোৱে প্ৰাধান্য পাই আহিছে। ১৯৬০ চনৰপৰা মাহিলী দৰমহা দিয়া ষ্টুডিঅ'ৰ ব্যৱস্থা বন্ধ হৈ যায়। তাৰ ঠাইত গা কৰি উঠে |
700 |
ছবিখনৰ প্ৰয়োজন বা জনপ্ৰিয়তালৈ চাই অভিনেতা, অভিনেত্ৰী, পৰিচালক আদি নিৰ্বাচন কৰি চলচ্চিত্ৰ নিৰ্মাণ কৰাৰ প্ৰক্ৰিয়া। এই পদ্ধতিত মূল ব্যয় ষ্টুডিঅ'ই কৰে যদিও কলা-কুশলী সকলে নিজ ৰ কামৰ বাবে মাননি লয়। পৃ |
701 |
থিৱীৰ প্ৰায় প্ৰতিখন দেশতে চলচ্চিত্ৰ নিৰ্মাণ উদ্যোগে গা কৰি উঠিছে। আমেৰিকাত চলচ্চিত্ৰ উদ্যোগ কেলিফৰ্নিয়া চহৰৰ হলিউড অঞ্চলৰ আশে-পাশে হোৱা বাবে আমেৰিকাৰ ছবি সমূহক হলিউডৰ ছব ি বুলি কোৱা হয়। একেদৰেই ভাৰত |
702 |
ৰ হিন্দী ছবিৰ মূল কেন্দ্ৰ মুম্বাই-ত (আগতে বোম্বাই) বাবে বলীউড-ৰ ছবি বুলি কোৱা হয়। চলচ্চিত্ৰ নিৰ্মাণ বৰ্তমান এটা লাভজনক কোটি-টকীয়া উদ্যোগ। কাহিনী ভিত্তিক চলচ্চিত্ৰৰ বাহিৰে ও শৈক্ষিক ছবি, এনিমেছন ছবি, |
703 |
বিজ্ঞাপনৰ ছবি, প্ৰাপ্তবয়স্কৰ ছবি ইত্যাদি বিভিন্ন ছবিৰ বাবে পৃথক উদ্যোগ আছে। সংলগ্ন অন্যান্য ক্ষেত্ৰ চলচ্চিত্ৰৰ ওপৰত ভিত্তি কজৰি বহুতো নতুন নতুন ক্ষেত্ৰ আৰু পেছা গঢ ় লৈ উঠিছে। পেছা সমূহৰ বিষয়ে তলত আল |
704 |
োচনা কৰা হৈছে। এই অংশত মাত্ৰ চলচ্চিত্ৰৰ লগত জড়িত বিদ্যায়তিন ক্ষেত্ৰবোৰৰ বিষয়ে উনুকিওৱা হৈছে। 'চলচ্চিত্ৰ সমালোচনা', 'চলচ্চিত্ৰৰ ইতিহাস', 'চলচ্চিত্ৰৰ শ্ৰেণী বিভাগ', 'মানসিক জগতত চলচ্চিত্ৰৰ প্ৰভাৱ' ইত্ |
705 |
যাদি চলচ্চিত্ৰৰ সতে জড়িত অধ্যয়নৰ ক্ষেত্ৰ। চলচ্চিত্ৰৰ লগত সাংবাদিকতাৰো সংযোগ ঘটিছে। চলচ্চিত্ৰ সাংবাদিকতা, চলচ্চিত্ৰ পৰ্য্যালোচনা, চলচ্চিত্ৰ বিষয়ক আলোচনী আদিও চলচ্চ িত্ৰৰ লগত জড়িত অন্যান্য ক্ষেত্ৰ। চ |
706 |
লচ্চিত্ৰ উদ্যোগৰ দলগত প্ৰত্যক্ষ ভাৱে জড়িত হৈ আছে ছবি হল আৰু ইয়াক কেন্দ্ৰ কৰি গড় লৈ উঠা বিভিন্ন ব্যৱসায়। চলচ্চিত্ৰৰ দ্বাৰা দূৰদৰ্শনৰো বহুতো অনুষ্ঠান প্ৰত্যক্ষ ভাৱে প্ৰভাৱিত হয়। চলচ্চিত্ৰৰ কিছুমান প |
707 |
ৰিভাষা 1:48 A clip from the Charlie Chaplin silent film The Bond (1918) চলচ্চিত্ৰ আৰু বোলছবিৰ পাৰ্থক্য আগতেই আলোচনা কৰা হৈছে। অকল 'ছবি' শব্দৰেও চলচ্চ িত্ৰৰ কথা বুজোৱা হয়। চলচ্চিত্ৰৰ বিষয়, নিৰ্মাণ শৈল |
708 |
ী, আৰু উদ্দ্যশিত বাণিজ্যিক আবদেনলৈ লক্ষ্য কৰি চলচ্চিত্ৰক কলাত্মক, তাত্বিক, বাণিজ্যিক আদি বিভিন্ন ভাগত ভগোৱা হয়। অৱশ্যে এই বিভাজনৰ যথেষ্ট সীমাবদ্ধতা আ ছে। একেখন ছবিয়েই কেতিয়াবা দুটা ভাগত একেসময়তে সু |
709 |
মুৱাব পাৰি। চলচ্চিত্ৰ আজিকালি অকল ফিল্মৰ ৰূপতে আবদ্ধ হৈ থকা নাই। চুম্বকীয় ফিতাৰ ৰূপত চলচ্চিত্ৰ সংৰক্ষণ আৰু প্ৰদৰ্শনৰ ব্যৱস্থা ৬০-ৰ দশকতে আৰম্ভ হৈ ছিল। ১৯৯০-ৰ দশকত চিডি (কমপেক্ট ডিস্ক) আৰু পাছলৈ ডিভিডি |
710 |
(ডিজিটেল ভাৰ্ছেটাইল ডিস্ক) আৰু অতি শেহতীয়া ভাৱে 'ব্লু-ৰে' ৰূপতো উপলব্ধ হৈছে। চলচ্চিত্ৰ নিৰ্মাণৰ কেমেৰাৰে ছবি তোলা কাৰ্য্যক ছুটিং (Shooting) বা ফিল্মিং (Filming) বুলি কোৱা হয়। ৰূপালি পৰ্দা (Silver Sc |
711 |
reen) শব্দৰেও চলচ্চিত্ৰক বুজোৱা হয়। আজিকালি এই শব্দৰ প্ৰয়োগ ঘাইকৈ পুৰণি দিনৰ ছবিৰ বাবে ব্যৱহাৰ কৰা হয়। চলচ্চিত্ৰৰ ফ্ৰেমৰ দীঘ আৱু প্ৰস্থৰ অনুপাত অনুসৰি মূলতঃ দুটা ভাগত ভগোৱা হয়--'ৱাইডস্ক্ৰীন' (Wides |
712 |
creen) বা 'চিনেমাস্কোপ' (Cinemascope) আৰু ৩৫ মিমি.। চিনেমাস্কোপ পদ্ধতিত প্ৰস্থ আৰু দৈৰ্ঘৰ অনুপাত ১৬:৯ আৰু ৩৫ মিমি-ত ৪:৩ ৰখা হয়। ইয় াৰ বাহিৰেও অন্যান্য অনুপাতো আছে যদিও এই দুবিধেই বহুল ভাৱে ব্যৱহাৰ কৰ |
713 |
া হয়। চিনেমাস্কোপ পদ্ধতিত ছবি তোলোতে ডাঙৰ আকাৰৰ (১৬:৯ অনুপাতৰ) ফিল্ম ব্যৱহাৰ কৰা হয়, কিন্তু সেই ফিল্মক এনাম'ৰ্ফিক (Anamorphic) পদ্ধ তিৰে ৩৫ মিমিলৈ সলনি কৰি প্ৰজেক্টৰত এনাম'ৰ্ফিক লেন্স ব্যৱহাৰ কৰি আকৌ |
714 |
১৬:৯ অনুপাতত পৰিবৰ্ধিত কৰিব পাৰি। সাধাৰণতে এই পদ্ধতিৰে একেটা প্ৰজেক্টৰত মাত্ৰ লেন্স সলনি কৰিয়েই দুয়োবিধ অনুপাতৰ ছবি প্ৰদৰ্শন কৰিব প াৰি। দৈৰ্ঘ্য অনুসৰি চলচ্চিত্ৰক 'কাহিনী দৈৰ্ঘৰ ছবি' (Feature length |
715 |
film), 'চুটি ছবি' (Short film) এই দুটা ভাগত ভগোৱা হয়। দুয়োটাৰে কোনো নিৰ্দিষ্ট সময় সীমা বন্ধা নাই যদিও কাহিনী দৈৰ্ঘৰ ছবি ১:৩০ ঘ ণ্টাতকৈ দীঘল আৰু চুটি ছবি আধা ঘণ্টাতকৈ দীঘল কৈ বনোৱা হয়। প্ৰচলিত ষ্টু |
716 |
ডিঅ' ব্যৱস্থাৰ বাহিৰত নিৰ্মিত ছবিক 'স্বাধীন ছবি' (Independent Film) বোলা হয়। পূৰ্বদৰ্শন (Preview) প্ৰধান প্ৰবন্ধ: চলচ ্চিত্ৰ পূৰ্বদৰ্শন দৰ্শকৰ বা মুকলি কৰি দিয়াৰ আগতে নিৰ্বাচিত দৰ্শকক ছবিখন দেখুওৱা হ |
717 |
য়। সাধাৰণতে পৰিবেশক, উদ্দেশ্যিত দৰ্শক বা বিশেষ গোটত ছবিখন দেখুওৱা হয়, যাতে তেওঁলোকৰ মতামত জানিব পৰা যায়। এই গোট ৰ সহাঁৰিলৈ লক্ষ্য ৰাখি ছবিখনৰ কেতিয়াবা সালসলনিও ঘটোৱা হয়। ট্ৰেইলাৰ (Trailer) প্ৰধান |
718 |
প্ৰবন্ধ: চলচ্চিত্ৰ ট্ৰেইলাৰ নিৰ্মিত চলচ্চিত্ৰ এখনৰ বিজ্ঞাপনৰ বাবে ছবিখনৰ দৃশ্যাংশৰ টুকুৰা ছবিএখন ৰাইজৰ বাবে মুকলি কৰি দিয়া হয়। ইয়াকে ট্ৰেইলাৰ বোলা হয়। আগতে মূল ছবিৰ শেষত এই অংশটো দেখুওৱা হৈছিল বাবে |
719 |
ইয়াক ট্ৰেইলাৰ (ইং: Trail শব্দৰপা অহা) বোলা হৈছিল। আজিকালি অৱশ্যে ট্ৰেইলাৰ ছবিৰ আগতে বা মাজৰ 'বিৰাম'ৰ সময়ত দেখুওৱা হয়। এতিয়া ট্ৰেইলাৰখনত ছবিৰ দৃশ্যাংশৰ বাহিৰেও আন সমলো কেতিয়াবা সংযোগ কৰা হয়। শিক্ |
720 |
ষামূলক আৰু বিশেষ উদ্দেশ্যৰ চলচ্চিত্ৰ মনোৰঞ্জনৰ বাহিৰেও চলচ্চিত্ৰ শিক্ষমূলক বা বিশেষ উদ্দেশ্যধ ৰ্মীও হ'ব পাৰে। যেনে কোনো বিশেষ বিষয়ৰ ওপৰত দিয়া বক্তৃতাৰ ছবি, কোনো এটা বিষয়ৰ জ্ঞান দিয়াৰ বাবে নিৰ্মিত ছ |
721 |
বি, ইত্যাদি। চলচ্চিত্ৰক কেতিয়াবা বিশেষ উদ্দেশ্য পূৰণ কৰিবৰ বাবেও নিৰ্মাণ কৰা হয়। যুদ্ধৰ সময় ত দেশবাসীক উদ্বুদ্ধ কৰিবলৈ, বিশেষ পন্থাৱলম্বী গোটে আন মানুহক নিজৰ গোটত যোগ দিয়াবলৈ এনে চলচ্চিত্ৰ নিৰ্মাণ |
722 |
কৰে। টোকা অলিম্পাস মনসˌ মাউন্ট অলিম্পাস এর লাতিন শব্দ) মঙ্গল গ্রহের একটি বিশাল ঢাল আগ্নেয়গিরি। মার্স অরবিটার লেজার অ্যালটিমিটার দ্বারা পরিমাপ করা আগ্নেয়গিরিটির উচ্চতা . কিমি. মাইল বা , ফুট)। অলিম্পাস মনস সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতার প্রায় আড়াই গুণ। এটি সৌরজগৎের বৃহত্তম এবং সর্বোচ্চ পর্বত এবং আগ্নেয়গিরি, এবং মঙ্গল গ্রহের একটি বৃহৎ আগ্নেয়গিরি অঞ্চল থারসিস মন্টেসের সাথে যুক্ত।. |
723 |
ফ্রান্স নামটি লাতিন ফ্রান্সিয়া নাম থেকে এসেছে, যার আক্ষরিক অর্থ ফ্রাংকদের রাজ্য। আদিতে নামটি সমগ্র ফ্রাঙ্কীয় সাম্রাজ্যকে বোঝাতে ব্যবহৃত হত। সাম্রাজ্যটি দক্ষিণ ফ্রান্স থেকে পূর্ব জার্মানি পর্যন্ত বিস |
724 |
্তৃত ছিল। পটভূমি ৮৪৩ সালে ভের্দুন-এর চুক্তিতে ফ্রাঙ্কীয় সাম্রাজ্যকে প্রথমে তিন ভাগে এবং শেষ পর্যন্ত দুই ভাগে ভাগ করে দেয়া হয়। এগুলির নাম ছিল পশ্চিম ফ্রাংকরাজ্য ও পূর্ব ফ্রাংকরাজ্য। পূর্ব ফ্রাংকরাজ |
725 |
্যের শাসকেরা ফ্রাংকীয় সাম্রাজ্য পুনর্গঠন করতে চাইছিলেন। তারা পূর্ব ফ্রাংকরাজ্য নাম বর্জন করেন এবং তাদের রাজ্যের নাম দেন পবিত্র রোমান সাম্রাজ্য। কিন্তু পশ্চিম ফ্রাংকরাজ্যের শাসকেরা এটা মেনে নেননি এবং প |
726 |
শ্চিম ফ্রাংকরাজ্যকে পবিত্র রোমান সাম্রাজ্য থেকে পৃথক ও স্বাধীন একটি রাজ্য হিসেবে রক্ষা করেন। ১২১৪ সালে বুভিনের যুদ্ধে পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের পশ্চিম ফ্রাংকরাজ্য তথা বর্তমান ফ্রান্স অঞ্চল দখলের প্রচেষ্ |
727 |
টার অবসান হয়। যেহেতু পূর্ব ফ্রাংকরাজ্য বলে আর কোন কিছুর অস্তিত্ব ছিল না, সেকারণে পশ্চিম ফ্রাঙ্করাজ্যের অধিবাসীরাও নিজেদের দেশকে কেবল "ফ্রান্সিয়া বলে ডাকা শুরু করে। বর্তমান ফ্রান্স রাষ্ট্রটি তাই পশ্চ |
728 |
িম ফ্রাংকরাজ্য হিসেবেই ৮৪৩ সালে যাত্রা শুরু করেছিল। উল্লেখ্য যে জার্মান ভাষাতে এখনও ফ্রান্সকে ফ্রাংক্রাইশ নামে ডাকা হয়, যার আক্ষরিক অর্থ "ফ্রাঙ্কদের রাজ্য"। ফ্রাংকেরা বর্তমান ফ্রান্স অঞ্চলে যখন পদার |
729 |
্পণ করেছিল, তখন লাতিন ভাষাতে এর নাম ছিল গাল্লিয়া। আধুনিক ইংরেজিতে এটি গল এবং আধুনিক ফরাসিতে Gaule গোল্ নামে পরিচিত। ১৮শ শতক পর্যন্তও ইউরোপের লাতিনভাষী অভিজাত শ্রেণীর লোকজন এলাকাটিকে গাল্লিয়া বা গল ন |
730 |
ামেই ডাকত। কিন্তু আধুনিক যুগে এসে গল নামটি প্রায় সম্পূর্ণ অব্যবহৃত। বর্তমানে গ্রিক ও ব্রেটন ভাষা ছাড়া বাকী প্রায় সব ভাষাতে অঞ্চলটি ফ্রান্স বা এ জাতীয় নামেই পরিচিত।. কানুন ফিততিব আরবি ইবনে সিনা |
731 |
রচিত চিকিৎসা বিষয়ক বিশ্বকোষ। তিনি ১০২৫ সালে এটি সমাপ্ত করেন। এতে সে সময়কার চিকিৎসা বিষয়ক জ্ঞানের সারাংশ লিপিবদ্ধ রয়েছে। এটি আরবি ভাষায় রচিত। পরবর্তীতে এটি অন্য ভাষা যেমন ফারসি ল্যাটিন চাইনিজ হিব্র |
732 |
ু জার্মান ফরাসি ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে এটিকে সবচেয়ে বিখ্যাত বইগুলোর মধ্যে অন্যতম বিবেচনা করা হয়।. ভবন ইংরেজি একটি পরিবর্তনশীলতা-সমর্থক দার্শনিক শব্দবিশ্ব। এর উদ্গাতা হলেন স |
733 |
ক্রেটিস পূর্ব গ্রিক দার্শনিক হেরাক্লিটাস যা ইলিয়াটিকস মতবাদের বিরোধী একটি দর্শনমত। ইতিহাস হিরাক্লিটাস ভবন সম্পর্কে বিষদ আলোচনা করেছেন। এবং পরবর্তীতে তিনি পরমাণু আন্দোলন বিষয়েও ভবন সম্পর্কে বক্তব্য র |
734 |
াখেন। তত্ত্ববিদ্যা হিরাক্লিটাসের মতে, গতি ও পরিবর্তনই সত্য। জগতের সবকিছুই পরিবর্তনশীল। কোনো কিছুই স্থির নয়। প্রত্যেক বস্তুই পরিবর্তন ও রূপান্তরের মধ্য দিয়ে নিত্য রূপ ও আকার ধারণ করছে। তার মতে, “একই ন |
735 |
দীতে দু’বার গোসল করা অসম্ভব। এমনকি একবারও সম্ভব নয়। কারণ, স্রোতের অংশ বিশেষ স্পর্শ করার পূর্বেই সে স্রোত বাহিত হয়ে যায়”। সৃষ্টিনিয়মও অনুরূপ। পলকে-পলকে প্রলয় ঘটছে। দু’মুহূর্তের অবস্থা এক হতে পারে ন |
736 |
া। সবকিছু নিত্য চঞ্চল, বহমান ও পরিবর্তনশীল। একই সূর্য প্রতিদিন উদয় হয় না, অস্তও যায় না। প্রতিদিন নিত্য-নতুন সূর্যের উদয় হয়। নদীর উত্তাল তরঙ্গ মুহূর্তে-মুহূর্তে পরিবর্তিত হচ্ছে।. |
737 |
মনোরোগ বিজ্ঞান বা মানসিক রোগ বিজ্ঞান' হচ্ছে মানসিক রোগের চিকিৎসা বিষয়ক অধ্যয়ন। এই অধ্যয়নে মানসিক রোগের ব্যাপ্তি মূল কারণ প্রতিকার ও প্রতিরোধের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। অন্যদিকে মনোবিজ্ঞান বা মনস্তত্. |
738 |
ত্ব বিষয়ে সাধারণত মনের বিষয়ে অধ্যয়ন করা হয়। মনোরোগ বিজ্ঞান অধ্যয়ন করে এই বিভাগের চিকিৎসা প্রদানকারীদেরকে 'মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ বলা হয়। শব্দটি প্রথমে ব্যবহার করেছিলেন সালে জার্মান চিকিৎসক 'জোহান খ্. |
739 |
রিষ্টান রেইল শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে মনোরোগ বিদ্যা। সাধারণত মানসিক রোগ নির্ণয়ের জন্য রোগীর রোগ সমূহ ও অন্যান্য প্রাসংগিক তথ্য আহরণ করা হয় ও 'মানসিক স্থিতির পরীক্ষণ করা হয়। কিছুক্ষেত্রে মনোবৈজ্ঞান. |
740 |
িক পরীক্ষার সহায়তা নেওয়া হয়। এইভাবে রোগ চিনে নেওয়ার পরে তার চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি যেমন ঔষধ ব্যবহারিক চিকিৎসা মনোবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা বৈদ্যুতিক মৃগী সৃষ্টি সংক্ষেপে ইত্যাদি বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহা. |
741 |
র করা হয়। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রকাশ করেছে যে মানসিক রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। ইতিহাস মনোরোগ বিজ্ঞান ইতিহাস বহু পুরানো হলেও শব্দটি প্রথম প্রকাশ করা হয় ১৮০৮ সালে জোহান খ্রিষ্টান. |
742 |
রেইল এর দ্বারা। ঊনবিংশ শতকে চিকিৎসালয়ের ধারণা গড়ে ওঠার পরে মনোরোগ বিজ্ঞান বিষয়টি গড়ে উঠে। মনোরোগ বিজ্ঞানকে আধুনিক বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা আরম্ভ করা হয় ১৮ শতকের পর থেকে। তার আগে মানসিক রোগকে. |
743 |
বিভিন্ন ভূত প্রেত অপদেবতার প্রকোপ বা ভগবানের শাস্তি বলে ভাবা হত। তবুও মানসিক রোগের বিষয়ে কমবেশি অধ্যয়নের আভাস বহু আগে থেকেই পাওয়া গেছে। প্রাচীন যুগ খ্রীস্টপূর্ব পঞ্চম শতকের থেকেই মানসিক রোগের বিষয়. |
744 |
ে তথ্য উল্লেখ আছে যদিও সেটি কোনো রোগের লক্ষণ বলে মনে করে ভগবানের শাস্তি বা অপদেবতার প্রকোপ হিসাবে উল্লেখ আছে। মানসিক রোগকে ঈশ্বরের অভিশাপ হিসাবে ধরা হত যার ফলে এর চিকিৎসার জন্য সাধারণত পুরোহিতরা ঝাড় ফ. |
745 |
ুঁকের বিধান দিত। বাইবেলে উল্লিখিত নেবুচাডনেজ্জারের কাহিনীটি এই বিষয়ক প্রথম উল্লেখ বলে মনে করা হয়। নেবুচাডনেজ্জারের ঐতিহাসিক শাসনকাল খ্রী.পূ. ৬০৫ ৫৬২ বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই উল্লেখ যদি সত্য হয় তবে এ. |
746 |
টি মানসিক রোগের প্রথম লিখিত বিবরণী হবে। খ্রী পূ চতুর্থ শতকের হিপোক্রেটিস এর লেখনীতে বিষাদগ্রস্ততা ১৮০৮ ও হিস্টিরিয়া র উল্লেখ আছে। হিপোক্রেটিস এই দুই মানসিক রোগের কারণও ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করেছিলেন। অ. |
747 |
বশ্য সেই ব্যাখ্যা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত হয়নি। লক্ষ্যণীয় যে 'প্রাচীন যুগ'এ মানসিক রোগকে এক প্রকার রোগ হিসাবে ধরে নিয়ে চিকিৎসা করার চেষ্টা করা হয়েছিল যদিও 'মধ্য যুগ'এ সেই ধারা বদলে যায়। মধ্য যুগ ম. |
748 |
ানসিক রোগীর জন্য বিশেষ চিকিৎসালয়ের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ৭০৫ খ্রীস্টাব্দের বাগদাদ এ। প্রায় সমসমায়িক অন্য দুটি এমন চিকিৎসালয়র কথা জানা যায় ফেস ও কায়রো তে। দশম শতকের পার্সি চিকিৎসক মহম্মদ বিন জা. |
749 |
কারিয়া রাজি মনস্তাত্ত্বিক ও ভেষজ দুই ধরনের ব্যবস্থার মাধ্যমেই মানসিক রোগ চিকিৎসা করার প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। তখনকার সমসাময়িক আরব চিকিৎসক নজব উদ দিন আহমেদ' মানসিক রোগসমূহকে শ্রেণী বিভাগ করার চেষ্টা ক. |
750 |
রেছিলেন। একাদশ শতকে অন্য একজন পার্সি চিকিৎসক আবু আল হুসেইন ইবন আব্দুল্লা ইবন সিনা পাশ্চাত্যে 'আভিসেনা নামে পরিচিত ধমনীতে রক্তের গতির সাথে আবেগ এর সংযোগ লক্ষ্য করেন। ৪ তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ তে মা. |
751 |
নসিক রোগের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এতে যৌন সমস্যা প্রেমজনিত রোগ অহেতুক বিশ্বাস মৃগী নিদ্রাহীনতা বিষাদগ্রস্ততা একাংগী স্মৃতিবিলোপ ইত্যাদির বিষয়ে আলোচনা অগ্রসর হয়েছে। ১১ ও ১৩ শতকে প্রথমে ইউরোপ এ মা. |
752 |
নসিক রোগীদের জন্য ' পাগলাগারদ 'এর প্রচলন হয়। এই পাগলাগারদ সমূহ মানসিক রোগীর জন্য জেলের মতো ছিল যাতে তাঁরা সাধারণ মানুষের শান্তিভংগ করতে না পারে। ১৩ শতকে স্থাপিত হয়েছিল লন্ডনের বিখ্যাত সংক্ষেপে. |
753 |
। ১৯৪৮ সাল থেকে এই চিকিৎসালয়টি চালু হয়েছিল। ফিলিপ পিনেল কে আধুনিক মনোরোগ বিজ্ঞানের জনক বলা হয়। আধুনিক যুগের প্রথমে ১৬৫৬ খ্রীস্টাব্দে ফ্রান্সর চতুর্দশ লুই মানসিক রোগের চিকিৎসার জন্য প্রথম একটি চিকিৎ. |
754 |
সালয় স্থাপন করেন। ইংলণ্ডে ১৭৫৮ সালে 'উইলিয়াম বেটি' প্রথম মানসিক রোগীদেরকে চিকিৎসার সাথে সহৃদয়তা ও সমবেদনার সাথে দেখা হোক এই ধারণার বিষয়ে বলে গিয়েছিলেন। ৮ ১৭৯৮ সালে ইংল্যান্ড এর. |
755 |
রাজা তৃতীয় জর্জর মানসিক বিকার ভাল হওয়ার পরে 'মানসিক রোগ উপশম হতে পারে' এই বিশ্বাস প্রথমে গড়ে ওঠে। ২ এই বিশ্বাসের ভিত্তিতে মানসিক রোগের চিকিৎসালয়ের প্রসার ঘটে সমগ্র ইউরোপে। অবশ্য চিকিৎসালয় বলা হল. |
756 |
েও তাতে চিকিৎসার জন্য বিশেষ কিছু করা ছিল না। কারণ মানসিক রোগের চিকিৎসা সেই সময় করার কোনো উপায়ই ছিল না। চিকিৎসালয়সমূহে রোগীকে সাধারণত বেঁধে রাখা হত। রোগীকে বন্ধন থেকে মুক্ত করার পোষকতা করা প্রথম ব্য. |
757 |
ক্তি ছিলেন ' ফিলিপ পিনেল ' । তিনি ১৭৯৩ সালে প্যারিস এর 'বিয়েট্রি' / চিকিৎসালয়র রোগীদেরকে আবদ্ধ করে রাখার নিয়ম বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পিনেলের এই কাজকে মানসিক রোগ বিজ্ঞ. |
758 |
ানের সাথে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের এক মাইলফলক বলে গণ্য করা হয়। তাঁকে ' মনোরোগ বিজ্ঞানের জনক ' বলে অভিহিত করা হয়। ২ রোগীকে বন্ধন মুক্ত করে সাধারণ মানুষের মতো চিকিৎসা করতে সাহায্য করা তাঁর মতবাদকে 'মা. |
759 |
নবীয় চিকিৎসা' নাম দেওয়া হয়েছিল। অবশ্য এই মতবাদ সম্পূর্ণরূপে পিনেলের সৃষ্টি ছিল না। এই মতবাদের সঙ্গে ' জঁ বাপ্টিস্ট পুসি ' র অবদানের কথা তিনি নিজে. |
760 |
ই উল্লেখ করে গেছেন। পিনেল মানসিক রোগীদের লক্ষণ সমূহ অধ্যয়ন করার ক্ষেত্রে জোর দেন। এই ধারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই কারণেই যে আজও মানসিক রোগের নিদানের জন্য লক্ষণের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎস. |
761 |
া বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখায় রোগের নিদান রোগের কারণের উপর ভিত্তি করে করা হয়। মানসিক রোগের কারণসমূহ এখনও বিশদভাবে জানা যায়নি এজন্য এই ব্যবস্থা এখনও মেনে চলা হচ্ছে। পিনেলের এই অবদান পরবর্তীতে মানসিক রোগ. |
762 |
ের শ্রেণীবিভাগ করতে বিশেষ আগ্রহ যোগায়। পিনেলের আদর্শ আনুধাবন করে ' উইলিয়াম টুক ' ইংল্যান্ড এ 'ইয়র্ক রিট্রিট' নামক এক মানসিক রোগ চিকিৎসার প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। ২ এক. |
763 |
ই আদর্শে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ ব্রেটেলবোরো ও হার্টফোর্ড রিট্রিট বর্তমান নাম গড়ে তোলা হয়। পিনেলের কাজই মানসিক রোগ চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন চিন্তার ব. |
764 |
িকাশ ঘটায়। উনবিংশ শতক পিনেলের আদর্শে গড়ে ওঠা মানসিক রোগ চিকিৎসালয়ের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে এবং ঊনবিংশ শতকের শেষ ভাগে সমগ্র পৃথিবীতে এরকম চিকিৎসালয় গড়ে ওঠে। ৯ উল্লেখনীয় যে এমন চিকিৎসাল. |
765 |
য় সংখ্যায় অসংখ্য ও সেখানে রোগীকে মানবীয় দৃষ্টিভঙ্গীতে রাখা হ'লেও প্রকৃত চিকিৎসার নামে তেমন কোনো বিকাশ ছিল না। ১০ এই প্রতিষ্ঠানগুলিকে চিকিৎসালয় বলা হলেও সাধারণত 'পাগলাগারদ' বলে ডাকা হত৷ তথ. |
766 |
াপি এই চিকিৎসালয়গুলি মনোরোগ বিজ্ঞানের বিকাশে বিশেষ অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছিল কারণ এই প্রতিষ্ঠান মানসিক রোগী অধ্যয়ন করতে সুবিধা প্রদান হত৷ 'পাগলাগারদ'গুলি নিয়ন্ত্রণ করত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ এবং মানসিক. |
767 |
রোগ বিষয়ে আগ্রহী লোকদেরকে রোগী অধ্যয়নের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ১১ এই বিষয়ে অনেকটা অগ্রণী দেশ ছিল জার্মানী । সেই জন্যই এইসব রোগীর লক্ষণ বর্ণনা বিষয়ে জার্মান ভাষার শব্দ বিদ্যমান। ১২ এই রাসায়নিক ছ. |
768 |
িল 'এসিটাইলকোলিন' : । ইহা মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষের মধ্যে বার্তাবাহকর কাজ করে। অর্থাৎ একটা কোষ অন্য একটা কোষকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই রাসায়নিকের সহায়তা নেয়। এই আবিষ্কার মস্তিষ্কের. |
769 |
কার্য প্রণালী বুঝতে একটি নতুন দিকের জন্ম দেয়। দৃশ্যমান অসংগতি না থেকেও যে মস্তিষ্কের কার্য্য প্রণালী ব্যাহত হতে পারে তাকে সফলভাবে ব্যাখ্যা করতে সমর্থ হয়। ফ্রয়েডের তত্ত্ব অস্বাভাবিক জনপ্রিয়তা অর্জ. |
770 |
ন করতে সক্ষম হয়। একই সঙ্গে ফ্রয়েডের তত্ত্বের বিভিন্ন অনুসিদ্ধান্তের মাধ্যমে সকল মানসিক রোগকে ব্যাখ্যা করার প্রয়াস করা হয়। অবশ্য এই প্রচেস্টা সম্পূর্ণ সফল হয় নি। এই তত্ত্বের দ্বারা নিউরোসিসের বিষয়. |
771 |
ে কিছু ব্যাখ্যা দেওয়া গিয়েছিল এবং মনোবিশ্লেষণ চিকিৎসাও করা হয়েছিল। একইভাবে কিছু সংখ্যক ব্যবহারিক মনোবিজ্ঞানের নিয়মের মাধ্যমে মানসিক রোগ চিকিৎসা করার প্রয়াস করা হয়েছিলো। তখন সাইকোসিসের একটিও ব্যাখ. |
772 |
্যা অগ্রগামী ছিল না। উনবিংশ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত মনোরোগ বিজ্ঞান মূলতঃ ফ্রয়েডীয় ও ব্যবহারিক মনোবিজ্ঞানের ধারণায় পরিপুষ্ট ছিল। নিউরোসিস রোগীদেরকে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হত। অন্যদিকে সহায়তা করতে না. |
773 |
পেরে সাইকোসিসের রোগীদের পাগলাগারদে রাখা হত। তাতে তাঁদের জন্য বিশেষ কোনও ব্যবস্থা ছিল না। বিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ বিংশ শতকের প্রথমার্ধে মনোরোগের চিকিৎসার জন্য মোটামুটি দুটো পদ্ধতি ছিল। ফ্রয়েড ও উত্তরস. |
774 |
ূরীদের 'মনোবিশ্লেষণ' অন্যদিকে ' ব্যবহারিক মনোবিজ্ঞান ' এর 'ব্যবহারিক চিকিৎসা ' । এই দুইটি পদ্ধতিতে মোটমাট নিউরোসিস রোগের চিকিৎসার বন্দোবস্ত ছিল। 'পাগল' বলে সাধারণ. |
775 |
ভাবে অভিহিত করা 'সাইকোসিসের রোগীদের চিকিৎসার বিশেষ ফলপ্রসূ উপায় ছিল না। থাকা উপায় সমূহ ছিল 'ইলেক্ট্রো' কনভালসন থেরাপি''ইনসুলিন কমা থেরাপি' ইত্যাদি। কিন্তু এই চিকিৎসাসমূহের দ্বারাও দীর্ঘকালীন সাফল্য প. |
776 |
াওয়া সম্ভব ছিল না। সেইসময় রোগীকে মানসিক চিকিৎসালয়ে রেখে যাওয়ার পর বাইরে নিয়ে আসার কোন উপায় ছিল না। কিন্তু ১৯৫০ সালে হওয়া একটি অভিনব আবিষ্কাে এই অবস্থার আমূল পরিবর্তন সাধন করে। ১৯৫০ সালের ১১ ডিস. |
777 |
েম্বর তারিখে ফ্রান্সের 'রইন পোলে কোম্পানী' 'প্রোমেথাজিন' নামক রাসায়নিকের আণবিক গঠনের কিছু পরিবর্তন করে একটি নতুন রাসায়নিক প্রস্তুত করে। রসায়নবিদ 'পল চারপেণ. |
778 |
্টিয়ার' এর প্রস্তুত করা এই ঔষধটির নাম দেওয়া হয়েছিল 'ক্লোরপ্রমাজিন'। এই ঔষধটি অ্যানেস্থেসিয়া র সহায়তাকারী ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন. |
779 |
্তু এর গুণাগুণ লক্ষ্য করে ' হেনরি লেগুলিট ' নামক একজন শল্য চিকিৎসক একে মানসিক অস্থিরতা কমাবার জন্য ব্যবহার করার প্রস্তাব দেন। এই ঔষধ দিয়ে ' ম্যানিয়া 'তে ভুগতে থাকা একজন রোগীকে তিন সপ্তাহ চিকিৎসার পরে. |
780 |
বাড়ি যাওয়ার উপযোগী করে তোলা হয়। এর গুণাগুণ লক্ষ্য করে ' পিয়ের ডেনিকার ' প্যারিস এর সেন্ট এনি হসপিটালকে ô মানসিক রোগের চিকিৎসার জন্য এর ব্যবহার করেন। এই ওষুধ. |
781 |
ের ক্রিয়া ছিল চমকপ্রদ। এগুলির বাইরেও এই ওষুধটি অন্যান্য লক্ষণ সমূহেরও উপশম করার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ করা হয়। খুব তাড়াতাড়ি এই ওষুধের প্রয়োগ বেড়ে যায়। ১৯৫৪ সালে আমেরিকায় কিছু মানসিক রোগের চিকিৎসার. |
782 |
জন্য একে ব্যবহার করতে নেওয়া হয়। এই ওষুধটির জন্যই প্রথমবারের জন্য পাগলাগারদে ভর্তি থাকা রোগীদের সুস্থ করে বাড়ি পাঠানো হয়েছিল। মানসিক রোগ চিকিৎসা বিজ্ঞানে ক্লোরপ্রোমাজিনোর আবিস্কার এক বৈপ্লবিক ঘটনা ব. |
783 |
লে অভিহিত করা হয়। সেই সময়েই এটি ওষুধের মধ্যে কম পার্শ্বক্রিয়া থাকা নতুন ওষুধ মানা হয়। এই নতুন ওষুধর মধ্যেই ' বিষাদগ্রস্ততা 'র ওষুধও পাওয়া যায়। ওষুধ আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে মানসিক রো. |
784 |
গের কারণ নির্ণয়ের জন্য একটি নতুন পথের সন্ধান পাওয়া যায়। সেটি হচ্ছে ওষুধটি কোন শারীরতন্ত্রে কীভাবে কাজ করে তার অধ্যয়ন করা। এই পদ্ধতির দ্বারা কয়েকটি মানসিক রোগে যে মস্তিষ্কের ভিতর নিউরোট্রান্সমিটারে. |
785 |
র কার্যপ্রণালীতে অসংগতির জন্যই মানসিক রোগ হয় তা জানা গেছে। কিন্তু এই অসংগতি কি এবং কীভাবে হয় তার সঠিক ব্যাখ্যা এখনো পর্যন্ত দেওয়া যায়নি। মানসিক রোগ চিকিৎসার কার্যকরী ওষুধ আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে মা. |
786 |
নসিক রোগ সম্পর্কে এক নতুন ধ্যান ধারণা আরম্ভ হয়। এমিল ক্রেপেলিন এ অগ্রণী ভূমিকায় 'মস্তিষ্কের বিকার' ধারণাটির পুনর্জন্ম হয় এবং বর্তমানের মনোরোগ বিজ্ঞান এই ধারণাতেই উদ্বুদ্ধ; অর্থাৎ মানসিক রোগসমূহ মস্ত. |
787 |
িষ্কে ঘটা কিছু জৈবিক প্রক্রিয়ার ফল। সেইজন্য এই ধারণাকে 'জৈবিক মনোরোগবিজ্ঞান' বলা হয়ে থাকে। কিন্তু সমস্ত মানসিক রোগের ক্ষেত্রে জৈবিক কারণ এখনো পূর্ণরূপে আবিষ্কার হয়নি। অন্যদিক. |
788 |
ে পরীক্ষা নিরীক্ষা থেকে একটি কথা জানা গিয়েছিল যে সকল জৈবিক প্রক্রিয়ার জন্যই মানসিক রোগ না হতেও পারে। মানসিক রোগের কারণের মধ্যে চারপাশের পরিবেশ বংশগতি এমনকি সমাজ ও শিক্ষারও প্রভাব থাকতে দেখা যায়। সেই. |
789 |
সব বর্তমান সমস্ত রোগের ক্ষেত্রে 'জৈব মনো সামাজিক নমুনা' প্রয়োগ করা হয়। ১৯৭৫ সালে ' জর্জ এঞ্জেল ' এর. প্রবর্তন করা এই মতবাদ অনুসারে যেকোনো রোগের লক্ষণ ও তার চিক. |
790 |
িৎসার সাথে তিনটে ধারণা একসাথে নিহিত হয়ে থাকে। 'রোগের জৈবিক কারণ' 'রোগে ভুগতে থাকা ব্যক্তির মানসিক ধারণা' ও 'সমাজটির রোগ ও রোগীর প্রতি পোষণ করা ধারণা' এই তিনটি বস্তুও রোগটির লক্ষণ ও চিকিৎসার সেই অসুখটি. |
791 |
নির্ণয় করে। সেইসব রোগের উপশমের জন্য ওষুধ দেওয়ার বাইরেও চিকিৎসককে রোগীর মানসিক সামাজিক আধ্যাত্মিক ধ্যান ধারণার প্রতিও দৃষ্টি রাখা দরকার। বর্তমান মানসিক রোগ চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই তিনটি কারকের উপর কাজ ক. |
792 |
রার প্রয়াস করা হয়। মানসিক রোগ মানসিক রোগ বলেলে সাধারণতে মস্তিষ্কের বিকার ঘটে অদ্ভুত আচরণ করাটিকে ধরে নেওয়া হয় যদিও এটি আসলে মানসিক রোগের একটি ছোট অংশ। সংজ্ঞা অনুসারে মানসিক রোগ হল যেকোনো এমন অসুখ. |
793 |
যার জন্য একজন ব্যক্তির দৈনন্দিন কাজ কর্মে হানি ঘটে অসুখ হয় এবং সেই অসুখসমূহ অন্য কোনো রোগ বা দ্রব্যের প্রয়োগ বা পরিস্থিতির দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায় না। এই সংজ্ঞা অনুসারে একজন মানুষের আচার ব্যবহারে হ. |
794 |
ওয়া পরিবর্তন চিন্তা চর্চায় হওয়া পরিবর্তন তাঁর অনু্ভূতিতে হওয়া পরিবর্তন অতি মাত্রায় নেশাযুক্ত দ্রব্য ব্যবহার করা বুদ্ধি ও স্মৃতি শক্তির হীনতা কিছু শারীরিক লক্ষণ যাকে অন্যান্য রোগের দরুন ব্যাখ্যা কর. |
795 |
তে যায় না ইত্যাদি বহু ধরনের মানসিক রোগ দেখা দিতে পারে। কিন্তু মানসিক রোগ সনাক্তকরণের জন্য উপর্যুক্ত দৈনন্দিন জীবনের অসুখ হওয়াটি প্রয়োজনীয়। খাদ্যাভাসের পরিবর্তন যৌন সমস্যা মানসিক দৃঢ়তার অভাব ইত্যাদ. |
796 |
িও মানসিক রোগের লক্ষণ হতে পারে। মানসিক রোগের শ্রেণী বিভাগ এমিল ক্রেপেলিন প্রথম মানসিক রোগের শ্রেণীবিভাজন আরম্ভ করেন। তিনি এর জন্য রোগের লক্ষণ ও দৈর্ঘ্যের রোগটি কতদিন ধরে চলতে থাকে উপর ভিত্তি করেছিলে. |
797 |
ন। তিনি মূলত মানসিক রোগকে দুটি ভাগে ভাগ করেছিলেন 'সাইকোসিস' ও 'নিউরোসিস'। যেসব রোগে মানুষজন নিজেই বুঝতে পারে যে সে কোনও একটি মানসিক অসুখে ভুগছে সেগুলিকে বলা হয় 'নিউরোসিস' এবং যেসব রোগে রোগী নিজের মা. |
798 |
নসিক অবস্থাকে বুঝতে পারে ননা সেগুলিকে 'সাইকোসিস' বলে। উদাহরণস্বরূপ 'মানসিক অশান্তি' 'বিষাদগ্রস্ততা' একটি 'নিউরোসিস'। কারণ এই দুটিতে ভুক্তভোগী নিজেই বুঝতে পারে যে তাঁর মানসিক জগতে. |
799 |
একটি অসুখ হচ্ছে। অন্যদিকে 'স্কিজোফ্রেনিয়া' রোগে মানুষজন অদ্ভুত আচরণ করে কিন্তু তাঁরা নিজে বুঝতে পারে না যে তাঁরা কোন্ অসুখে ভুগছে। এইসব রোগসমূহকে 'সাইকোসিস' বলা হয়। এখনো পর্যন্ত 'সাই. |
800 |
কোসিস' বা 'নিউরোসিস' বিভাজনকে তেমন গুরুত্ব দিয়ে নেওয়া হয়নি। কারণ দেখা গেছে যে এসব মানসিক অবস্থা বুঝতে পারা বা না পারা অন্য বহু কারকের উপর নির্ভর করে। যেমন একটি সমাজে প্রচলিত নীতি নিয়মের ভিত্তিতে রো. |
801 |
গটিকে মানুষ অন্যান্য ধরণেও ব্যাখ্যা করতে পারে। যেমন ভারতীয় উপমহাদেশে অনেক মানসিক রোগকে অপদেবতার কাণ্ড বলে ভাবা হয়। সেইসব মানুষজন নিজেও এমন হলে সেটিকে মানসিক অসুখ না বলে বহিরাগত শক্তির দরুন হওয়া বলে. |
802 |
ভেবে নেওয়া হয়। মানসিক রোগের আন্তর্জাতিক শ্রেণীবিভাগ মূল প্রবন্ধ: রোগের আন্তর্জাতিক শ্রেণীবিভাগ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রবর্তন করা 'রোগের আন্তর্জাতিক শ্রেণীবিভাজন' এর :. |
803 |
দশম সংস্করণের নিয়মাবলীতে মানসিক রোগসমূহকে '' অধ্যায়ে রাখা হয়েছে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের 'আমেরিকান সাইকিয়াট্রিস্ট এসোসিয়েসন' এ প্রবর্তন করা . |
804 |
এর চতুর্দশ সংষ্করণ মানসিক রোগ শ্রেণীবিভাজনের অন্য একটা বহুল ব্যবহৃত শ্রেণী বিভাজনের নিয়ম। এই নিয়ম অনুসারে মানসিক রোগসমূহকে লক্ষণ ও 'দৈর্ঘ্য'র রোগটি কতদূর প্র. |
805 |
সারিত উপর ভিত্তি করে ভাগ করা হয়েছে। 'রোগের আন্তর্জাতিক শ্রেণীবিভাজন' এর : দশম সংস্করণ অনুসারে মানসিক রোগের শ্রেণী বিভাজন এই সংষ্করণে মানসিক রোগসমূহকে. |
806 |
পঞ্চম অধ্যায় '' র অধীনে রাখা হয়েছে। জৈবিক কারণে হওয়া মানসিক রোগ বা রোগের লক্ষণ মাদকযুক্ত দ্রব্য ব্যবহারের ফলে হওয়া মানসিক বা ব্যবহ. |
807 |
ারিক রোগ স্কিজোফ্রেনিয়া স্কিজোটিপাল ও ডেলুইসনাল রোগ আবেগ সম. |
808 |
্বন্ধীয় রোগ নিউরোটিক মানসিক চাপজনিত বা শরীরে লক্ষণ উৎপন্ন হওয়া রোগ ব্যবহার সম্বন্ধীয় রোগ যা সাধারণ দৈহ. |
809 |
িক ক্রিয়াতে প্রভাব ফেলতে পারে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিত্ব ও ব্যবহার সম্বন্ধীয় রোগ. |
810 |
মানসিক বিকাশের মন্থরণ মানসিক বিকাশ সম্বন্ধীয় রোগ শিশু বা কৈশোর অবস্থায় হওয়া ব্যবহারিক বা. |
811 |
আবেগ জনিত রোগ অনির্দিষ্ট মানসিক রোগ কয়েক জায়গায় এই চিহ্নটি দিয়ে. |
812 |
কিছু রোগকে বিশেষ শ্রেণীতে রাখা হয়েছে। যেমন: আলৎসহাইমারের রোগের কারণে হওয়া চিত্তভ্রংশ ' অন্য অধ্যায়ে উল্লেখিত রোগের ফলে হওয়া চিত্তভ্রংশ. |
813 |
মানসিক রোগসমূহর ব্যাপ্তি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুসারে প্রতি ৪ জনের ভিতর একজন মানুষ কোনো একটি মানসিক রোগের শিকার হয়। উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ মিলিয়ে. |
814 |
৪৫ কোটি মানুষ বর্তমানে মানসিক রোগে ভুগছেন। তার ১৫ কোটি ৪০ লাখ 'বিষাদগ্রস্ততা' ২ কোটি ৫০ লাখ 'সিজোফ্রেনিয়া' ৯ কোটি ১০ লাখ মদব্যবহারজনিত রোগ এবং ১ কোটি ৫০ লাখ অন্যান্য নেশাযুক্ত দ্রব্যজনিত রোগে ভুগ. |
815 |
ছেন। এই পরিসংখ্যান মতে মানসিক রোগের প্রাদুর্ভাব ডায়াবেটিস কর্কট রোগ ও হৃদযন্ত্রের রোগেও বেশি। মানসিক রোগসমূহে গোটা পৃথিবীতে সর্বাধিক প্রাদুর্ভূত রোগের তালিকার প্রথম দশটি স্থানের ভিতর পাঁচটিই অধিকার কর. |
816 |
ে আছে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র কানাডা ও পশ্চিম ইউরোপে সর্বাধিক প্রাদুর্ভূত রোগী হল মানসিক রোগ। মানসিক রোগ যেকোনো মানুষের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে। বয়স লিঙ্গ উপার্জনে তারতম্য ধর্ম বিশ্বাস ইত্যাদি ভেদে সমস. |
817 |
্ত লোকই মানসিক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এদের মধ্যে বেশি প্রাদুর্ভাব থাকা মানসিক রোগ কয়টি হচ্ছে বিষাদগ্রস্ততা সিজোফ্রেনিয়া মানসিক চাপজনিত সমস্যা ও নেশাযুক্ত দ্রব্যর ব্যবহার। মানসিক রোগ থেকে হওয়া ক্ষত. |
818 |
ি সমগ্র পৃথিবীতে প্রতিদিন গড়ে ৩০০০ ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা। প্রতিটি সফল আত্মহত্যার বিপরীতে ২০ টা অসফল আত্মহত্যার প্রচেষ্টা থাকে। উন্নত দেশে বিগত পাঁচ দশকে আত্মহত্যার হার ৬০% বৃদ্ধি পেয়েছে। এ. |
819 |
ই ধরনের আত্মহত্যা ১৫ ৩৪ বছর বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যুর ৩ নং কারণ। বর্তমানে বৃদ্ধদের আত্মহত্যার হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। মানসিক রোগের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতিও অনেক বেশি হয়ে থাকে। মানসিক রোগের জন্য একজন ব্যক্. |
820 |
তির কর্মকুশলতায় এবং সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে অশান্তির আবির্ভাব ঘটে। এইভাবে অর্থহানি হওয়া ছাড়াও মানসিক রোগের চিকিৎসাও খরচসাপেক্ষ। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে মানসিক রোগের চিকিৎসার নামে প্রতি বছরে ব্যয় হয. |
821 |
় ১৫০০০ কোটি ডলার। মানসিক রোগ রোগীকে মানসিক ভাবে পঙ্গু করে ফেলতে পারে। একটি দেশের গৃহহীন নাগরিকদের বৃদ্ধি নেশাযুক্ত দ্রব্যর সরবরাহ ইত্যাদি বিভিন্ন দিকে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে। এমন ক্ষতি সংখ্যা হিস. |
822 |
াবে প্রকাশ করা সহজ নয় যদিও এমন ক্ষতির পরিমাণ প্রভূত পরিমাণের হয় বলে মনে করা হচ্ছে। ১৩ মানসিক রোগের কারণ বিগত দশকে মানসিক রোগ চিকিৎসা বিজ্ঞানে যথেষ্ট পরিমাণে গবেষণা হয়েছে এবং তার দরুন নতুন নতুন তথ. |
823 |
্য বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু এর পরেও এখনো মানসিক রোগ কি কারণে হয় তার সম্পূর্ণ সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়া যায়নি। অবশ্য কয়েকটি কারণের কথা বেরিয়ে এসেছে। এমন কারক সমূহ নিচে আলোচনা করা হল। মনে রাখবেন যে এতে সামগ্. |
824 |
রিকভাবে মানসিক রোগের কারণর বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। কিন্তু যেহেতু মানসিক রোগ বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে তাই এই আলোচনা বিশেষ রোগের বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। প্রকৃতি বনাম প্রতিপালন.. |
825 |
বিভিন্ন সময়ে মানসিক রোগের কারণ সম্বন্ধে বিভিন্ন মত সামনে আনা হচ্ছে। এই সমগ্র কারণকে মূলতঃ প্রকৃতি ও প্রতিপালন সম্বন্ধীয় বিবাদ বলে আলোচনা করতে পারি। 'প্রকৃতি' মতবাদ অনুসারে মানসিক রোগ প্রাকৃতিক ঘটন. |
826 |
ার ফলে হয়। যেমন বংশগতির ফলে কোনো জীবাণুর আক্রমণে বা পরিবেশের অসমতার ফলে। অন্যদিকে 'প্রতিপালন' মতবাদ অনুসারে মানসিক রোগের মূল কারণ হচ্ছে বিকাশের সময়ে মূলত শৈশবে একজন ব্যক্তির লাভ করা প্রতিপালনের গুণ. |
827 |
াগুণের উপর যেমন রোগীর বাবা মা কি পরিবেশে ব্যক্তিটিকে ছোট থেকে বড়ো করেছিলেন। এই বিবাদের নিষ্পত্তির জন্য অনেক মানসিক রোগগ্রস্ত সন্তানের উপর গবেষণা চালানো হয়েছে। বিশেষত রোগগ্রস্ত সন্তান যার জিনের ক্রম. |
828 |
এক কিন্তু কোন্ কারণে আলাদা আলাদা তুলে নেওয়া হয়েছে বাবা মায়ের কাছে প্রতিপালন হচ্ছে তেমন রোগগ্রস্ত সন্তানের উপর। এমন গবেষণার থেকে দেখা গেছে যে প্রকৃতি ও প্রতিপালন দুটিই মানসিক রোগের কারণ হতে পারে এব. |
829 |
ং তাতে আগ্রহজনক ফলাফল দেখা গিয়েছিল যে আসলে প্রকৃতি ও প্রতিপালন দুটিই কোঠামাফিক হয়নি। আসলে প্রকৃতি প্রতিপালনকে প্রভাবান্বিত করতে পারে এবং এর ঠিক উল্টোটিও হওয়া সম্ভব। মানসিক রোগের কারক সমূহ বংশগতি:. |
830 |
কয়েকটি মানসিক রোগের ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে এই রোগ বংশগতি অনুসারে দেখা দিতে পারে। অবশ্য মানসিক রোগ বংশগতির সহজ নিয়ম যেমন ও মেনে চলে না। বরং মানসিক রোগ সৃষ্টিকারী. |
831 |
'জিন' সমূহ কয়েকটি জিনের সাথে মিলিতত হয়ে কাজ করতে পারে। বংশগতি বিজ্ঞানের ইত্যাদি মানসিক রোগের ক্ষেত্রে অধিক প্রযোজ্য। এটি বাবা মায়ের থাকলেই যে সন্তানে. |
832 |
রও এই রোগ হবে তা বলা যায় না। জীবাণুর সংক্রমণ কিছু মানসিক রোগ যেমন সিজোফ্রেনিয়া র ক্ষেত্রে দেখা যায় যে একটি বিশেষ ঋতুতে জন্ম হওয়া ব্যক্তির এই রোগ বেশি হয়। তার একটি কারণ হতে পারে সেই ঋতুতে প্রাদ. |
833 |
ুর্ভাব ঘটিত কোনো জীবাণুর ভাইরাস সংক্রমণের জন্য সেই মানুষের মস্তিষ্কের বিকাশে কোনো বাধার সৃষ্টি হতে পারে যার জন্য ভবিষ্যতে এই রোগ দেখা দিতে পারে। হরমোনের অসংগতি কিছু হরমোনের অসংগতির ফলে ব্যক্তির ব্য. |
834 |
বহারে পরিবর্তন হয়। উদাহরণস্বরূপ থাইরয়েড গ্রন্থির অধিক ক্রিয়ার ফলে আক্রান্ত মানুষজন অত্যধিক মানসিক চাপে ভুগতে পারে থাইরক্সিন প্রয়োজনের তুলনায় কম ক্ষরণ হলে রোগীর বিষাদগ্রস্ততার লক্ষণ দে. |
835 |
খা যায়। অন্যদিকে অধিক টেস্টোস্টেরন হরমোন ব্যক্তিটিকে বেশি আক্রমণাত্মক করে তুলতে পারে। সেইসব মানসিক রোগের ক্ষেত্রে হরমোনের ভূমিকাও এড়িয়ে যাওয়া যায় না। মস্তিষ্কের সংগঠনমূলক বিকৃতি মস্তিষ্কে থাকা গ. |
836 |
ঠনমূলক বিকৃতির জন্যও মানসিক রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। 'স্ট্রোক' মস্তিষ্ক থেকে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হওয়া বা মস্তিষ্কের ভিতর রক্তবাহী ধমনী ফাটার ফলে মস্তিষ্কের কোষে শক্তি না থাকা অবস্থা হওয়া. |
837 |
র পরে আক্রান্ত স্থানের উপর নির্ভর করে মানসিক রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। সেইসব মস্তিষ্কের গাঠনিক বা কার্য্যপ্রণালীতে আসা যেকোনো অসুখের জন্য মানসিক রোগ হতে পারে। মনস্তাত্ত্বিক কারণ মানসিক রোগের কারণ স. |
838 |
মূহের বিষয়ে বিভিন্ন মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যাও আছে। মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা সমূহের মূল নীতি এই যে বিকাশকালে বাবা মা এবং পরিবেশের প্রভাবে ব্যক্তিটির চিন্তা চর্চা আবেগ অনুভূতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা ইত্যাদিতে. |
839 |
তারতম্য আসে যা ব্যক্তির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে। ক্রমে বিকাশকালের পরিস্থিতি মানসিক রোগের কারণ হতে পারে। মানসিক রোগের স্নায়ুগত ব্যাখ্যা মানসিক রোগের কারণ সম্বন্ধে বিভিন্ন মত থাকলেও কিছু মানসিক রোগে কেম. |
840 |
ন ধরনের স্নায়বিক পরিবর্তন হয় তা বুঝতে পারা গেছে। মস্তিষ্কের কাজের জন্য স্নায়ুতন্ত্রের একটি ছোট একক 'স্নায়ুকোষ' নিউরোন এ হওয়া পরিবর্তনসমূহ কম বেশি পরিমাণে বোধগম্য হচ্ছে। এই সম্বন্ধে এখনো. |
841 |
গবেষণা চলছে যদিও কয়েকটি নির্ভরযোগ্য তথ্য নিচে সংযোজিত করা হল। মস্তিষ্ক একটি আন্তর্জালের মাধ্যমে কাজ করে। প্রতিটি স্নায়ুকোষ অন্য স্নায়ুকোষের সাথে আন্তর্জালের সংলগ্ন হয়ে থাকে এবং একটি স্ন. |
842 |
ায়ুকোষে হওয়া পরিবর্তন অন্য স্নায়ুকোষের ক্রিয়ার পরিবর্তন করতে পারে। একটি স্নায়ুকোষ থেকে অন্য একটি স্নায়ুকোষ পর্যন্ত তথ্যের সরবরাহ হয় দুটি স্নায়ুকোষ জোড়া লাগার স্থানে এই স্থানকে সাইন্যাপস্ বলা হ. |
843 |
য়। সাইন্যাপস্ এ আগে উল্লিখিত নিউরোট্রান্সমিটারগুলি থাকে। এই নিউরোট্রান্সমিটারগুলিকেই তথ্যের সরবরাহ করে। মানসিক রোগের স্নায়বিক ব্যাখ্যা এই নিউরোট্রান্সমিটারের গবেষণা করেই পাওয়া গেছে। ডোপামিন. |
844 |
কেটেকোলামিন গোত্রের অন্তর্গত ডোপামিন একটি নিউরোট্রান্সমিটার। ডোপামিনের বৃদ্ধি স্কিজোফ্রেনিয়া নামক মানসিক রোগের সৃষ্টি করে। অন্য কারণ থাকলেও এসব বৃদ্ধির জন্যই হয় বলে এতটা জোর দিয. |
845 |
়ে বলা হয় হয়। তবুও প্রারম্ভিক পর্য্যায়ের জন্য ডোপামিনের বৃদ্ধিই যে স্কিজোফ্রেনিয়া রোগের সৃষ্টি করে তা বলা যেতে পারে। এই ব্যাখ্যার স্বপক্ষে দেখানো যায় যে স্কিজোফ্রেনিয়ায় ব্যবহৃত রাসায়নিকসমূহ মস্. |
846 |
তিষ্কের ডোপামিনের মাত্রা কমিয়ে দিয়ে রোগের লক্ষণ কম করতে পারে। নেশাযুক্ত দ্রব্যর ব্যবহার সম্বন্ধীয় রোগে ডোপামিনের প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। এড্রিনালিন নরএড্রিনালিন বিষাদগ্র. |
847 |
স্ততা ও মানসিক চাপজনিত রোগে এই দুটি নিউরোট্রান্সমিটারে হওয়া পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। সেরোটোনিন বিষাদগ্রস্ততা ও মানসিক চাপ জনিত রোগে এই নিউরোট্রান্সমিট. |
848 |
ার টিকে পার্থক্য হতে দেখা গেছে। আজকাল সবরকম ব্যবহৃত বিসাদগ্রস্ততার ওষুধ মস্তিষ্কে সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়িয়ে রোগের লক্ষণ নিয়ন্ত্রণ করে। মানসিক রোগের লক্ষণ মানসিক রোগের লক্ষণ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।. |
849 |
লক্ষণসমূ্হকে নিচে দেওয়া ধরণে আলোচনা করা যেতে পারে: চিন্তার ভ্রান্তি কিছু মানসিক রোগে রোগীর মনে অমূলক চিন্তা আসতে পারে যাকে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাখ্যা করা যায় না। এমন চিন্তার. |
850 |
ভ্রান্তি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন চিন্তার সংগতি না হওয়া একটি ভুল চিন্তা মনে আসা ও সেইটিকে সত্যি বলে মেনে নেওয়া মনে অমূলক চিন্তা আসতে থাকা ও সেই চিন্তার অমূলকতা জেনেও মন থেকে দূরীভূত করতে না পারা. |
851 |
। কয়েকটি উদাহরণ: অহেতুক সন্দেহবাতিকতা যেমন কারো কোনো অপকার করা কোনো রোগীকে অনুসরণ করে থাকা বলে ভাবা পত্নী বা স্বামী অন্যের সাথে সম্বন্ধ স্থাপন করা বলে ভুল ভাবা নিজের চিন্তা অন্য মানুষ জানতে পরে বলে ভ. |
852 |
াবা কোনো শক্তি রোগীকে অনবরত নিয়ন্ত্রণ করে বলে ভাবা একটি বিষয় বলতে আরম্ভ করে অন্য বিষয়ে চলে যাওয়া কথার মধ্যে রয়ে যাওয়া ইত্যাদি। ইন্দ্রিয়ের ভ্রান্তি আমরা ইন্দ্রিয়ের মাধ. |
853 |
্যমে বাইরের পৃথিবীর খবরাখবর রাখি এবং সেই মর্মেই আমাদের ব্যবহারের পরিবর্তন হয়ে থাকে। যেকোনো উৎসের খবর আমাদের ইন্দ্রিয় দ্বারা পাওয়াকে সংবেদ বা বলা হয়। একটি সংবেদ আমাদের মস্তিষ্ক বিশ্লেষন কর. |
854 |
ে ব্যাখ্যা করার পরে আমি বুঝতে পারি তার অর্থ কি সেই প্রক্রিয়াটিকে বিভ্রম বা বলা হয়। কিছু মানসিক রোগে রোগী উৎস না জেনেই কিছু বিভ্রম বা অনুভব করে। যেমন কোনো কিছু কোন্ দিকে থাকা বা. |
855 |
গন্ধ পাওয়া বা কোনো কিছুর দেখা পাওয়া ইত্যাদি। একে হ্যালুসিনেশন বলা হয়। আবেগের সমস্যা সাধারণ মানুষ পরিস্থিতি সাপেক্ষে বিভিন্ন আবেগ অনুভব করে। কিন্তু কোনও একটা. |
856 |
আবেগ মানুষ অনবরত অনুভব করতে পারে। যেমন বিষাদগ্রস্ততা বা অতি মাত্রায় আনন্দ অনুভব করা বা মানসিক চাপ অনুভব করা। বৈশ্লেষিক অপারগতা আমরা যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে মস্তিষ্ককে একটি কম্পিউটারের মত করে ব্যবহার ক. |
857 |
রি। পারিপার্শ্বিক থেকে আহরণ করা তথ্যকে মস্তিষ্কের স্মৃতিতে সঞ্চিত হয়ে থাকা তথ্যাবলীর সহায়তায় বিশ্লেষণ করে একটি সিদ্ধান্ত নেয়। এই গোটা প্রক্রিয়াটিকে বোধ বা বলা হয়। সঠিক বোধ বা. |
858 |
এর জন্য আমাদের ইন্দ্রিয়সমূহের সংবেদ স্মৃতি মেধা ও ঐকান্তিকতার প্রয়োজন। এইকয়টিতে আসা অসুখসমূহ মানসিক রোগের লক্ষণ। কয়েকটি মানসিক রোগের বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা এই অনুচ্ছ. |
859 |
েদটির বর্ণনা ভঙ্গি উইকিপিডিয়ার বিশ্বকোষীয় বর্ণনা ভঙ্গি প্রতিফলিত করেনি। এই ব্যাপারে নির্দিষ্ট আলোচনা আলাপ পাতায় পাওয়া যেতে পারে। নির্দেশনা পেতে সঠিক নিবন্ধ লেখার নির্দেশনা দেখুন। প্রথমত আমি যে রোগ. |
860 |
ের কথায় সেটার নাম হল ডিপ্রেশন ।আমরা সবারই কোন না কোন সময় মন খারাপ হয় আবার ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু যদি কারও দু সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বিষন্নতা চলতে থাকে তখন ধরতে হয় ডিপ্রেশেন রোগ হয়েছে । এই রোগের লক্. |
861 |
ষণ সাধারণত ব্যাক্তিসত্তার উপর নির্ভর করে। যেমন সাধারণ অবস্থা থেকে চুড়ান্ত পযায়ে থাকতে পারে। জীবনের উদ্দম্যের অ. |
862 |
স্থাপত্যবিদ্যায় ভারবাহী স্তম্ভ বলতে কোনও কাঠামো বা উপরিকাঠামোকে (যেমন সেতু বা খিলান) ঠেকা তথা অবলম্বন প্রদানকারী উল্লম্ব একটি কাঠামোকে বোঝায়। দুইটি উন্মুক্ত খোপের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত কোনও কাঠামোগত প্রাচীরের খণ্ডবিশেষ ভারবাহী স্তম্ভের ভূমিকা পালন করতে পারে। স্বাধীনভাবে দণ্ডায়মান বা বহিস্থ প্রাচীরগুলির শেষপ্রান্তে বা কোণায় ভারবাহী স্তম্ভ থাকতে পারে। ভারবাহী স্তম্ভকে ইংরেজি পরিভাষায় "পিয়ার" বলে। |
863 |
বর্ণনা কোনও ভারবাহী সবচেয়ে সরল প্রস্থচ্ছেদ বর্গাকৃতি বা আয়তাকৃতি হয়ে থাকে, তবে অন্যান্য আকৃতিও বিরল নয়। মধ্যযুগীয় স্থাপত্যবিদ্যায় বিশাল গুরুভার বৃত্তাকার অবলম্ব |
864 |
(যেগুলিকে ঢোলাকৃতি ভারবাহী স্তম্ভ বলা হয়), ক্রুশাকৃতি ভারবাহী স্তম্ভ এবং যৌগিক ভারবাহী স্তম্ভ খুবই সাধারণ কিছু স্থাপত্য উপাদান ছিল। |
865 |
স্তম্ভ বা থাম বা পিলপা সমজাতীয় উল্লম্ব দণ্ডায়মান অবলম্বন, তবে সেটি একটি গোল ভিত্তির উপরে দাঁড়িয়ে থাকে। যেসব ভবনের ভারবাহী স্তম্ভগুলির সারির মাঝে একের পর এক আন্তঃস্তম্ভ শূন্যস্থান (bay) থাকে, যেগুলিতে জানাল বা দরজা বসানো হতে পারে। |
866 |
সেতুর ভারবাহী স্তম্ভ একটি কড়ি সেতুর পাটাতন ও নিরাপত্তা পাঁচিল স্থাপনের আগে কংক্রিটের ভারবাহী স্তম্ভ বসানো হচ্ছে। স্তম্ভের নিচের অংশটি একাধিক |
867 |
হেলানো থাম বা খুঁটি, মধ্যবর্তী অংশটি একটি অনুভূমিক কংক্রিটের তৈরি টুপি এবং উপরের অংশটি অস্থায়ী কাঠের বন্ধনীবিশিষ্ট অনেকগুলি কড়ি দিয়ে গঠিত। |
868 |
একটি চারগুণা যৌগিক ভারবাহী স্তম্ভ, যেটি নেদারল্যান্ডসের উলট্রেখটের ২৪ অক্টোবারপ্লেইন সড়ক সংযোগস্থলের উপর দিয়ে নির্মিত উড়ালসেতুটিকে অবলম্বন প্রদান করছে। |
869 |
একক অবলম্ব-ব্যাপ্তির সেতুগুলির দুই প্রান্তের প্রতিটিতে একটি করে অন্তাবলম্বন থাকে, যেগুলি সেতুর ভার বহন করে এবং সেতুর প্রবেশমুখে ভরা মাটির পার্শ্বিক চলন |
870 |
প্রতিরোধে ধারক প্রাচীর হিসেবে কাজ করে।[১] কিন্তু একাধিক অবলম্ব-ব্যাপ্তিবিশিষ্ট সেতুগুলিতে এই দুই প্রান্তের দুইটি অন্তাবলম্বন ছাড়াও প্রতিটি অবলম্ব-ব্যাপ্তির আড়কাঠামোকে ঠেকা দিতে ভারবাহী স্তম্ভের প্রয়োজন হয়। শীতল জলবায়ুতে সেতুর ভারবাহী স্তম্ভের উজান প্রান্তটিতে একটি রক্ষাপ্রাকার (Starling) থাকে, যাতে বরফগলা জলের সর্বোচ্চ প্রবাহের মৌসুমে ভাঙা বরফের চাকতি যেন স্তম্ভে আটকা না পড়ে। |
871 |
রক্ষাপ্রাকারটির উজানের প্রান্তটি ধারালো হয়ে থাকে, যাকে কদাচিৎ জলছেদক বলে। জলছেদক প্রান্তটি কংক্রিট বা পাথরে নির্মিত হতে পারে, তবে প্রায়শই এটির উপরে একটি ইস্পাতের |
872 |
কোণাটুপি পরানো থাকে, যাতে ভাসমান বরফখণ্ড যখন স্তম্ভে আঘাত করে, তখন স্তম্ভে যেন ঘষা না লাগে এবং বরফের আঘাত যেন একটি বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত হয়ে বরফখণ্ডটি ভেঙে যায়। |
873 |
শীতল জলবায়ুতে রক্ষাপ্রাকারটি সাধারণত ৪৫ ডিগ্রি কোণে ঢালু থাকে, ফলে বরফকে ঠেলা প্রদানকারী জলপ্রবাহের বরফে ভাটিমুখী প্রান্তটিকে উত্তোলনের প্রবণতা সৃষ্টি হয়, এবং এভাবে জলপ্রবাহের অনুভূমিক বলটি উল্লম্ব বলে রূপান্তরিত হয়ে বরফের অপেক্ষাকৃত পাতলা প্রস্থচ্ছেদের উপর বলপ্রয়োগ করে, যতক্ষণ না বরফের অবলম্বহীন ওজন বরফখণ্ডটিকে ভেঙে ফেলে এবং সেটি স্তম্ভের দুই পাশ দিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে পারে।[২] |
874 |
উদাহরণপ্যারিস শহরের আর্ক দ্য ত্রিয়োঁফ (বিজয় তোরণ), যেটি চারটি গুরুভার সমতলীয় ভারবাহী স্তম্ভ দ্বারা ঠেকা দেওয়া হয়েছে। |
875 |
প্যারিস শহরের আর্ক দ্য ত্রিয়োঁফ বিজয় তোরণটিতে কেন্দ্রীয় খিলান ও পার্শ্ব খিলানগুলি চারটি গুরুভার সমতলীয় ভারবাহী স্তম্ভের উপরে স্থাপিত হয়েছে। |
876 |
সন্তু পিতরের বাজিলিকা (স্তম্ভশোভিত মহাগির্জা) সন্তু পিতরের বাজিলিকা তথা স্তম্ভশোভিত মহাগির্জাটির জন্য ব্রামান্তের নকশা। এই চিত্রটিতে ভারবাহী স্তম্ভগুলিকে নিরেট কালো রঙে |
877 |
দেখানো হয়েছে। স্তম্ভগুলিকে সংযোগকারী দ্বৈত রেখাগুলি ধনুকাকৃতির খিলান নির্দেশ করছে। দোনাতো ব্রামান্তে'র রচিত রোমের সন্তু |
878 |
পিতরের বাজিলিকার (স্তম্ভশোভিত মহাগির্জা) মূল নকশাটিতে সমৃদ্ধ গ্রন্থিবিশিষ্ট ভারবাহী স্তম্ভসারি আছে। কেন্দ্রীয় ছেদবিন্দুটিতে অবস্থিত গম্বুজটির |
879 |
ভার বহন করছে চারটি ভারবাহী স্তম্ভ। এই ভারবাহী স্তম্ভগুলি পরবর্তীতে গম্বুজের বিশাল ওজন বহন করার জন্য অতিরিক্ত ছোট হিসেবে পরিগণিত হয় এবং পরে মিকেলাঞ্জেলো এগুলির পরিবর্তন সাধন করেন।[৩] |
880 |
প্রতিটি বহিঃপ্রাচীর থেকে যে চারটি গৃহকোণ বাইরের দিকে প্রসারিত হয়েছে, সেগুলির ভারবাহী স্তম্ভগুলিও শক্তিশালী এবং উপরিস্থিত অর্ধগম্বুজগুলির বহির্মুখী বল সহ্য করতে সক্ষম। ভারবাহী স্তম্ভগুলির মধ্যবর্তী প্রাচীরগুলিতে অনেক কুলুঙ্গি বা ফোকর থাকে। |
Комментарии
প্রথম উদ্ভাবন ও জনপ্রিয় কিছু সফটওয়্যার
এমএস এক্সেল একটি জনপ্রিয় স্প্রেডশিট সফটওয়্যার
সত্তর দশকের শেষের দিকে অ্যাপল কোম্পানি সর্বপ্রথম ভিসিক্যালক স্প্রেডশিট সফটওয়্যার উদ্ভাবন করে। এছাড়া রয়েছে মাইক্রোসফট এক্সেল অ্যাপল নাম্বার্স ওপেন অফিস অর্গ ক্যাল্ক নিউমেরিক মাল্টিপ্ল্যান সুপার ক্যাল্ক লোটাস ১২৩ ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুুুল ব্যবহৃত হচ্ছে মাইক্রোসফট এক্সেল।
এই মাল্টিভার্সের মধ্যে বিভিন্ন মহাবিশ্বকে "সমান্তরাল মহাবিশ্ব", "অন্যান্য মহাবিশ্ব", অথবা "বিকল্প মহাবিশ্ব" বলা হয়।
ধারণার উৎস
১৯৫৩ সালে ডাবলিনে এরভিন শ্রোডিঙার একটি ভাষণ দিয়েছিলেন, যেখানে তিনি কৌতুকপূর্ণভাবে তাঁর শ্রোতাদের সতর্ক করেছিলেন এই বলে যে তিনি যা বলতে যাচ্ছেন তা হয়ত 'উন্মাদের কথা বলে মনে' হবে। তিনি বলেছিলেন যে, যখন তার নোবেল সমীকরণগুলি বিভিন্ন ইতিহাস বর্ণনা করছে বলে মনে হচ্ছে, তখন এগুলি "বিকল্প নয়, কিন্তু সব সত্যিই একযোগে ঘটেছে"। এটিই মাল্টিভার্সের অলীক উপন্যাসের বাইরে সবচেয়ে পুরানো তথ্যসূত্র।[১]
আমেরিকান দার্শনিক এবং মনোবিজ্ঞানী উইলিয়াম জেমস ১৮৯৫ সালে প্রথম "মাল্টিভার্স" উক্তিটি ব্যবহার করেন; যদিও তিনি একটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহার করেছিলেন।[২]
অনন্ত মহাবিশ্বের (ইংরেজি: Multiverse) তত্ত্ব অনুযায়ী আমাদের দৃশ্যমান মহাবিশ্ব একটি নয়, অসংখ্য। এই ধারণাটি বিগ ব্যাং তত্ত্বের পরবর্তী তাত্ত্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জগতে স্থান করে নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আমাদের মহাবিশ্ব যদি কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের মধ্য দিয়ে স্থান-কালের শূন্যতার ভিতর দিয়ে আবির্ভূত হয়ে থাকে, তবে এই পুরো প্রক্রিয়াটি কিন্তু একাধিকবার ঘটতে পারে, এবং হয়ত বাস্তবে ঘটেছেও। এই একাধিক মহাবিশ্বের অস্তিত্বের ব্যাপারটি প্রাথমিকভাবে এডোয়ার্ড ট্রিয়ন আর পরবর্তীকালে মূলতঃ আঁদ্রে লিন্ডে এবং আলেকজাণ্ডার ভিলেঙ্কিন-এর গবেষণা থেকে বেরিয়ে এসেছে। ধারণা করা হয় যে, ইনফ্লেশনের মাধ্যমে সম্প্রসারিত মহাজাগতিক বুদ্বুদ থেকে আমাদের মহাবিশ্বের মতই অসংখ্য মহাবিশ্ব তৈরী হয়েছে, যেগুলো একটা অপরটা থেকে সংস্পর্শবিহীন অবস্থায় দূরে সরে গেছে। এ ধরনের অসংখ্য মহাবিশ্বের একটিতেই হয়ত আমরা অবস্থান করছি অন্য গুলোর অস্তিত্ব সম্বন্ধে একেবারেই জ্ঞাত না হয়ে। স্ট্রিং তত্ত্বিকদের গণনা থেকে জানা গিয়েছে যে, ১০৫০০টির মতো ভ্যাকুয়াম স্তরের তথা মহাবিশ্বের অস্তিত্ব থাকতে পারে [৩] । দীর্ঘদিন ধরে এই তত্ত্বকে যাচাইযোগ্যতা এবং পরীক্ষণযোগ্যতার অভাবে অভিযুক্ত করা হলেও সম্প্রতি অনন্ত মহাবিশ্বের কিছু পরীক্ষালব্ধ প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে।
ব্যাখ্যা
প্রমাণের জন্য অনুসন্ধান
২০১০ সালের কাছাকাছি সময়ে, স্টিফেন এম. ফিনির মত বিজ্ঞানীরা উইলকিনসন মাইক্রোওয়েভ অ্যানাইসোট্রপি প্রোবের (ডব্লিউএমএপি) তথ্য বিশ্লেষণ করেন। তারা দাবি করেন যে আমাদের মহাবিশ্বের সাথে সুদূর অতীতে অন্যান্য (সমান্তরাল) মহাবিশ্বের সাথে সংঘর্ষ ঘটেছিল এরকম প্রমাণ তারা পেয়েছেন।[৪][৫][৬][৭] তবে, ডব্লিউএমএপি এবং প্ল্যাংক কৃত্রিম উপগ্রহ, যার রেজল্যুশন ডব্লিউএমএপি-এর থেকে ৩-গুণ বেশি, থেকে পাওয়া তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে এরকম কোনও বুদ্বুদ মহাবিশ্ব সংঘর্ষ সম্বন্ধে কোন পরিসংখ্যানগত উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায় না।[৮][৯] উপরন্তু, আমাদের উপর অন্যান্য মহাবিশ্বের মহাকর্ষীয় আকর্ষণের কোন প্রমাণ নেই।[১০][১১]
গ্রিক পুরাণের ভূ-মাতা গাইয়া দেবী: এঁর নাম অনুসারে গাইয়া অনুসিদ্ধান্ত প্রস্তাবনা করা হয়
ইতিহাস
পৃথিবী একটি জীবন্ত সত্তা এটা প্রায় ৪০০ খৃস্টপূর্বাব্দে প্লেটোর কাছ থেকে পাওয়া ধারণা। নাসায় কর্মরত ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জেমস লাভলক তত্ত্বটিকে পুনরায় আলোচনায় আনেন। তিনি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল বিশ্লেষণের সময় লক্ষ্য করলেন যে, আমাদের বায়ুমণ্ডল ভূ-রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় তার সাম্যাবস্থা বজায় রাখে। এতে এর জীবকূল জীবন ধারণ করে। আবার জীবকূল জীবনধারণ করে বলেই এই সাম্যাবস্থাটি বজায় থাকে। যেমন, বাতাসের অক্সিজেন মাত্রা ঠিক রাখতে উদ্ভিদের অবদানের কথা বলা যায়। কাজেই তিনি বলেন, পার্থিব জৈব আর ভৌত প্রক্রিয়াগুলো এমন অবস্থা তৈরি করে এবং নিয়ন্ত্রণ করে যা জীবনের অব্যাহত অস্তিত্বের জন্যই সহায়ক।[৩]
প্রাসঙ্গিকতা
লাভলকের এই অনুসিদ্ধান্তটি এখন প্রাসঙ্গিক এই কারণে যে, মানবসৃষ্ট কিছু পরিবর্তনের কারণে আমাদের আবহাওয়া, পরিবেশ, খাদ্য ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন। গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়ার ফলে পৃথিবী হয়তো একদিন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। এই ব্যাপারটি গাইয়া তত্ত্বের মাধ্যমে খুব ভালোভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।[৩]
ইতিহাস
মধ্যযুগে ইংল্যান্ডের ব্রিক্সহাম ছিল বৃহত্তম মৎস্যবন্দর। এই ব্রিক্সহামেই ১৯শ শতকে ট্রলারের উদ্ভাবন হয়। সেই সময়ের ট্রলার ছিল কাঠের তৈরি পালতোলা নৌকাবিশেষ। উদ্ভাবনের কিছুদিনের মধ্যেই মাছধরার নৌকা হিসেবে ট্রলার ছড়িয়ে পরে গোটা বিশ্বে।
প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সাগর থেকে মাইন সরিয়ে নিতে অনেক ট্রলার ব্যবহার করা হয়েছিল। শত্রুপক্ষের বোমারু বিমান ও জাহাজের আক্রমণ থেকে জেলে নৌকার বহর রক্ষা করতেও কিছু ট্রলারে অস্ত্রশস্ত্র সংযোজন করে ব্যবহার করা হয়েছিল। স্নায়ুযুদ্ধের সময় আধুনিক যন্ত্রপাতি সজ্জিত বেশ কিছু ট্রলার ব্যবহার করা হয়েছিল গুপ্তচর জাহাজ হিসেবে ।
বাংলাদেশের ট্রলার
নারিকেল জিঞ্জিরা (সেইন্ট মার্টিন) দ্বীপের সাগর সৈকতে ট্রলার
বাংলাদেশের দক্ষিণে উপকূলীয় অঞ্চলে মাছধরার নৌকা হিসেবে ব্যবহৃত হয় একধরনের ট্রলার । আধুনিক ট্রলারের সাথে এসব মাছধরা নৌকার মিল সামান্যই, তাই এদেরকে দেশী ট্রলার বলা যেতে পারে । দেশী ট্রলার গুলো মূলত কাঠের তৈরি মাঝারি থেকে বৃহদাকার নৌকা । ডিজেল ইঞ্জিনের সাহায্যে চলাচল করে, তাই পাল থাকে না তবে দাঁড় থাকে । চলাচলের দিক নিয়ন্ত্রণের জন্য হাল থাকে । ট্রলার মূলত জেলে নৌকা হলেও যাত্রী ও মালামাল বহনেও এসব নৌকা ব্যবহার করা হয় ।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন।