স্প্রেডশিট ইংরেজি স্প্রেডশিট এর আভিধানিক অর্থ হল ছড়ানো বড় মাপের কাগজ। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান আর্থিক হিসাব সংরক্ষণের জন্য এ ধরনের কাগজ ব্যবহার করা হয়। এ কাগজের ছক করে রো ও কলাম একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পূর্ণাঙ্গ আর্থিক চিত্র তুলে ধরা যায়। বর্তমানে কাগজের স্প্রেডশিটের স্থান দখল করেছে সফটওয়্যার নির্ভর স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম। মূলত স্প্রেডশিট হচ্ছে কম্পিউটার প্রগ্রাম যা কাগজের ওয়ার্কশিটের নকল বা সিমুলেশন। স্প্রেডশিট প্রোগ্রামে টেবিল বা সারণি আকারে তথ্য সন্নিবেশ ও উপস্থাপন এবং এগুলির উপর গাণিতিক বিভিন্ন অপারেশন প্রয়োগ ও বিশ্লেষণের ব্যবস্থা থাকে। স্প্রেডশিট ব্যবহারের সুবিধা সমূহ- সূত্র ব্যবহারের সুযোগ থাকায়়় অনেক বেশি উপাত্ত নিয়ে কাজ করা যায়। আকর্ষণীয়়় গ্রাফ চাট ব্যবহার করে উপাত্ত উপস্থাপন করা যায় । প্রথম উদ্ভাবন ও জনপ্রিয় কিছু সফটওয়্যার এমএস এক্সেল একটি জনপ্রিয় স্প্রেডশিট সফটওয়্যার
সত্তর দশকের শেষের দিকে অ্যাপল কোম্পানি সর্বপ্রথম ভিসিক্যালক স্প্রেডশিট সফটওয়্যার উদ্ভাবন করে। এছাড়া রয়েছে মাইক্রোসফট এক্সেল অ্যাপল নাম্বার্স ওপেন অফিস অর্গ ক্যাল্ক নিউমেরিক মাল্টিপ্ল্যান সুপার ক্যাল্ক লোটাস ১২৩ ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুুুল ব্যবহৃত হচ্ছে মাইক্রোসফট এক্সেল।
বহু-মহাবিশ্ব (ইংরেজি: Multiverse) (বা অধি-মহাবিশ্ব) হল মহাবিশ্বগুলির প্রকল্পিত সম্ভাব্য সেট, যার মধ্যে, আমরা যে মহাবিশ্বে বসবাস করি সেটিও অন্তর্ভুক্ত। একত্রে এই মহাবিশ্বগুলি বিদ্যমান : এই স্থান, সময়, পদার্থ, শক্তি, এবং ভৌত নীতিগুলি এবং ধ্রুবকগুলি যেগুলি তাদের বর্ণনা করে, সবকিছু গঠন করে।
এই মাল্টিভার্সের মধ্যে বিভিন্ন মহাবিশ্বকে "সমান্তরাল মহাবিশ্ব", "অন্যান্য মহাবিশ্ব", অথবা "বিকল্প মহাবিশ্ব" বলা হয়।
ধারণার উৎস ১৯৫৩ সালে ডাবলিনে এরভিন শ্রোডিঙার একটি ভাষণ দিয়েছিলেন, যেখানে তিনি কৌতুকপূর্ণভাবে তাঁর শ্রোতাদের সতর্ক করেছিলেন এই বলে যে তিনি যা বলতে যাচ্ছেন তা হয়ত 'উন্মাদের কথা বলে মনে' হবে। তিনি বলেছিলেন যে, যখন তার নোবেল সমীকরণগুলি বিভিন্ন ইতিহাস বর্ণনা করছে বলে মনে হচ্ছে, তখন এগুলি "বিকল্প নয়, কিন্তু সব সত্যিই একযোগে ঘটেছে"। এটিই মাল্টিভার্সের অলীক উপন্যাসের বাইরে সবচেয়ে পুরানো তথ্যসূত্র।[১]
আমেরিকান দার্শনিক এবং মনোবিজ্ঞানী উইলিয়াম জেমস ১৮৯৫ সালে প্রথম "মাল্টিভার্স" উক্তিটি ব্যবহার করেন; যদিও তিনি একটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহার করেছিলেন।[২]
অনন্ত মহাবিশ্বের (ইংরেজি: Multiverse) তত্ত্ব অনুযায়ী আমাদের দৃশ্যমান মহাবিশ্ব একটি নয়, অসংখ্য। এই ধারণাটি বিগ ব্যাং তত্ত্বের পরবর্তী তাত্ত্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জগতে স্থান করে নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আমাদের মহাবিশ্ব যদি কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের মধ্য দিয়ে স্থান-কালের শূন্যতার ভিতর দিয়ে আবির্ভূত হয়ে থাকে, তবে এই পুরো প্রক্রিয়াটি কিন্তু একাধিকবার ঘটতে পারে, এবং হয়ত বাস্তবে ঘটেছেও। এই একাধিক মহাবিশ্বের অস্তিত্বের ব্যাপারটি প্রাথমিকভাবে এডোয়ার্ড ট্রিয়ন আর পরবর্তীকালে মূলতঃ আঁদ্রে লিন্ডে এবং আলেকজাণ্ডার ভিলেঙ্কিন-এর গবেষণা থেকে বেরিয়ে এসেছে। ধারণা করা হয় যে, ইনফ্লেশনের মাধ্যমে সম্প্রসারিত মহাজাগতিক বুদ্বুদ থেকে আমাদের মহাবিশ্বের মতই অসংখ্য মহাবিশ্ব তৈরী হয়েছে, যেগুলো একটা অপরটা থেকে সংস্পর্শবিহীন অবস্থায় দূরে সরে গেছে। এ ধরনের অসংখ্য মহাবিশ্বের একটিতেই হয়ত আমরা অবস্থান করছি অন্য গুলোর অস্তিত্ব সম্বন্ধে একেবারেই জ্ঞাত না হয়ে। স্ট্রিং তত্ত্বিকদের গণনা থেকে জানা গিয়েছে যে, ১০৫০০টির মতো ভ্যাকুয়াম স্তরের তথা মহাবিশ্বের অস্তিত্ব থাকতে পারে [৩] । দীর্ঘদিন ধরে এই তত্ত্বকে যাচাইযোগ্যতা এবং পরীক্ষণযোগ্যতার অভাবে অভিযুক্ত করা হলেও সম্প্রতি অনন্ত মহাবিশ্বের কিছু পরীক্ষালব্ধ প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে।
ব্যাখ্যা প্রমাণের জন্য অনুসন্ধান ২০১০ সালের কাছাকাছি সময়ে, স্টিফেন এম. ফিনির মত বিজ্ঞানীরা উইলকিনসন মাইক্রোওয়েভ অ্যানাইসোট্রপি প্রোবের (ডব্লিউএমএপি) তথ্য বিশ্লেষণ করেন। তারা দাবি করেন যে আমাদের মহাবিশ্বের সাথে সুদূর অতীতে অন্যান্য (সমান্তরাল) মহাবিশ্বের সাথে সংঘর্ষ ঘটেছিল এরকম প্রমাণ তারা পেয়েছেন।[৪][৫][৬][৭] তবে, ডব্লিউএমএপি এবং প্ল্যাংক কৃত্রিম উপগ্রহ, যার রেজল্যুশন ডব্লিউএমএপি-এর থেকে ৩-গুণ বেশি, থেকে পাওয়া তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে এরকম কোনও বুদ্বুদ মহাবিশ্ব সংঘর্ষ সম্বন্ধে কোন পরিসংখ্যানগত উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায় না।[৮][৯] উপরন্তু, আমাদের উপর অন্যান্য মহাবিশ্বের মহাকর্ষীয় আকর্ষণের কোন প্রমাণ নেই।[১০][১১]
গাইয়া অনুসিদ্ধান্ত একটি প্রস্তাবনা যেখানে বলা আছে, প্রতিটি জীব তাদের পরিপার্শ্বের সাথে এমনভাবে ক্রিয়াশীল যাতে করে পৃথিবীর সমস্তটাই একটা স্বনিয়ন্ত্রিত জটিল ব্যবস্থায় পরিণত হয়, এই ব্যবস্থাটি আবার পৃথিবীকে জীবনধারণের উপযোগী করে তোলে। অন্য কথায়, পৃথিবী নিজেই একটি জীবন্ত সত্তা। এই প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন বিজ্ঞানী জেমস লাভলক[১] ১৯৭২ সালে এবং অণুজীববিজ্ঞানী লিন মারগুলিস ১৯৭৪ সালে তত্ত্বটি সমর্থন করেন।[২]
গ্রিক পুরাণের ভূ-মাতা গাইয়া দেবী: এঁর নাম অনুসারে গাইয়া অনুসিদ্ধান্ত প্রস্তাবনা করা হয় ইতিহাস পৃথিবী একটি জীবন্ত সত্তা এটা প্রায় ৪০০ খৃস্টপূর্বাব্দে প্লেটোর কাছ থেকে পাওয়া ধারণা। নাসায় কর্মরত ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জেমস লাভলক তত্ত্বটিকে পুনরায় আলোচনায় আনেন। তিনি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল বিশ্লেষণের সময় লক্ষ্য করলেন যে, আমাদের বায়ুমণ্ডল ভূ-রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় তার সাম্যাবস্থা বজায় রাখে। এতে এর জীবকূল জীবন ধারণ করে। আবার জীবকূল জীবনধারণ করে বলেই এই সাম্যাবস্থাটি বজায় থাকে। যেমন, বাতাসের অক্সিজেন মাত্রা ঠিক রাখতে উদ্ভিদের অবদানের কথা বলা যায়। কাজেই তিনি বলেন, পার্থিব জৈব আর ভৌত প্রক্রিয়াগুলো এমন অবস্থা তৈরি করে এবং নিয়ন্ত্রণ করে যা জীবনের অব্যাহত অস্তিত্বের জন্যই সহায়ক।[৩]
প্রাসঙ্গিকতা লাভলকের এই অনুসিদ্ধান্তটি এখন প্রাসঙ্গিক এই কারণে যে, মানবসৃষ্ট কিছু পরিবর্তনের কারণে আমাদের আবহাওয়া, পরিবেশ, খাদ্য ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন। গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়ার ফলে পৃথিবী হয়তো একদিন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। এই ব্যাপারটি গাইয়া তত্ত্বের মাধ্যমে খুব ভালোভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।[৩]
ট্রলার (ইংরেজি: trawler) মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত এক ধরনের নৌযান। ট্রল (trawl) নামের এক বিশেষ ধরনের মাছ ধরার জাল টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় বলে নৌযানটির এমন নামকরণ করা হয়েছে। মাছ ধরা ছাড়াও যাত্রী পরিবহন ও মালামাল পরিবহনেও ট্রলার ব্যবহার করা হয়। ট্রলারগুলো মূলত ডিজেল-ইঞ্জিন সংবলিত মাঝারি থেকে বড় আকারের নৌকা। ইঞ্জিনের সাহায্যে চলে বলে ট্রলারে পাল থাকে না। চলাচলের দিক নিয়ন্ত্রণের জন্য হাল থাকে। আধুনিক ট্রলার আকারে ৩০০০ টন পর্যন্তও হতে পারে এবং এতে অনেক সময় ধৃত মাছের জন্য হিমাগারের সুবিধা থাকে।
ইতিহাস মধ্যযুগে ইংল্যান্ডের ব্রিক্সহাম ছিল বৃহত্তম মৎস্যবন্দর। এই ব্রিক্সহামেই ১৯শ শতকে ট্রলারের উদ্ভাবন হয়। সেই সময়ের ট্রলার ছিল কাঠের তৈরি পালতোলা নৌকাবিশেষ। উদ্ভাবনের কিছুদিনের মধ্যেই মাছধরার নৌকা হিসেবে ট্রলার ছড়িয়ে পরে গোটা বিশ্বে।
প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সাগর থেকে মাইন সরিয়ে নিতে অনেক ট্রলার ব্যবহার করা হয়েছিল। শত্রুপক্ষের বোমারু বিমান ও জাহাজের আক্রমণ থেকে জেলে নৌকার বহর রক্ষা করতেও কিছু ট্রলারে অস্ত্রশস্ত্র সংযোজন করে ব্যবহার করা হয়েছিল। স্নায়ুযুদ্ধের সময় আধুনিক যন্ত্রপাতি সজ্জিত বেশ কিছু ট্রলার ব্যবহার করা হয়েছিল গুপ্তচর জাহাজ হিসেবে ।
বাংলাদেশের ট্রলার
নারিকেল জিঞ্জিরা (সেইন্ট মার্টিন) দ্বীপের সাগর সৈকতে ট্রলার বাংলাদেশের দক্ষিণে উপকূলীয় অঞ্চলে মাছধরার নৌকা হিসেবে ব্যবহৃত হয় একধরনের ট্রলার । আধুনিক ট্রলারের সাথে এসব মাছধরা নৌকার মিল সামান্যই, তাই এদেরকে দেশী ট্রলার বলা যেতে পারে । দেশী ট্রলার গুলো মূলত কাঠের তৈরি মাঝারি থেকে বৃহদাকার নৌকা । ডিজেল ইঞ্জিনের সাহায্যে চলাচল করে, তাই পাল থাকে না তবে দাঁড় থাকে । চলাচলের দিক নিয়ন্ত্রণের জন্য হাল থাকে । ট্রলার মূলত জেলে নৌকা হলেও যাত্রী ও মালামাল বহনেও এসব নৌকা ব্যবহার করা হয় ।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন।
Комментарии
প্রথম উদ্ভাবন ও জনপ্রিয় কিছু সফটওয়্যার
এমএস এক্সেল একটি জনপ্রিয় স্প্রেডশিট সফটওয়্যার
সত্তর দশকের শেষের দিকে অ্যাপল কোম্পানি সর্বপ্রথম ভিসিক্যালক স্প্রেডশিট সফটওয়্যার উদ্ভাবন করে। এছাড়া রয়েছে মাইক্রোসফট এক্সেল অ্যাপল নাম্বার্স ওপেন অফিস অর্গ ক্যাল্ক নিউমেরিক মাল্টিপ্ল্যান সুপার ক্যাল্ক লোটাস ১২৩ ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুুুল ব্যবহৃত হচ্ছে মাইক্রোসফট এক্সেল।
এই মাল্টিভার্সের মধ্যে বিভিন্ন মহাবিশ্বকে "সমান্তরাল মহাবিশ্ব", "অন্যান্য মহাবিশ্ব", অথবা "বিকল্প মহাবিশ্ব" বলা হয়।
ধারণার উৎস
১৯৫৩ সালে ডাবলিনে এরভিন শ্রোডিঙার একটি ভাষণ দিয়েছিলেন, যেখানে তিনি কৌতুকপূর্ণভাবে তাঁর শ্রোতাদের সতর্ক করেছিলেন এই বলে যে তিনি যা বলতে যাচ্ছেন তা হয়ত 'উন্মাদের কথা বলে মনে' হবে। তিনি বলেছিলেন যে, যখন তার নোবেল সমীকরণগুলি বিভিন্ন ইতিহাস বর্ণনা করছে বলে মনে হচ্ছে, তখন এগুলি "বিকল্প নয়, কিন্তু সব সত্যিই একযোগে ঘটেছে"। এটিই মাল্টিভার্সের অলীক উপন্যাসের বাইরে সবচেয়ে পুরানো তথ্যসূত্র।[১]
আমেরিকান দার্শনিক এবং মনোবিজ্ঞানী উইলিয়াম জেমস ১৮৯৫ সালে প্রথম "মাল্টিভার্স" উক্তিটি ব্যবহার করেন; যদিও তিনি একটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহার করেছিলেন।[২]
অনন্ত মহাবিশ্বের (ইংরেজি: Multiverse) তত্ত্ব অনুযায়ী আমাদের দৃশ্যমান মহাবিশ্ব একটি নয়, অসংখ্য। এই ধারণাটি বিগ ব্যাং তত্ত্বের পরবর্তী তাত্ত্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জগতে স্থান করে নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আমাদের মহাবিশ্ব যদি কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের মধ্য দিয়ে স্থান-কালের শূন্যতার ভিতর দিয়ে আবির্ভূত হয়ে থাকে, তবে এই পুরো প্রক্রিয়াটি কিন্তু একাধিকবার ঘটতে পারে, এবং হয়ত বাস্তবে ঘটেছেও। এই একাধিক মহাবিশ্বের অস্তিত্বের ব্যাপারটি প্রাথমিকভাবে এডোয়ার্ড ট্রিয়ন আর পরবর্তীকালে মূলতঃ আঁদ্রে লিন্ডে এবং আলেকজাণ্ডার ভিলেঙ্কিন-এর গবেষণা থেকে বেরিয়ে এসেছে। ধারণা করা হয় যে, ইনফ্লেশনের মাধ্যমে সম্প্রসারিত মহাজাগতিক বুদ্বুদ থেকে আমাদের মহাবিশ্বের মতই অসংখ্য মহাবিশ্ব তৈরী হয়েছে, যেগুলো একটা অপরটা থেকে সংস্পর্শবিহীন অবস্থায় দূরে সরে গেছে। এ ধরনের অসংখ্য মহাবিশ্বের একটিতেই হয়ত আমরা অবস্থান করছি অন্য গুলোর অস্তিত্ব সম্বন্ধে একেবারেই জ্ঞাত না হয়ে। স্ট্রিং তত্ত্বিকদের গণনা থেকে জানা গিয়েছে যে, ১০৫০০টির মতো ভ্যাকুয়াম স্তরের তথা মহাবিশ্বের অস্তিত্ব থাকতে পারে [৩] । দীর্ঘদিন ধরে এই তত্ত্বকে যাচাইযোগ্যতা এবং পরীক্ষণযোগ্যতার অভাবে অভিযুক্ত করা হলেও সম্প্রতি অনন্ত মহাবিশ্বের কিছু পরীক্ষালব্ধ প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে।
ব্যাখ্যা
প্রমাণের জন্য অনুসন্ধান
২০১০ সালের কাছাকাছি সময়ে, স্টিফেন এম. ফিনির মত বিজ্ঞানীরা উইলকিনসন মাইক্রোওয়েভ অ্যানাইসোট্রপি প্রোবের (ডব্লিউএমএপি) তথ্য বিশ্লেষণ করেন। তারা দাবি করেন যে আমাদের মহাবিশ্বের সাথে সুদূর অতীতে অন্যান্য (সমান্তরাল) মহাবিশ্বের সাথে সংঘর্ষ ঘটেছিল এরকম প্রমাণ তারা পেয়েছেন।[৪][৫][৬][৭] তবে, ডব্লিউএমএপি এবং প্ল্যাংক কৃত্রিম উপগ্রহ, যার রেজল্যুশন ডব্লিউএমএপি-এর থেকে ৩-গুণ বেশি, থেকে পাওয়া তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে এরকম কোনও বুদ্বুদ মহাবিশ্ব সংঘর্ষ সম্বন্ধে কোন পরিসংখ্যানগত উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায় না।[৮][৯] উপরন্তু, আমাদের উপর অন্যান্য মহাবিশ্বের মহাকর্ষীয় আকর্ষণের কোন প্রমাণ নেই।[১০][১১]
গ্রিক পুরাণের ভূ-মাতা গাইয়া দেবী: এঁর নাম অনুসারে গাইয়া অনুসিদ্ধান্ত প্রস্তাবনা করা হয়
ইতিহাস
পৃথিবী একটি জীবন্ত সত্তা এটা প্রায় ৪০০ খৃস্টপূর্বাব্দে প্লেটোর কাছ থেকে পাওয়া ধারণা। নাসায় কর্মরত ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জেমস লাভলক তত্ত্বটিকে পুনরায় আলোচনায় আনেন। তিনি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল বিশ্লেষণের সময় লক্ষ্য করলেন যে, আমাদের বায়ুমণ্ডল ভূ-রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় তার সাম্যাবস্থা বজায় রাখে। এতে এর জীবকূল জীবন ধারণ করে। আবার জীবকূল জীবনধারণ করে বলেই এই সাম্যাবস্থাটি বজায় থাকে। যেমন, বাতাসের অক্সিজেন মাত্রা ঠিক রাখতে উদ্ভিদের অবদানের কথা বলা যায়। কাজেই তিনি বলেন, পার্থিব জৈব আর ভৌত প্রক্রিয়াগুলো এমন অবস্থা তৈরি করে এবং নিয়ন্ত্রণ করে যা জীবনের অব্যাহত অস্তিত্বের জন্যই সহায়ক।[৩]
প্রাসঙ্গিকতা
লাভলকের এই অনুসিদ্ধান্তটি এখন প্রাসঙ্গিক এই কারণে যে, মানবসৃষ্ট কিছু পরিবর্তনের কারণে আমাদের আবহাওয়া, পরিবেশ, খাদ্য ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন। গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়ার ফলে পৃথিবী হয়তো একদিন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। এই ব্যাপারটি গাইয়া তত্ত্বের মাধ্যমে খুব ভালোভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।[৩]
ইতিহাস
মধ্যযুগে ইংল্যান্ডের ব্রিক্সহাম ছিল বৃহত্তম মৎস্যবন্দর। এই ব্রিক্সহামেই ১৯শ শতকে ট্রলারের উদ্ভাবন হয়। সেই সময়ের ট্রলার ছিল কাঠের তৈরি পালতোলা নৌকাবিশেষ। উদ্ভাবনের কিছুদিনের মধ্যেই মাছধরার নৌকা হিসেবে ট্রলার ছড়িয়ে পরে গোটা বিশ্বে।
প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সাগর থেকে মাইন সরিয়ে নিতে অনেক ট্রলার ব্যবহার করা হয়েছিল। শত্রুপক্ষের বোমারু বিমান ও জাহাজের আক্রমণ থেকে জেলে নৌকার বহর রক্ষা করতেও কিছু ট্রলারে অস্ত্রশস্ত্র সংযোজন করে ব্যবহার করা হয়েছিল। স্নায়ুযুদ্ধের সময় আধুনিক যন্ত্রপাতি সজ্জিত বেশ কিছু ট্রলার ব্যবহার করা হয়েছিল গুপ্তচর জাহাজ হিসেবে ।
বাংলাদেশের ট্রলার
নারিকেল জিঞ্জিরা (সেইন্ট মার্টিন) দ্বীপের সাগর সৈকতে ট্রলার
বাংলাদেশের দক্ষিণে উপকূলীয় অঞ্চলে মাছধরার নৌকা হিসেবে ব্যবহৃত হয় একধরনের ট্রলার । আধুনিক ট্রলারের সাথে এসব মাছধরা নৌকার মিল সামান্যই, তাই এদেরকে দেশী ট্রলার বলা যেতে পারে । দেশী ট্রলার গুলো মূলত কাঠের তৈরি মাঝারি থেকে বৃহদাকার নৌকা । ডিজেল ইঞ্জিনের সাহায্যে চলাচল করে, তাই পাল থাকে না তবে দাঁড় থাকে । চলাচলের দিক নিয়ন্ত্রণের জন্য হাল থাকে । ট্রলার মূলত জেলে নৌকা হলেও যাত্রী ও মালামাল বহনেও এসব নৌকা ব্যবহার করা হয় ।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন।